এইমাত্র
  • আতশবা‌জি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
  • সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
  • সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
  • ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
  • চীনের বিনিয়োগে দেশে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল
  • আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
  • শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
  • ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
  • আজ সোমবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    আপনার স্বাস্থ্য

    রাতে রিলস-শর্টস ভিডিও দেখলে শরীরের কতটা ক্ষতি হয় জানেন?
    আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় সবাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে কম-বেশি সকলেই পরিচিত। প্ল্যাটফর্মগুলোয় অধিকাংশ ব্যবহারকারীরই রিলস ও ভিডিও দেখার অভ্যাস রয়েছে। এরমধ্যে তরুণ ও মধ্যবয়সী মানুষের সংখ্যা বলা যায় উল্লেখযোগ্য।তাৎক্ষণিক বিনোদন পাওয়ার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে শুয়ে শুয়ে রিলস বা শর্টস ভিডিও দেখা অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক স্টাডিতে রিলস দেখা মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এবার তাহলে রাতে রিলস দেখার প্রভাব সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।রাতে স্ক্রিন টাইম ও রক্তচাপের ঝুঁকির মধ্যে সংশ্লিষ্টতা: এক গবেষণায় ৪ হাজার ৩১৮ চীনা নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তারা সবাই তরুণ ও মধ্যবয়সী ছিলেন। গবেষণার লক্ষ্য ছিল, ঘুমানোর সময় স্ক্রিনে সময় ব্যয় করা এবং অংশগ্রহণকারীদের রক্তচাপের মাত্রা, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের পরিবর্তনের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো সম্পর্ক বিদ্যমান কিনা তা নির্ধারণ করা।গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ঘুমের আগে রিলস বা শর্টস ভিডিও দেখা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে ফেলে। যা ভয়াবহ। কেননা, এটি স্পষ্ট যে স্ক্রিনে সময় ব্যয় থেকে দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস হৃদরোগের জন্য লক্ষণ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে।ভারতের বেঙ্গালুরুর হদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দীপক কৃষ্ণমূর্তি এ ব্যাপারে বলেন, ছোট ভিডিওর প্রতি আসক্তি কেবল উল্লেখযোগ্য সমস্যাই তৈরি করে না। বরং রক্তচাপ বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। এসবের ক্ষতির কারণে রিলস ও শর্টস ভিডিওর প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে নিজেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।উচ্চ রক্তচাপের ওপর রিলস-শর্টস ভিডিওর প্রভাব: ঘুমানোর আগে রিলস ও শর্টস দেখার সঙ্গে সাধারণ স্ক্রিন টাইম আলাদা। টেলিভিশন দেখা, ভিডিও গেম খেলা বা কম্পিউটারে কাজ করার মতো স্ক্রিন টাইমে অল্প পরিমাণ শারীরিক কার্যকলাপ প্রয়োজন হয়। একজন ব্যক্তি টেলিভিশন দেখার সময় নড়াচড়া করতে পারেন।এদিকে রিলস-শর্টস ভিডিও দেখার সময় বসে থাকা হয়। গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে যে, গভীর রাতে এসব ভিডিও দেখার সঙ্গে শারীরিক আচরণ নিস্ক্রিয়। এ জন্য শারীরিক নড়াচড়া কম হয় এবং এ জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এফএস
    রোজা রেখে কী ইনসুলিন রেসিস্টেন্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
    ইনসুলিন রেসিস্টেন্স শব্দটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। যখন শরীরের বিভিন্ন কোষ ইনসুলিনকে ব্যবহার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বা ইনসুলিনের বিরুদ্ধে শরীরের অঙ্গগুলো প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তাকেই ইনসুলিন রেসিস্টেন্স বলা হয়। এই অবস্থায় শরীরে গ্লুকোজ বা ব্লাড সুগার বেড়ে যায়, যা টাইপ টু ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিলতার কারণ হতে পারে। ইনসুলিন রেসিস্টেন্স এবং এটা রোজা রেখে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা সে সংক্রান্ত বিষয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।   ‘ইনসুলিন রেসিস্টেন্স’ একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা তখন ঘটে যখন আমাদের লিভার এবং পেশিগুলো ইনসুলিন ব্যবহার করার পরিবর্তে এটি প্রতিরোধ করতে শুরু করে।