এইমাত্র
  • ফুলবাড়ীতে গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল প্রদান
  • গাজীপুরে কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
  • মুশফিককে ‘হাই কোয়ালিটি প্লেয়ার’ বললেন পন্টিং
  • মুন্সিগঞ্জে দুটি বেকারিকে জরিমানা
  • ফুলবাড়ীতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ ও জনসভা
  • বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম
  • শততম টেস্টে ফিফটি তুলে নিলেন মুশফিক
  • দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • নারীদের পেছনে রেখে আমরা পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • রমজানের আগেই বাড়ছে ছোলা-খেজুরসহ ৬ ভোগ্যপণ্যের আমদানি
  • আজ বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সিলেটে সাংবাদিকের মোবাইল ভাঙলেন পাথর লুট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

    সিলেটে সাংবাদিকের মোবাইল ভাঙলেন পাথর লুট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

    সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটন স্পট সাদাপাথর থেকে পাথর লুট ও বালু লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফু আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থেকেও এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। একই সময়ে আলফু্র ছেলে আরেক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আবদুল ওয়াদুদ সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা, ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আবদুল ওয়াদুদকে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার পক্ষে নেতা-কর্মীসহ লোকজন আদালত এলাকায় জড়ো হন।

    শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকারের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন।

    অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। পরে বিশালের মোবাইলে থাকা ভিডিও চিত্রটি মুছে সেটি আবার ফিরিয়ে দেন বায়জিদ। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়ন সরকার বলেন, মোবাইল ফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তার মোবাইল ফোনটি আসামি ভেঙে ফেলেছেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

    অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সাংবাদিকেরা অনেকটা কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা ফোনটি তাদের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল। অনেকেই ভিডিও করছিলেন। কারা সাংবাদিক, কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।

    এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় কাজী আবদুল ওয়াদুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ। তিনি বলেন, সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওয়াদুদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…