এইমাত্র
  • কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণ
  • ‘দেশি মুরগি খেতে না পারা’ আলোচিত শিক্ষিকার ছয়তলা নিজস্ব ভবন রয়েছে
  • তেজগাঁওয়ে থেমে থাকা ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
  • টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
  • দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলছে ভারত
  • থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের ফের পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
  • রেলওয়ের সকল স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
  • পেরুতে সড়ক থেকে গভীর খাদে বাস, নিহত অন্তত ৩৭
  • ইসরায়েলি সেনাদের যৌন নির্যাতনের ভয়াবহতা বর্ণনা করলেন ফিলিস্তিনি নারী
  • গাজায় এক মাসেই ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি ভাঙল ইসরায়েল
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
    খেলা

    মেহেরপুরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

    মেহেরপুরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

    ঢাকঢোল ও কাঁসার বাজনার তালে নাচছে লাঠিয়াল দলের সদস্যরা। লাঠির বিশেষ কসরতে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে রক্ষা ও প্রতিহতের উন্মাদনা। এ যেন লড়াই ও মুগ্ধতার দৃশ্য। আর এ দৃশ্য অবলোকন করতে ভিড় করেছে দূরদূরান্ত থেকে আসা হাজারও মানুষ।

    গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে মেহেরপুরের গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এ লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে গাংনী ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় লাঠি খেলা। পালাক্রমে ৪টি দল এতে অংশ নেয়।

    গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল।

    ঢাক-ঢোলের বাজনায় ও গানের তালে তালে লাঠি দিয়ে চলে পাল্টা-পাল্টি আক্রমণ। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তালে-তালে। হাতে তালি ও হইহুল্লোড়ে লাঠিয়ালদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন হাজারও দর্শক। ব্যাপক জনসমাগমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে এ যেন এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

    লাঠিয়ালরা জানান, এক সময় আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে লাঠিখেলা প্রচলিত ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে লাঠি খেলা এখন শুধুমাত্র প্রদর্শনী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই লাঠিয়াল দলগুলো আরও ভালো করবে বলে মনে করেন নবীন ও প্রবীণ লাঠিয়াল খেলোয়াড়রা।

    আশপাশ ও দূরদূরান্তের চারটি লাঠিয়াল দল এ খেলায় অংশ নেয়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে লাঠিয়াল ও অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় প্রীতিভোজের। দীর্ঘদিন পর প্রায় অধুনালুপ্ত এ আয়োজনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সবাই। সবার প্রত্যাশা একটাই- এ খেলাকে আগামীতেও যেন বাঁচিয়ে রাখা হয়।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…