ইনসুলিন কী: ইনসুলিন হল মানবদেহে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা আমাদের শরীরে রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গ্লুকোজ শরীরের শক্তির প্রধান উৎস, এবং যখন শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। এটি গ্লুকোজকে শরীরের কোষে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে, যেখানে তা শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার হয় অথবা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ইনসুলিন রেসিস্টেন্স: ইনসুলিন রেসিস্টেন্স তখন ঘটে যখন শরীরের কোষ ইনসুলিন ব্যবহার করার পরিবর্তে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। ফলে, অগ্নাশয় অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করতে থাকে, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইনসুলিন রেসিস্টেন্সের কারণ ইনসুলিন রেসিস্টেন্সের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেমন:স্থূলতা: পেটে অতিরিক্ত চর্বি শরীরে ইনসুলিন রেসিস্টেন্স বাড়াতে পারে।শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: জীবনযাপনে শারীরিক কার্যকলাপের অভাব এই অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।খারাপ খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার ইত্যাদি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ইনসুলিন রেসিস্টেন্স সৃষ্টি করতে পারে।ঘুমের সমস্যা: ঘুমের অভাব বা ঘুমের মান খারাপ হলে আমাদের শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।জেনেটিক্স: কিছু মানুষ জিনগতভাবে এই সমস্যা হতে পারে।দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ: আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন (যেমন করটিসল) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।স্বাস্থ্যগত জটিলতা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগগুলো ইনসুলিন রেসিস্টেন্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।বয়স: বয়স যতো বাড়ে, আমাদের অঙ্গ এবং তাদের কোষ ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে ধীরে ধীরে ইনসুলিন রেসিস্টেন্স তৈরি হয়।রোজায় কী ইনসুলিন রেসিস্টেন্স সম্ভব: রমজান মাসে মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেকে এই মাসে নিয়মিত রোজা রাখেন। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো যে, যারা কোনো অসুস্থতা বা রোগে ভুগছেন, তাদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল বার্মিংহামের সাথে যুক্ত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ওয়াসিম হানিফ বলেন, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তিনি বলেন, যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে রোজা রাখা আপনার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং এটি অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতাও সৃষ্টি হতে পারে।তার মতে, কিছু চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজা রাখা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা (ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া) বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যারা টাইপ টু ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেসিস্টেন্সে আক্রান্ত। এছাড়া রমজান মাসে অনেকের ওজন হ্রাস হতে পারে বা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যেতে পারে। এই পরিবর্তন ইনসুলিনের প্রতি আমাদের শরীরের সংবেদনশীলতা এবং মেটাবলিজম অর্থাৎ হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যারা স্থূলকায় (মোটা) তাদের ক্ষেত্রে।তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে ইনসুলিন রেসিস্টেন্সে প্রভাব একেকজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। এটি নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের উপর। অন্যদিকে ওমানের পুষ্টিবিদ রীম আল-আবদুল্লাহ বলেন, আপনি যদি রমজান মাসে মাঝে মাঝে রোজা রাখেন অথবা নিয়মিত রোজা রাখেন, তাহলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এবি 
    আজ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু
    সারা দেশে একযোগে ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ শনিবার (১৫ মার্চ)। ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুরা এই ক্যাপসুল পাবে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীকালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। এর পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে, যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে খুবই সহায়ক ছিল। সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে এবং ভিটামিন ‘এ’- এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন। এরইমধ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুই বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সি সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।এবি 
    রোজা রেখে কম ঘুমের ৫ স্বাস্থ্যঝুঁকি
