ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় সরকারি দপ্তরসংলগ্ন সড়কে গড়ে ওঠা ভাসমান কেক ও খাবারের দোকানগুলো উচ্ছেদ করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসা এ স্থানটি ‘কেকপট্টি’ নামে পরিচিতি পায়। বিকেল গড়াতেই এখানে ভিড় জমাতেন নানা বয়সী মানুষ। কেকের দোকানে ভোজনের চেয়ে বেশি দেখা যেত ভিডিও তৈরির প্রস্তুতি—ক্যামেরা, মোবাইল, ট্রাইপড আর আলোর ঝলকানিতে যেন এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হতো।
কিন্তু প্রশাসনের দৃষ্টিতে এটি হয়ে উঠছিল সমস্যা। নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনের প্রবেশপথ প্রায়ই অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল। যান চলাচলে তৈরি হচ্ছিল প্রতিবন্ধকতা, ভোগান্তিতে পড়ছিল সাধারণ মানুষ।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক বলছেন, ‘যে দোকানগুলো রাস্তার ওপর যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল, আমরা সেগুলো সরিয়ে দিয়েছি। এখানে কে ভাইরাল, আর কে ভাইরাল না, তাতো আমরা জানি না।”
জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘জনচলাচলে দুর্ভোগ ও যানজট সৃষ্টি এবং নির্বাচন কমিশন ভবনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনে রাস্তা বন্ধ করে যারা দোকান করছিলেন তাদেরকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এবং নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উচ্ছেদ করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা বলছেন, প্রথমদিকে জায়গাটি ছিল নিরিবিলি। সন্ধ্যায় একটু হাঁটাহাঁটি কিংবা সময় কাটানোর জায়গা ছিল এটি। কিন্তু হঠাৎ করেই কনটেন্ট নির্মাতা ও ফুড ব্লগারদের আগমনে পরিবেশ পাল্টে যায়। কেক বিক্রির পাশাপাশি চলে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে অনেকে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, তরুণদের উদ্যোক্তা চেতনার জায়গা নষ্ট হলো। আবার অনেকে মনে করছেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে এটি ছিল সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
আরডি