পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালনকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। অন্যদিকে সরকার বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরাসি দূতাবাস জানায়, বেনিনের প্রধান শহর কটোনুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। অভ্যুত্থানকারীরা সংবিধান স্থগিত, স্থলসীমান্ত ও আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, প্রেসিডেন্ট তালন নিরাপদে আছেন এবং টিভি স্টেশনে থাকা এই ছোট দলটির নিয়মিত সেনাবাহিনীর সমর্থন নেই।
বেনিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেগুন আজাদজি বাকারি রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেনাবাহিনীর বড় অংশ এখনো সরকারের পক্ষেই রয়েছে—আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এক প্রেসিডেন্সিয়াল কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, এটি কেবল একটি ছোট দল, যারা শুধু টেলিভিশন স্টেশন দখল করেছে। শহর ও দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।
টিভিতে পাঠ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল টিগ্রি পাস্কাল সামরিক ট্রানজিশন কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন। তারা প্রেসিডেন্ট তালনের দেশ পরিচালনার ধরনকে অভিযুক্ত করে এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা দেখিয়েছে।
বিবিসি জানায়, ৬৭ বছর বয়সী তালন আগামী বছর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আসন্ন এপ্রিলেই দেশটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসা তালন ‘কটন কি’ হিসেবে পরিচিত। তিনি তৃতীয় মেয়াদে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে উত্তরসূরিও ঘোষণা করেছেন। তবে ফরাসি দূতাবাস তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বেনিন আফ্রিকার স্থিতিশীল গণতন্ত্রগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত হলেও এটি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। দেশটি আফ্রিকার বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী।
এমআর-২