    রমজানে রোজা রাখার কারণে ঘুমের সময়সূচি বদলে যেতে পারে, যা দীর্ঘ সময় ধরে কম ঘুমের কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।দেখে নিন কম ঘুমের ৫টি স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে- ১. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া: কম ঘুম মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে ব্যাহত করতে পারে, ফলে মনোযোগ কমে যায়, ভুল বেশি হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।২. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে সহজেই সর্দি, জ্বর বা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।৩. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি: কম ঘুমের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।৪. মেটাবলিজমের সমস্যা ও ওজন বৃদ্ধি: অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।৫. মানসিক চাপ ও মুড পরিবর্তন: কম ঘুমের কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও হতাশা বেড়ে যেতে পারে। এতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং সামান্য বিষয়েও রাগ বা হতাশা অনুভব হতে পারে।পরামর্শ-১. রাতের ঘুম কম হলেও দিনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করুন।২. সেহরির পর বা দুপুরে ২০-৩০ মিনিটের "পাওয়ার ন্যাপ" নিলে কিছুটা ঘাটতি পূরণ হতে পারে।৩. ইফতারের পর ভারী খাবার কমিয়ে হালকা খাবার খান, যাতে ঘুম ভালো হয়।৪. ইবাদত ও অন্যান্য কাজের সময় পরিকল্পনা করে নিন, যাতে ঘুমের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে।তবে ঘুমের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবি 
    স্ট্রোকের লক্ষণ ও কারণ, প্রতিরোধে যা করবেন
    স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা। যত অসংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে স্ট্রোক দ্বিতীয় প্রধান কারণ। অনেকের ধারণা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক একই বিষয়। এখানে মনে রাখতে হবে যে হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোক সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি রোগ। এই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।স্ট্রোক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাবনাম মালিকের কাছ থেকে।স্ট্রোক কী ও কেন হয়:ডা. শাবনাম মালিক বলেন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। এটা সাধারণত হয় কোনো কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ যদি বন্ধ হয়ে যায়। সেটা মস্তিষ্কের রক্তনালি ব্লক হয়ে হতে পারে অথবা মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে মস্তিষ্কের কোনো একটি অংশে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই স্থানের কোষগুলো মৃত হয়ে যায়। যার ফলে স্ট্রোকের লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগীর মধ্যে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো সাধারণত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রকাশিত হয়।স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা। যত অসংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে স্ট্রোক দ্বিতীয় প্রধান কারণ। অনেকের ধারণা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক একই বিষয়। এখানে মনে রাখতে হবে যে হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোক সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি রোগ। এই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।স্ট্রোকের লক্ষণ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকবে আর ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক মস্তিষ্কের সতর্কতামূলক সংকেত অর্থাৎ এটা একজন রোগীকে সতর্কতা দেয় যে পরে তার বড় ধরনের স্ট্রোক হতে পারে।স্ট্রোক দুই ধরনের হয়। যেমন:স্কিমিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের রক্তনালি কোনো কারণে ব্লক হয়ে যেতে পারে। সেটার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের রক্তনালি যখন ছিঁড়ে যায় তখন তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বলে।অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ধূমপান ও মদ্যপান, অতিরিক্ত ওজন, অলস জীবনযাপন এবং হার্টের রোগ থেকেও স্ট্রোক হতে পারে। জন্ময়িনন্ত্রণ বড়ি খাওয়া নারীদের স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা-মা বা পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস আছে। তাদেরও স্ট্রোক হতে পারে। এ ছাড়া ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়স এবং তার বেশি বয়সীদের স্ট্রোকের প্রবণতা বেশি। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে স্ট্রোক বেশি হয়।স্ট্রোকের লক্ষণ:ডা. শাবনাম মালিক বলেন, নিউরোলজিস্টরা স্ট্রোকের লক্ষণ ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বোঝার জন্য একটি শব্দ ব্যবহার করেন, সেই শব্দটি হলো- FAST (Face, Arm, Speech, Time)।মূলত মস্তিষ্কের কোন রক্তনালিতে ব্লক হয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করেই স্ট্রোকের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে FAST এর লক্ষণগুলোই স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ।