নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক ঐতিহাসিক ও আনন্দঘন মুহূর্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়েলিংটনে নব প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব (কাউন্সিলর) হিসেবে যোগ দিয়েছেন জনাব ইস্তিয়াক উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অকল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে, ৫ নভেম্বর BANZI (Bangladesh Association New Zealand Inc.)-এর প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেয়।
এই নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়বে এবং নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সেবায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে প্রবাসীরা আশা প্রকাশ করেছেন।
তবে হাইকমিশনের আনুষ্ঠানিক সেবা কবে থেকে শুরু হবে, তা পরবর্তীতে জানানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, খুব শিগগিরই হাইকমিশনারসহ আরও দুইজন কর্মকর্তা নিউজিল্যান্ডে যোগ দেবেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওয়েলিংটনে হাইকমিশনের অফিস চালু হবে এবং পূর্ণাঙ্গ কনস্যুলার ও কূটনৈতিক সেবা— যেমন পাসপোর্ট, ভিসা, এটেস্টেশন ও কল্যাণমূলক সহায়তা— প্রদান শুরু হবে।
এই সাফল্য এসেছে প্রবাসী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলস্বরূপ। বহু বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিরা নিজস্ব কূটনৈতিক মিশনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দূরদর্শী উদ্যোগ ও নিউজিল্যান্ড সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা।
BANZI-এর সভাপতি মেহেদী হাসান খান চৌধুরী বলেন, “এই সাফল্য আমাদের সবার। এটি শুধু একটি অফিস নয়, বরং নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের মর্যাদা, উন্নয়ন ও প্রবাসী শক্তির প্রতীক।”
একজন প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, “সরকারের এই উদ্যোগে শুধু বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড সম্পর্কই জোরদার হবে না, বরং প্রবাসীদের ব্যবসা ও সেবার সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।”
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এই নতুন অধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য গর্ব, স্বস্তি ও নতুন আশার বার্তা বয়ে এনেছে— কারণ এখন ওয়েলিংটনের আকাশে কূটনৈতিকভাবে উড়বে বাংলাদেশের নিজস্ব পতাকা।
এনআই