এইমাত্র
  • ৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
  • আজ সোমবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    লোহাগড়ায় অবৈধ ৩৭ টি ইটভাটায় পরিবেশের বিপর্যয়

    মো. মিনহাজ উদ্দীন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
    মো. মিনহাজ উদ্দীন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম

    লোহাগড়ায় অবৈধ ৩৭ টি ইটভাটায় পরিবেশের বিপর্যয়

    মো. মিনহাজ উদ্দীন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৩৮ টি ইটিভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টির বৈধ কাগজপত্র নেই। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এসব ভাটায় মাটি কেটে ড্রাম চিমনি ও সাধারণ মানের চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি ও লোকালয়ে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর পরও নানা কারণে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে এসব ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বনের গাছ উজাড় হচ্ছে। এ ছাড়া সারা বছর এসব ইট ও ইট তৈরির কাঁচামাল পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ব্যবহার করে চলাচলের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

    সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিছু কিছু ইতোমধ্যে পোড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বেশী ইটভাটা রয়েছে চরম্বা ইউনিয়নে। এখানে প্রায় ১৮ টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাহাড়ি কাঠের সহজলভ্যতার কারণে এবং পাহাড়ি মাঠি ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারার কারণে এই ইউনিয়নে ইটভাটা বেশী স্থাপিত হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠা এসব অবৈধ ইটভাটা দ্রুত অপসারণ করা না হলে, একদিন লোহাগাড়া বসবাসের অযোগ্য ভুমি হয়ে দাঁড়াবে। স্থানীয় প্রশাসন কেন এসব অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করে দিচ্ছে না তা তাদের মাথায় আসে না। ইটভাটার মালিকরা টাকা ওয়ালা হওয়ায় তাদের কাছে সবাই ম্যানেজড হয়ে যায়।

    লোহাগাড়া উপজেলার কয়েকজন ইটভাটার মালিক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই। ইতোমধ্যে ইটভাটার মালিকরা লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন।

    পরিবেশ কর্মী সানজিদা রহমান বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত সময়ে বন্ধ করা হোক। এগুলো বন্ধ হলে আমাদের পরিবেশ প্রাণ ফিরে পাবে।’

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধ কোনও কাগজপত্র ছাড়া ইটভাটা করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে খুব দ্রুত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা কর হবে।’

    এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা করার কোনও সুযোগ নেই। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…