১।  মুখের কোনো এক অংশ বাঁকা হয়ে যাওয়া২।  শরীরের কোনো একটি দিক অর্থাৎ বাম অথবা ডান পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, দুর্বল হয়ে যাওয়া, অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়া।৩। কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্টতা।৪। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে।এ ছাড়া ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, মাথা ঝিমঝিম করা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা, বমি হওয়ার লক্ষণও থাকতে পারে রোগীর মধ্যে। স্ট্রোকে সময়ের গুরুত্ব ও চিকিৎসা:ডা. শাবনাম মালিক বলেন, স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর থেকে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া সম্ভব হলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক যদি দেখেন রক্তনালিতে ব্লক হয়ে স্ট্রোক হয়েছে তাহলে শিরা পথে ইনজেকশন দেওয়া হয়, যেটাকে আই ভি থ্রম্বোলাইসিস বলা হয়। এতে রক্তনালির ব্লক ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সচল হয়ে গেলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসে এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলো সেটার পরিমাণও কমে আসে। রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার পরিবর্তে যদি ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া যায় তাহলে মেকানিক্যাল থ্রম্বেকটমি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে ক্যাথেটার নামক বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীর মস্তিষ্কে রক্তনালিতে যেখানে ব্লক আছে সেখানের জমাট বাঁধা রক্ত বের করে আনা হয়। ফলে রক্ত চলাচল পুনরায় সচল হয়ে যায়।যেসব রোগীরা এই সময়ের ভেতরে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে কিছুই করার থাকে না। ধীরে ধীরে রক্ত জমাট বাঁধার যে প্রবণতা সেটি কম করার জন্য অ্যাসপিরিন বা ইকোস্প্রিন নামক ওষুধ দেওয়া হয়।স্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে আই ভি থ্রম্বোলাইসিস এবং মেকানিক্যাল থ্রম্বেকটমি চিকিৎসা দেওয়া হয়।হেমোরেজিক স্ট্রোকের চিকিৎসায় রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাতের পরিমাণ বেশি হলে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথা থেকে রক্ত বের করা হয়। তবে মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্তনালি ছিঁড়েছে, জমা রক্তপাতের পরিমাণ এবং রোগীর জ্ঞানের পরিমাণ কেমন এসবের উপর ভিত্তি করেই সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ ছাড়া স্কিমিক ও হেমোরেজিক স্ট্রোকের চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি রোগীর যে ঝুঁকিগুলো আছে যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নিয়ন্ত্রণে। স্ট্রোক পুর্নবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত তাদের ফিজিওথেরাপি দিতে হবে।স্ট্রোক প্রতিরোধ:স্ট্রোক প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবনাচারে পরিবর্তন আনতে হবে, অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার করতে হবে। কেউ যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খায় সেটি বন্ধ করতে হবে। ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি যাদের একবার স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক হয়েছে তাদের পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। সেজন্য তাদের ইকোস্প্রিন জাতীয় ওষুধ আজীবন চালিয়ে যেতে হয়।এফএস
    দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
    দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত এবং এতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।সোমবার (৩ মার্চ) সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানায়।আইসিডিডিআরবির ফেসবুক পেজে বলা হয়, ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য পেয়েছেন। সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশি এই স্ট্রেইন এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত। এতে আক্রান্ত হলে মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক রোগের মতো গুরুতর সংকট দেখা দিতে পারে।এর আগে, এই স্ট্রেইন কম্বোডিয়া ও চীনে ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল। এরপর প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এদিকে আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু, এর উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার জন্য সর্বোত্তম প্রজনন পরিস্থিতি তৈরি করে। এ কারণে মশাবাহিত অনেক রোগ হয়। ডেঙ্গু ছাড়াও এখানে ইতোপূর্বে চিকুনগুনিয়া দেখা গিয়েছিল। এবার জিকা ভাইরাসও শনাক্ত হলো।উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে প্রথম ধরা পড়ে জিকা ভাইরাস। পরে ১৯৫২ সালে প্রথম শনাক্ত হয় মানবদেহে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেক দেশে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই তা ধরা পড়ে না। ভাইরাস শরীরে থাকে বছর ধরে। এমনকি জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায় এই রোগ। জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী হলে অথবা গর্ভবতী জিকা আক্রান্ত হলে নানা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় শিশু।এমআর-২
