তুরস্কের সামরিক বিমান সি-১৩০ বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানে থাকা ২০ জন সেনার সবাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং সিগনাঘি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার নিহত সেনাদের শহিদ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তুরস্ক ও জর্জিয়ার যৌথ তদন্ত দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড মার্টিন এ ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল মেঘ তৈরি করে মাটিতে বিধ্বস্ত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ।
সামরিক কার্গো বিমানের এ ঘটনাটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক দুর্ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাতার, ইরান, মিশরসহ বিভিন্ন দেশ ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লকহিড মার্টিন নির্মিত সি-১৩০ চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান যা বিশ্বের বহু দেশের সেনাবাহিনীতে মালামাল ও সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
এমআর-২