হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২৩৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে, প্রার্থী না দেওয়া বাকিগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জের এই আসনটিও রয়েছে। ফলে নবীগঞ্জ ও বাহুবলের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে—কে পাচ্ছেন ধানের শীষের প্রতীক।
আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন- যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া এবং নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। তবে সম্প্রতি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় এখন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনে। এই তিনজনই বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন।
দলীয় মনোনয়নের প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি দলে যোগদান করেছি তা ঠিক আছে। দল এ আসনে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে সময় নিচ্ছে। দলের নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলছেন, তারা আরও কিছু স্থানে এখনও প্রার্থী মনোনীত করেননি। বাকিগুলো একসঙ্গে করা হবে।’
শেখ সুজাত মনোনয়ন পাচ্ছেন—এমন কথার জবাবে তিনি মন্তব্য করেন, ‘শেখ সুজাতকে আসনটি যদি দেওয়া হয়, তা হবে হাস্যকর। এখন বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার অপেক্ষায় আছি আমি।’
রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ ও বিভক্ত দল আমজনতার দলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জানান, মনোনয়ন পাওয়া দাবিদার তিনি। এখন যদি বাইরের কাউকে দেওয়া হয়, তা দলের নেতা-কর্মীরা মেনে নেবেন বলে মনে হয় না।
নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীও মনোনয়ন চাইছেন। তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী নির্ণয়ে যে ক্রাইটেরিয়া দিয়েছেন, তার পুরোটাই আমার দ্বারা পূরণ করা সম্ভব। কারণ, আমিই একমাত্র প্রার্থী এলাকায় থেকে দলের জন্য কাজ করছি। বাকিরা সবাই বাইরের লোক। সে হিসেবে দল আমাকেই মনোনয়ন দেওয়ার কথা।’
হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে কেবল হবিগঞ্জ-১ আসনটি বিএনপি ফাঁকা রেখেছে। দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় এই তিনজনের সমর্থকদের মধ্যে চলছে কর্মতৎপরতা, আর এলাকাবাসী তাকিয়ে আছে বিএনপির ঘোষণার দিকে।
ইখা