দীর্ঘ ৩ দশক ধরে সুরেলা কণ্ঠের মাধ্যমে দেশের অগুণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও সংগীতপ্রেমীদের গান উপহার দিয়ে আসছেন জনপ্রিয় গায়ক মনির খান। যার কণ্ঠে দুর্দান্ত সব গানের কারণে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। সংগীতের প্রতি যেমন ভীষণ অনুরাগী, একইভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে সময় ব্যয় করছেন।
মনির খান বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ও সরব ছিলেন দলটির রাজনীতিতে। ফলশ্রুতিতে একসময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বিএনপির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
‘অঞ্জনা’ খ্যাত এ গায়ক রাজনীতিবিদ থেকে এবার নিজ নির্বাচনি এলাকা ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় অন্যজনকে নির্বাচন করা হয়েছে। দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
এর আগে একবার মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ার অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন মনির খান। ওই সময় অভিমানও দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় নাম না থাকলেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যা এখন প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছে কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া শিল্পীকে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টা ৪০মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মনির খান। ছবিতে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মেহেদী হাসান রনি ও গায়ক একসঙ্গে আছেন। ক্যাপশনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা লিখেছেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩ এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
মনির খানের এ পোস্ট ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী মহলে। মন্তব্যের ঘরে প্রিয় তারকাকে সম্ভাব্য প্রার্থী না করায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকে। একইসঙ্গে তারা দলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করায় সাধুবাদ জানাচ্ছেন প্রিয় গায়ককে।
একজন লিখেছেন, ‘আপনি মহত মানুষ তার প্রমাণ দিলেন।’ আরেক জন লিখেছেন, ‘একেই বলে নেতা, কেন্দ্র যাকে দেবে তার পক্ষে নির্বাচন করে যাব। আপনি কথা রেখেছেন, এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’ এছাড়া একজন লিখেছেন, ‘আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল সবসময় স্যার। সামনে ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। স্যার আপনার তুলনা হয় না।’
এইচএ