আওয়ামী লীগ কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিরোধ, জুলাই-সহ সকল গণহত্যার বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবি, আইন শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের উদাসীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
এসময় ‘নারায়ে-তাকবির, আল্লাহু আকবর; সারা বাংলায় খবর, মুজিববাদের কবর, মুক্তির মূল মন্ত্র, ইসলামি শাসনতন্ত্র; চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়৷
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বারবার ঘোষণা দিচ্ছে তারা বাংলার মাটিতে আবার মাথা উচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু এ জুলাই বিপ্লবী ছাত্রসমাজ তা হতে দিবে না। আগামীকালে যে কর্মসূচি দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই— “দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না”।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, 'সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী নির্বাচনের আগে গণভোট এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে।'
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনারা জুলাই বিরোধীদের কাঙ্ক্ষিত শাস্তি দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাবেক প্রক্টর জুলাই আন্দোলনকারীদের হয়রানি সহ ৪ আগস্ট মিছিলে যারা অংশগ্রহণ করে মিছিল দিয়েছিল, তারা ভালো বা খারাপ হোক, তাদের পরিচয় হলো— তারা তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে মিছিল দিয়েছিল। তাদের সাময়িক বহিষ্কার নয়, বরং স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হোক।'
এনআই