    ওজন নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময়ে খাওয়া ও ব্যালেন্সড ডায়েট
    ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কখন খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিয়মিত খাবারের সময়সূচি শরীরের মেটাবলিজমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা ওজন  নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ব্যালেন্সড ডায়েটের সাথে সময়মতো খাবার খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা বলে দিলেন বড় সমাধান। আপনি যদি ওজন কমিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে চান, তাহলে এইভাবে আপনার ডায়েট চার্ট পাল্টে দেখুন। হাতেনাতে মিলবে ফল।সময়মতো খাবার খাওয়ার গুরুত্ব: পুষ্টিবিদ মতে সময় মত খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে,  মেটাবলিজম বৃদ্ধি: নিয়মিত সময়ে খাবার খেলে শরীরের মেটাবলিজম সঠিকভাবে কাজ করে এবং ক্যালোরি দ্রুত পোড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।  হরমোন নিয়ন্ত্রণ: খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকলে ইনসুলিন ও গ্রেলিন (ক্ষুধার হরমোন) নিয়ন্ত্রিত থাকে, ফলে অযথা ক্ষুধা ও ওভারইটিংয়ের প্রবণতা কমে।  পেশি সংরক্ষণ: দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শরীর শক্তির জন্য পেশি ভাঙতে শুরু করে, যা বিপাকক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। সময়মতো খাবার খেলে এটি প্রতিরোধ করা যায়।হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: নিয়মিত খাবারের সময় হজম তন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, ব্লোটিং-এর মতো সমস্যা এড়ানো যায়।  অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুধা প্রতিরোধ: যদি দীর্ঘ সময় না খাওয়া হয়, তাহলে একবারে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের কারণ হতে পারে।  ওজন কমানোর জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট: ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবলে আপনাকে ব্যালেন্সড ডায়েট করতে হবে। এটা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগাবে সেই সঙ্গে ওজনও কমাত সাহায্য করবে। ব্যালেন্সড ডায়েটে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকে। ব্যালেন্সড ডায়েট প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে, ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার:  প্রতিদিনের ডায়েটে ডাল, মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, বাদাম ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন, যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে।  কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: পরিশোধিত চিনি ও ফাস্টফুড এড়িয়ে লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার যেমন— লাল চাল, ওটস, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত।  ভিটামিন ও মিনারেল: শরীরের প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহের জন্য টাটকা ফল, শাকসবজি ও বাদাম খেতে হবে।  ভালো ফ্যাট: ওজন কমাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমিয়ে অলিভ অয়েল, বাদাম, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা দরকার।  পর্যাপ্ত পানি পান: ডিটক্সিফিকেশন, বিপাকক্রিয়া এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।  কখন খাবার খাওয়া উচিত: খাবার খাওয়ার সঠিক সময় প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ ইসরাত কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। বেলা ভেদে খাবার খাওয়ার সময় যেমন হবে: সকাল: ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যে নাস্তা করুন। প্রোটিন, ভালো ফ্যাট ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবে।  দুপুর: দুপুর ১-২ টার মধ্যে লাঞ্চ করুন, যাতে পর্যাপ্ত ফাইবার, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে।  বিকেল: বিকেলে হালকা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস (বাদাম, ফল, গ্রিক দই) খেতে পারেন।  রাত: রাত ৮টার মধ্যে ডিনার শেষ করুন, যা হজমে সহায়ক এবং ক্যালোরি ব্যালেন্স রাখে।  ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যা করবেন আর যেসব এড়িয়ে যাবেন:  করণীয়ছোট ছোট বিরতিতে খাবার খান (প্রতিদিন ৫-৬ বেলা)  প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে প্রাকৃতিক খাবারের ওপর নির্ভর করুন  প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন  পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন  বর্জনীয়লম্বা সময় না খেয়ে থাকা  রাতের খাবার দেরিতে খাওয়া  উচ্চ চিনি ও ফাস্টফুড খাওয়া  ক্যালোরি কাউন্ট না করে অপ্রয়োজনীয় ডায়েট করা  ওজন কমানোর জন্য ব্যালান্সড ডায়েটের পাশাপাশি খাবারের সময়মতো গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবনযাত্রার গুণগত মান উন্নত করে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থভাবে ওজন কমানো সম্ভব।এবি 
