এইমাত্র
  • যশোরে স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক
  • নামিবিয়ার দায়িত্ব নিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
  • হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
  • লালমনিরহাটে দ্বিতীয় দফায় হরিজনদের মানববন্ধন
  • পরিচয় শনাক্তে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ মরদেহ তোলা শুরু
  • স্কালোনির কাছে ক্ষমা চাইলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
  • এনসিপিসহ ৩ দলের নতুন জোটের ঘোষণা বিকেলে
  • প্রজন্ম লীগ নেতার নেতৃত্বে সাবেক সেনা সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ
  • বিএনপির প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার, শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক
  • আজ রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নওগাঁয় ভেজাল মাছের ওষুধ তৈরির হিড়িক, দ্রুত ব্যবস্থা চায় চাষিরা

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম

    নওগাঁয় ভেজাল মাছের ওষুধ তৈরির হিড়িক, দ্রুত ব্যবস্থা চায় চাষিরা

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম

    নওগাঁয় কোন অনুমোদন ছাড়াই অন্য কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে চলছে ভুয়া মৎস ঔষুধ তৈরির হিড়িক। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ভুয়া মেডিসিন তৈরি হলেও নেই কোন যথাযত পদক্ষেপ। এসব ভেজাল ঔষুদের প্রভাবে মাছের নানা রকম রোগ বালাই থেকে শুরু করে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মৎস চাষিদের। ফলে তাদের দাবি দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তি নিশ্চত করার।

    তথ্য অনুসন্ধানে দেখাগেছে, নওগাঁর ডাক্তারের মোড় সংলগ্ন সামসুদ্দীনের নর্থ বেঙ্গল গ্রেইন ইন্ডাস্ট্রিজ লি: অটোরাইস মিলের কাছে মেইন রোড সংলগ্ন একটি গোডাউন ঘর ভাড়া নিয়ে মোস্তাফিজুর নামে এক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকার মাছের ঔষুধ তৈরি করছে। নেই কোন সাইনবোর্ড, বাইরের গেটে তালা দিয়ে ভিরতে চলছে এসব অপকর্ম। বাইরে থেকে দেখলে পরিত্যক্ত গোডউন ছাড়া আর কিছু মনে হবেনা। অথচ ভিতরে চলছে এলাহী কান্ড।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়-গোডাউন ঘরের ভেতর শিশুসহ বেশ কয়েকজন কন্টিনার, বস্তার প্যাকেট থেকে ভিন্ন মেডিসিনের সংমিশ্রন তৈরি করছেন।

    গোডাউন ঘুরে দেখাযায়, গ্যালাক্সো ক্লিন, গ্যালাক্সো ফাস্ট, গ্যালাক্সো অ্যাকুয়া, গ্যালাক্সো নিল, গ্যালাক্সো গ্রোথসহ নানান পন্যর মোড়ক ও খালি সাদা বোতল রয়েছে। বড়বড় নীল রঙের কন্টিনার ও বিভিন্ন মেডিসিনের বস্তা থেকে ড্রামে ঢালা হচ্ছে এসব মেডিসিন তারপর মিশ্রন ভালোভাবে গুলিয়ে কাকের সাহায্যে ছোট ছোট বোতলে ঢেলে লেভেল লাগিয়ে তা বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

    বোতলের গায়ে গ্যালাক্সো এগ্রোভেট লি: (Glaxo Agrovet Ltd.) ঢাকা, বাংলাদেশ কোম্পানির লেভেলিং করে বাজারজাত করছেন তারা। অথচ এই কোম্পানির সাথে তাদরে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন গ্যালাক্সো এগ্রোভেট।

    কোন কেমিস্ট ছাড়াই অনভিজ্ঞ শিশু দ্বারাই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ভেজাল মাছের ঔষুধ। বাংলাদেশে রি-প্যাকিং এর অনুমোদন না থাকলেও তারা বড়বড় কন্টিনার থেকে ছোট ছোট বোতলে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে রি-প্যাকিং।

    সেখানে কর্মরত বেশ কয়েক জনের সাথে এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে মুখ খোলেনি কেউ।

    অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন- রাহাত কর্পোরেশন নামে আমার ডিপো অফিসের অনুমোদন নেয়া আছে। এখানে কোন কিছু তৈরি হয়না, আমি চায়না থেকে মালামাল নিয়ে আসি ছেড়া ফাঁটা মাল গুলো ঠিকঠাক করি এই।

    অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন- মহাদেবপুর মৎস অফিস থেকে অনুমোদন নিয়েছি। আমার সব কাগজপত্র আছে।

    মহাদেবপুর মৎস অফিসে খোঁজ নিয়ে জানাযায়- প্রায় মাস খানেক আগে তিনি মহাদেবপুর উপজেলার ধনজইল বাজারে “রাহাত কর্পোরেশন” নামে মাছের ফিডের কাঁচামাল আমদানি করার জন্য আবেদন করেছেন। যার কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি। আবেদনটি এখনো যাচাই বাচাই চলছে।

    মহাদেবপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় বলেন- তিনি মাছের খাদ্যের কাঁচামাল আমদানি জন্য আবেদন করেছেন। তাকে কোন অনুমোদন তো দেয়া হয়নি, যাচাই চলছে। আর ধনজইল বাজারের ঠিকানা দিয়ে নওগাঁ সদরের মাঝে গোডাউন এটা তো প্রশ্নই আসেনা। তাছাড়া আবেদনে এক আর প্রডাক্ট করছে আরেক এটা তো আরেকটা প্রতারণা।

    তিনি আরো বলেন- মাছের মেডিসিন রি-প্যাকিং করাই যাবেনা। তাছাড়া প্রতারণা করে অন্য কোম্পানির নাম, মোড়ক ব্যাবহার করা এটা তো বিরাট অপরাধ, এটা তিনি অন্যায় ভাবে করছেন, আমরা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    গ্যালাক্সো এগ্রোভেট লি: এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাসিম আহম্মেদ বলেন- নওগাঁয় আমাদের কোন শাখা নেই। আমাদের ফ্যাক্টরি ঢাকাতে। এবং রাজশাহীতে আমাদের অফিস রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের কোথাও কোন অফিস বা ফ্যাক্টরি নেই আমাদের।

    তিনি আরো বলেন- আপনাদের মাধ্যমে জানার পর আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়েছি। আমাদের কোম্পানির একজন কর্মচারি আব্দুর রহিম তার নাম, তিনি মহাদেবপুর উপজেলার সিনিয়র মার্কেটিং অফসার হিসেবে দ্বায়ীত্বে রয়েছেন। তিনি এবং মোস্তাফিজুর মিলে আমার কোম্পানির প্রডাক্টের নাম-ঠিকানা হুবহু ব্যবহার করে এসব নকল ঔষধ রি-প্যাকিং করে বাজারজাত করছে।

    এতে করে আমাদের কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছি।

    নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী বলেন-আমরা মাছের ঔষুধ তৈরির কোন অনুমোদ দিইনা। আমাদের দপ্তর থেকে কেউ যদি মাছের খাদ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে চায় সেটার অনুমোদন দেই। ঔষুধ তৈরির তো প্রশ্নই আসেনা।

    তিনি আরো বলেন- অন্য কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত এটা তো মহা অপরাধ। আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…