বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দীর্ঘ ১৬ বছর কাজ করার পর বিদায় নিচ্ছেন শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। ২০১০ সালে দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দেওয়া এই কিউরেটরের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্কের ইতি টেনেছে বিসিবি।
বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ ছিল, বিসিবির সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আনামের প্রভাবেই এতদিন পদে টিকে ছিলেন গামিনি। তবে বিদায় বেলায় দেশের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সেই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছেন।
গামিনি বলেন, ‘একজন অযোগ্য মানুষকে কেউ ১৬ বছর ধরে চাকরিতে রাখে না। যারা বলে মাহবুবের জোরে টিকে ছিলাম, তারা ভুল বলেন। কারও আশীর্বাদে নয়, নিজের কাজের যোগ্যতায় ছিলাম।’
গুঞ্জন আছে, বিসিবির সাবেক প্রভাবশালী পরিচালক মাহবুবুল আনামের সুপারিশ ও আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এতদিন চাকরি টিকিয়ে রেখেছিলেন। তাছাড়া মাহবুবুল আনামের শ্রীলঙ্কা অফিসে কাজ করতেন গামিনির স্ত্রী। গুঞ্জন আছে, তার স্ত্রীর সুবাদে চুক্তি নবায়ন সহজ হয়েছিল।
তবে এসব গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছেন গামিনি। তিনি বলেন, ‘মানুষ গল্প বানাতে ভালোবাসে। কেউ কেউ মাহবুবের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমাকে টেনেছে। এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।’
মিরপুরের স্লো ও লো উইকেট নিয়ে বহু সমালোচনার মুখে পড়েছেন গামিনি ডি সিলভা। তবে তার দাবি, তিনি কেবল বোর্ডের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছেন।
এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি। পরিচালকরা যেমন উইকেট চেয়েছেন, ঠিক তেমনই করেছি। আমাকে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রয়োজন মেটানোর জন্য।’
দীর্ঘ সময়ে কোনো নতুন কিউরেটর তৈরি না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তিনি তা মানতে নারাজ এই পিচ কিউরেটর। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকজনকে তৈরি করেছি। সিলেটের কবির এখন কিউরেটর, মামুন কাজ করছে নেপালে, রাসেল চীনে। আরও কয়েকজন শিগগিরই বড় পরিসরে কাজ শুরু করবে।’
গামিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সয়েল সায়েন্স থেকে নিয়োগ পাওয়া চারজনকেও তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং কিছু কর্মীকে পাঠানো হয়েছে দুবাইয়ে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য।
আরডি