পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা আমলী আদালত-২ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ আসামির জামিন শুনানীর দিন ধার্য ছিল। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করে। এটি জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এবং মহিলা বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরবর্তী হাজিরার তারিখ আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি ধার্য্য করেছে আদালত।
অ্যাডভোকেট কণিকা বলেন, এখন মামলা তদন্ত হবে, তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল হবে। তখন আমরা যদি দেখি অভিযোগপত্র বা তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি, তখন আমরা না রাজি আবেদন সহ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেবো। আমরা চাই তদন্ত সঠিকভাবে হোক, এই বিচারের শাস্তি নিশ্চিত হোক।
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (PAW) এর স্থানীয় প্রতিনিধি প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী হিসেবে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। সঠিক বিচারের জন্য আগামীতে এই মামলাটি চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রতিবাদটা হলো নিষ্ঠুরতা বা হিংস্রতার বিরুদ্ধে। ওই আসামির বিরুদ্ধে নয়। নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে একটা শাস্তি হলে অনেকেই সতর্ক হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন এর স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুর ছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে ফেলে দেন। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কুকুরছানাগুলোর মরদেহ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলাটি করেন। ওই রাতেই ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এসআর