এইমাত্র
  • গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
  • সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ
  • টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
  • শার্শায় প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • টঙ্গীতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
  • একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী
  • স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন স্ত্রী
  • ৮৫ যাত্রী নিয়ে সেনেগালের বোয়িং উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে
  • আজ শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার সময় হাতকড়া খুলে পালাল আসামি

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম
    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম

    আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার সময় হাতকড়া খুলে পালাল আসামি

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম

    শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্ত্বর থেকে বাবু ফকির (২৫) নামে এক হত্যা মামলার আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের এজলাস কক্ষের বাহিরে এই ঘটনা ঘটে।

    পলাতক বাবু ফকির সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়াচাঁন ফকিরের ছেলে। এছাড়াও সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী মাদবর হত্যা মামলার আসামী বাবু ফকির।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজনদোয়াল এলাকার একটি পুকুর থেকে সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নি বেগম ও বাবু ফকির নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।

    পরে শুক্রবার মোহাম্মদ আলী মাদবরের ভাই কারামত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মুন্নি বেগম ও বাবু ফকিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। শনিবার বিকেলে এজলাস কক্ষে ১ং আসামী মুন্নি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার সময় বিচারক কক্ষের বাহিরে বেঞ্চে হাতকড়া পড়া অবস্থায় পুলিশি পাহারায় বসে ছিলো ২নং আসামি বাবু ফকির। এসময় সে প্রকৃতির ডাকে বাহিরে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো বাবু ফকিরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক বাবু ফকিরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে আসামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হচ্ছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি তাকে অচিরেই গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনায় কারো যদি দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মিলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ঘটনার বিবরনের প্রকাশ, প্রায় ৯ বছর আগে মোহাম্মদ আলী মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় মুন্নি বেগমের। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মুন্নি বেগম প্রায়ই তার পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের সঙ্গে পালিয়ে চলে যেত। কিছুদিন আগেও মুন্নি বেগম মামুনের সঙ্গে পালিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ছোট সন্তানদের কথা ভেবে মোহাম্মদ আলী মাদবর তার স্ত্রী মুন্নিকে আবার ফিরিয়ে আনে। এরপরও পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার বিভিন্ন ভাবে মুন্নি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করত। গত বুধবার রাতে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা জানতে পারে মোহাম্মদ আলী ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। এরপর বাড়িতে গিয়ে মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন ও তার সঙ্গীদের কাছে তুলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। এই ঘটনায় মুন্নি বেগম ও বাবু ফকিরকে আটক করে থানা পুলিশ খবর দেয় এলাকাবাসী।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…