“বাঘার অসহায় আছমতের আত্মনাদ: আমাকে সবাই বাঁচান, প্রয়োজন সহযোগিতা” শিরোনামে সময়ের কণ্ঠস্বরে প্রকাশিত এ সংবাদটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। খবরটি বিএইসআর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিপ্লব হোসেন (জাকির) এর নজরে আসতেই তিনি দ্রুত সময়ের কণ্ঠস্বর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অসুস্থ আছমত আলীর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার ও দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী আছমত আলী দীর্ঘদিন ধরে পায়ের পঁচা ঘায়ের যন্ত্রণায় ভুগছেন। একসময় সুস্থ-সবল এই মানুষটি সাত বছর আগে বৃষ্টির পানিতে পড়ে কোমরে গুরুতর আঘাত পান। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে ঘা আরও বৃদ্ধি পেয়ে অসহনীয় ব্যথা ও চুলকানিতে রাতের পর রাত নিদ্রাহীন কাটছে তাঁর।
টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায়, বাধ্য হয়ে স্থানীয় কবিরাজের কাছে স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি যার ফলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এখন হাঁটা তো দূরের কথা, দাঁড়িয়েও থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর জন্য।
সংবাদটি প্রকাশের পরপরই বিএইসআর গ্রুপের সিইও বিপ্লব হোসেন (জাকির) তাঁর উন্নত চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এতে আছমতের পরিবারে স্বস্তির সঞ্চার হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বিএইসআর গ্রুপের সিইও বিপ্লব হোসেন (জাকির) বলেন, আমরা আর কত দিনই বা বাঁচবো ! এই অল্প সময়ে যতটা পারি মানুষের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার সামান্য উদ্যোগে যদি একজন অসুস্থ মানুষের কষ্ট একটু হলেও কমে, তবে এর চেয়ে বড় তৃপ্তি বা আনন্দ আর কিছু হতে পারে না ।
একই পোস্টটি বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাম্মী আক্তারের নজর এড়ায়নি। আছমত আলীর পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেনে তিনি মানবিক উদ্যোগ হিসেবে পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন।
এসআর