    দৃষ্টিশক্তি বাড়ে যেসব খাবারে
    চোখ অমূল্য সম্পদ। নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে মানুষের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগব্যাধি। ৫০-৬০ বছর বয়সের পর যেসব রোগ দেখা দিত, সেটা এখন ৩০-৩৫ পেরোলেই বাসা বাঁধে শরীরে।বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপভাবে প্রভাবিত হচ্ছে চোখ। ছোট-বড় সবার দৃষ্টিশক্তি বয়সের আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। গ্যাজেট নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে চোখ মোটেও বিশ্রাম পায় না। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিও চোখের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু খাবার। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করতে পারে।চলুন জেনে নেই দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমন কিছু খাবারের নাম:আমলকি:ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি চোখের জন্য খুবই উপকারী। আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। প্রতিদিন ১টি আমলকি খেতে হবে। এটি রেটিনা এবং লেন্সকে ফ্রি ব়্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং চোখকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।ক্যাপসিকাম:দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্যাপসিকামও একটি ভালো সবজি। রঙিন শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করা হয়। এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চোখের টিস্যুর ক্ষতি রোধ করে।গাজর:দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ১-২ টি গাজর খান। এতে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। আর দুর্বল চোখ পুষ্টি পায়। গাজর খেলে শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর হয়। ফলে প্রতিদিন গাজর খেতে হবে।ব্রোকলি:যে কোনো উপায়ে ডায়েটে ব্রোকলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রকলি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের জন্যই সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। এতে জেক্সানথিন ও লুটেইন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের রেটিনায় পৌঁছে জমতে শুরু করে। এগুলো নীল আলোর কারণে ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখের পেশি মজবুত করে এমন উপাদানও রয়েছে ব্রকলিতে।পালং শাক:চোখের সুস্থতায় পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। চাইলে পালং শাক কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে সবজি বা স্যুপে মিশিয়ে খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী পালং শাক। এতে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান যা চোখকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পালং শাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে যা রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রক্ষা করে।এফএস
    বাংলাদেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
    দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সানজিদা আক্তার, বয়স ৩০। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১২ জানুয়ারি এই নারীর এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। তখন জানা যায় ওই নারীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন তখন জানিয়েছিলেন এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় দেশে। এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।আরইউ
    এইচএমপি ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ৭টি পরামর্শ
    করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ ভাইরাসের ভয়াবহতা এতটা প্রবল ছিল যে সেই মহামারীতে সারা পৃথিবীতে ৭০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পাঁচ বছর পর চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্ষেপে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বে নতুন করে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।  চীনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে, এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়াবার কিছু নেই। কেননা চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি।এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কী-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা দেননি। তবে, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মত উপসর্গ দেখা যায়। সাথে কাঁশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। তবে, কারো কারো জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সাতটি পরামর্শ মেনে চললে দেশে নতুন করে দেখা দেওয়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ঠেকানো যাবে।সম্প্রতি চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশের পর রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশেও এইচএমপি ভাইরাস শনাক্তের খবর আসার মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার কথাও বলা হয়েছে। কীভাবে ছড়ায়?এইচএমপিভি সাধারণতঃ আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে ছড়ায়। এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।এছাড়া আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।অনেকটা  ঠিক কোভিডের মতো। এইচএমপিভির সংক্রমণ সাধারণত শীতের সময় বাড়ে, যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতর সময় কাটায়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এ কারণে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এরসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এ রোগের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে নির্দেশনায়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হল-> শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা।> হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।> ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া।> আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ও কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।> ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।> অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরা এবং> জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।এবি 
    দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
    জাপান, মালয়শিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী। রবিবার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো। তিনি বলেন, তিনি দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।নতুন করে ২০২৫ সালে এসে আতঙ্ক ছড়ালেও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন।তিনি বলেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়।তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যখন সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেছি, তখনই কয়েকজন শনাক্ত পেয়েছিলাম। হয়তো এর আগেই যদি পরীক্ষা করা হতো, তাহলে আগেই শনাক্ত হতো। সুতরাং ঠিক কবে এই ভাইরাসটি দেশে এসেছে, সেটি বলা সম্ভব নয়। তবে প্রতিবছরই কমবেশি শনাক্ত হয়েছে।সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।বিশেষজ্ঞদের দাবি, এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।এবি 
    শরীরের পোড়া ক্ষত সারাতে তেলাপিয়া মাছের চামড়ার ব্যবহার
    ব্রাজিলের ফোর্টালেজ খুবই দরিদ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই স্থানের অধিকাংশ বাসিন্দাই দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। এই কথা মাথায় রেখে চিকিৎসক এডমার ম্যাসিয়েল, মার্সেলো বোরগেস এবং তাঁর দল সান্টোসের ক্ষত স্থানে মাছের ছালের প্রলেপ দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফলও হয়ে যান তাঁরা। বিকল্প ছাল দিয়ে দগ্ধ অঙ্গ সারিয়ে তোলার প্রথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। মানুষের চামড়ার পাশাপাশি এই কাজে কৃত্রিম চামড়া ও শুয়োরের ছালও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্রাজিলের মতো দেশে এই ধরনের সামগ্রীর যা যোগান তাতে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে তেলেপিয়া এমন একটি প্রজাতির মাছ যা মোটামুটি সব জায়গাতেই কম-বেশি পাওয়া যায়। তাই এই রোগীর শরীরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতে চিকিৎসকরা তেলাপিয়া মাছের ত্বকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছেন। এই পদ্ধতিতে অনেকের উপরেই চিকিৎসা চালিয়েছেন তাঁরা এখন পর্যন্ত সাফল্য পাওয়ার কথাই জানাচ্ছেন তারা।• ওষুধের প্রয়োজন নেইব্রাজিলের গবেষকরা বলছেন, পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করে সাধারণ উপায়ে চিকিৎসার চেয়ে কম সময়ে সুফল পাওয়া গেছে। এই চিকিৎসায় বাড়তি কোনও ওষুধেরও প্রয়োজন হয় না।• মানুষের ত্বকের মতোতেলাপিয়ার ত্বকে মানুষের ত্বকের প্রায় সমপরিমাণ আর্দ্রতা আর কোলাজেন প্রোটিন আছে। এছাড়া তেলাপিয়ার ত্বক মানুষের ত্বকের মতোই রোগপ্রতিরোধী বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, তেলাপিয়ার ত্বক ব্যথা উপশমে সহায়ক।