এইমাত্র
  • দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেনা ঘাঁটি ও সেনা স্টেশন করলো ভারত
  • জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধ নিলে দেশ বধ্যভূমি হতো: শফিকুর রহমান
  • ৬৬ দেশি নির্বাচক পর্যবেক্ষক চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল
  • ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
  • যৌন হেনস্তার ঘটনায় মুখ খুললেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
  • মালয়েশিয়ায় ‘বাংলাদেশিসহ’ নথিবিহীন ১৮৪ জন আটক
  • এবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন ডিসি সারওয়ার
  • আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়েছে ৯০০ ইসরায়েলি
  • এবার লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা
  • আজ শনিবার, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৮ নভেম্বর, ২০২৫
    খেলা

    রিশাদের ঝলকে বাংলাদেশের দাপুটে জয়

    ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
    ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম

    রিশাদের ঝলকে বাংলাদেশের দাপুটে জয়

    ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম

    মিরপুরে ২০৭ রানের পুঁজি খুব একটা নিরাপদ বলা চলে না। ওয়ানডেতে এমন লক্ষ্য তাড়া করে জেতা আজকাল অনেক দলের কাছেই নিত্যকার ব্যাপার। তার ওপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন কোনো চাপ ছাড়াই ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফেলে, তখন ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত ফসকে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ই ছন্দে আসেন রিশাদ হোসেন। তরুণ এই লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে ম্যাচ ঘুরে যায় পুরোপুরি।

    ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার তুলে নিয়ে তিনি একাই গুটিয়ে দেন সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৭ রানের জবাবে অলআউট হয় মাত্র ১৩৩ রানে। ফলে বাংলাদেশ পায় ৭৪ রানের দাপুটে জয়।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ইনিংসের ৮ রানের মধ্যেই আউট হয়ে যান দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় সামাল দেন প্রাথমিক ধাক্কা। দুইজন মিলে গড়ে তোলেন ৭১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। যা চলতি বছর এই পজিশনে বাংলাদেশের সেরা পার্টনারশিপ।

    তবে রান তোলার গতি ছিল মন্থর। শান্ত ৬৩ বলে করেন ৩২ রান, আর হৃদয় ৯১ বলে ৫১ রানের ধীরস্থির ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে। অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কনও দেখেশুনে ব্যাট করেছেন, ৭৬ বলে করেছেন ৪৬ রান। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেন ২৭ বলে ১৭ রানের ইনিংস।

    শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলে দলকে ২০০ ছুঁইছুঁই অবস্থায় নিয়ে যান। তানভীর ইসলামের ছক্কায় ২০০ পেরোয় দল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ২০৭ রানে।

    ছোট পুঁজি নিয়েও শুরুতে লড়াই করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান কিংবা মিরাজ—কেউই প্রথম উইকেট এনে দিতে পারেননি। তখনই অধিনায়ক মিরাজ আক্রমণে আনেন রিশাদ হোসেনকে।

    ১২তম ওভারে বল হাতে আসার পরই রিশাদ এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। এথানেজকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু ধসের। পরের ওভারগুলোতে কেসি কার্টি, ব্রেন্ডন কিং, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে দেন একে একে।

    এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ উইকেটই তুলে নেন রিশাদ। এরপর তিনি শেষ উইকেট জেডেন সিলসকেও আউট করে ম্যাচ শেষ করেন ৬ উইকেট নিয়ে।

    মুস্তাফিজুর রহমান শেষ স্পেলে দারুণ দুটি উইকেট নেন। তানভীর ইসলাম পান ১ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৩ ওভার ২ বলে অলআউট হয় ১৩৩ রানে।

    বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স খুব একটা চোখে পড়ার মতো ছিল না। কিন্তু বোলিং বিভাগে রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে ম্যাচের বাইরে নিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

    ব্যাট হাতে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা রিশাদ বল হাতে তুলে নেন ক্যারিয়ারের সেরা ৬ উইকেট। ম্যাচের সেরা পারফরমার তিনিই।

    এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…