ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার নদীবিধৌত চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯২টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১৮৪টি ছাগল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ছাগল বিতরণ করা হয়। উপজেলার বানা, টগরবন্দ ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারের হাতে দু'টি করে মোট ১৮৪টি ছাগল তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আসজাদ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত দেন, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘মধুমতি নদী বিধ্বস্ত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী খামারিদের পর্যায়ক্রমে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার টগরবন্দ, গোপালপুর, বানা ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত এলাকার ১ হাজার ৮৪৮ জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর ফলে তারা নিজেদের ঘরে বসে ছোট পরিসরে পশুপালন ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০০ জন সুফলভোগী খামারির হাতে ২১টি করে মোট ২,১০০টি হাঁস প্রদান করা হয়েছে।’
আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন জানান, ‘এই প্রকল্পটি নদীবিধৌত চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ছাগল বিতরণের পাশাপাশি পরিবারগুলোকে ছাগল পালনের উপর প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবাও দেওয়া হবে। যা তাদের দারিদ্র্য বিমোচন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।’
এসএম