ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান তাঁর স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্টভাবে জানান— কোনো পরনারীর সঙ্গে তাঁর হারাম সম্পর্ক নেই।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে ত্বহা লেখেন, ‘কাবার রবের শপথ! আমি যিনাকার নই! মুহাম্মদের রবের কসম! আমি ব্যভিচারী নই! যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম, তারা আমাকে যত অপবাদ দিয়েছে তা থেকে আমি মুক্ত! কোনো পরনারীর সঙ্গে আমার কোনো প্রকার হারাম সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য পবিত্র পোশাকের মতো, আর পোশাকের কাজই হলো সতর ঢেকে রাখা— ‘যদিও তা ক্ষতবিক্ষত হয়, আমি আজীবন সেটিই করে গেছি, আজও করছি। কারণ, আজও আমি তার স্বামী।’
অভিযোগের জবাবে ত্বহা আরও বলেন, ‘আমার দ্বিন আমাকে শিখিয়েছে— অপবাদ ও মিথ্যাচারের জবাব আল্লাহই দেন। সমাজে ইউসুফের ভাইদের চোখের পানির দামটাই বেশি। আমি চাই, সেই জবাব আল্লাহ আল জাব্বার স্বয়ং দিন।’
স্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ত্বহা লেখেন, ‘আমার দোষ শুধু ভুল সত্তায় অতিরিক্ত ভালোবাসা, ইনসাফ করতে চাওয়া এবং সবরের ওপর সবর করা। যা শরিয়তে হালাল, তাতে যদি কেউ সম্মত না থাকত, তবে উত্তম বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত, সম্পর্ক ও সম্মান নষ্ট করার দরকার ছিল না।’
সমাধানের পথে হাঁটার কথা জানিয়ে ত্বহা বলেন, ‘আমি দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে শরিয়াসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে বিষয়টির সমাধানের পথে আছি। যারা ছেড়ে গেছেন, যেতে পারেন; তবে ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো অপবাদ বা মিথ্যা মামলার শিকার হই, অন্তত আপনাদের দোয়া চাই।’
নিজের সন্তানদের প্রসঙ্গে ত্বহা আবেগঘনভাবে লেখেন, ‘আমার দুটি সন্তান আছে— আমার হুরপরি আইশাহ এবং কলিজার টুকরা উসমান। দোয়া করবেন, তারা যেন বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাদের মুখের দিকেই তাকিয়ে বছরের পর বছর সবর করে গেছি।’
সবশেষে ত্বহা লেখেন, ‘আমার আর কিছু বলার নেই। হয়তো এটাই তাকদিরের ফয়সালা। কিছু বিচ্ছেদেই হয়তো শান্তি আছে। আল্লাহ যেন দুনিয়া ও আখিরাতে জালেম ও মজলুমের মাঝে উত্তম ফয়সালা করেন। আমিন।’
এইচএ