ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত ছয় পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কে পড়ে অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তব্য এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হতে পারে তিনি সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। যদিও চিঠি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যম। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মানহানিকর উপস্থাপনার জন্য বিবিসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ১ বিলিয়ন ডলারের মামলার কথাও বলা হয়। তাদের অভিযোগ ছিল, ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের বক্তব্যকে “ভুলভাবে কেটে–ছেঁটে” এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ জানান, তারা হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্পের বক্তব্য যেভাবে এডিট করা হয়েছিল, তা অনুচিত এবং এর জন্য বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রামাণ্যচিত্রটি আর কোনো প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হবে না।
তবে মানহানির অভিযোগে ক্ষতিপূরণের দাবি বিবিসি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, ‘ট্রাম্পের সুনামহানির মতো কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল আমরা পাইনি।’
এ ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টার্নেস। টার্নেস বলেন, ‘নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব আমার ওপরই ছিল। তাই এই ভুলের দায়ও আমাকেই নিতে হবে।’
আরডি