নেত্রকোনায় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জেরে আল মামুন (৩০) নামের এক যুবককে হাত পা মুখ বেঁধে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আল মামুন স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান তারা মিয়ার একমাত্র সন্তান।
জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারি ইউনিয়নের বাউসি গ্রামে বুধবার (০৮ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। রাতে স্থানীয়রা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়কের পাশের খালপারে হাত পা মুখ বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মামুনকে উদ্ধার করে।
এমন একটি ভিডিও রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আল মামুনকে স্থানীয় একটি সারের ডিলার ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্বে স্থানীয় ইলিয়াস নামের একজন কয়েকবার হত্যার হুমকিও দিয়েছে। হুমকির জেরে গতকাল বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা মামুনকে ধরে হাত পা মুখ বেঁধে গুম করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। মামুনের কাছে থাকা ব্যবসার টাকা, দোকানের চাবি, মোবাইল সব নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে এগিয়ে গেলে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে এই হুমকির ঘটনায় এক মাস আগে আটপাড়া থানায় একটি জিডি করেছিলেন মামুন ও তার পরিবার।
স্বজনরা জানায়, পুলিশ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করলে এমন নৃশংসতা করার সাহস পাবে না।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পূর্বে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।
এসআর