• চলিত উপকরণের অভাবপোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় সাধারণত শুকরের চামড়া ও মানুষের টিস্যু ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে আছে আরও বিকল্প ব্যবস্থা। কিন্তু ব্রাজিলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায়ই এসবের অপ্রতুলতা দেখা দেয়। ফলে গজ, ব্যান্ডেজ দিয়ে পোড়ার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এতে সমস্যা হচ্ছে, দু’দিন পরপর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়, যা অনেক সময় বেদনাদায়ক।• তেলাপিয়া চিকিৎসায় ব্যথা নেই ক্ষতের জায়গায় সরাসরি তেলাপিয়ার ত্বক লাগানো হয়। তারপর ব্যান্ডেজ দিয়ে সেটি আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রিমের প্রয়োজন নেই। প্রায় ১০ দিন পর চিকিৎসকরা সেটি খোলেন। এই ক’দিনে তেলাপিয়ার ত্বক শুকিয়ে যাওয়ায় পোড়া ক্ষতের স্থান থেকে সেটি খোলার সময় রোগী ব্যথা পান না।• জীবাণুমুক্ত করামানুষের শরীরে ব্যবহারের আগে তেলাপিয়ার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করা হয়। বিভিন্ন স্টেরিলাইজিং এজেন্ট ব্যবহার করে এটি করা হয়। একবার জীবাণুমুক্ত করার পর দুই বছর পর্যন্ত তেলাপিয়ার ত্বক চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা যায়। ছবিতে জীবাণুমুক্ত তেলাপিয়ার ত্বক দেখা যাচ্ছে।• পরীক্ষাব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখন পর্যন্ত ৫৬ জন রোগীর ওপর এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।• চীনে প্রথমচীনের গবেষকরা প্রথম পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে ইঁদুরের ওপর সেটি প্রয়োগ করেছেন। তবে ব্রাজিলের গবেষকরাই প্রথম মানুষের ওপর তেলাপিয়ার ত্বক প্রয়োগ পরীক্ষা করে দেখছেন।• খরচ ৭৫ শতাংশ কমগবেষক চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রাজিলে বর্তমানে ক্ষতের চিকিৎসায় যে ক্রিম ব্যবহার করা হয় তার পরিবর্তে তেলাপিয়ার ত্বক ব্যবহার করলে চিকিৎসা খরচ কমবে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কারণ, ব্রাজিলে ব্যাপকভাবে চাষ হওয়া তেলাপিয়া মাছের ত্বক সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।• বাণিজ্যিক ব্যবহারকম মূল্য ও কম সময়ে আরোগ্য লাভ করা যায় বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে। এ লক্ষ্যে তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি তেলাপিয়ার ত্বক জীবাণুমুক্ত করে চিকিৎসাকাজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।এবি 
    প্রতি সিগারেটে আয়ু কমে ২০ মিনিট: গবেষণা
    প্রতিটি সিগারেট মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নেয় ২০ মিনিট আয়ু। সেই হিসেবে সিগারেটের একটি প্যাকেট মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে গড়ে সাত ঘণ্টা সময়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য ওঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।সিগারেটের ক্ষতি সম্পর্কে নতুন করে করা এই গবেষণার পর নতুন বছরে ধূমপায়ীদের অভ্যাসটি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, এতদিন ধরে ডাক্তাররা যে ধারণা করে এসেছেন, তার চেয়েও অনেক দ্রুত আয়ু কমিয়ে দেয় ধূমপান।নতুন এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, একজন ধূমপায়ী যদি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে দিনে ১০টি সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দেন, তাহলে ৮ জানুয়ারির মধ্যে এক দিন, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহ এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত তার আয়ু বাড়তে পারে পুরো এক মাস। আর পুরো বছর এই অভ্যাস ধরে রাখলে বছর শেষে তার আয়ু বাড়তে পারে ৫০ দিন। অর্থাৎ তিনি অন্তত ৫০ দিন আগে মারা যাওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারেন।ইউসিএলের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. সারাহ জ্যাকসন বলেন, মানুষ জানে না ধূমপান ঠিক কতটা ক্ষতিকর। একজন নিয়মিত ধূমপায়ী তার জীবনের প্রায় এক দশক সময় ধূমপানের জন্য হারিয়ে ফেলেন।২০০০ সালে বিএমজের গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সিগারেট গড়ে প্রায় ১১ মিনিট আয়ু হ্রাস করে। তবে জার্নাল অব অ্যাডিকশনে প্রকাশিত সর্বশেষ বিশ্লেষণে এই সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের জন্য ১৭ ও নারীদের জন্য ২২ মিনিটে।
    এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং ও পিআর প্রধান হলেন সালাহউদ্দিন মামুন
    এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সালাহউদ্দিন মামুন। এর আগে, তিনি ওই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনসংযোগ ও ব্র্যান্ডিং খাতে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সালাহউদ্দিন মামুন এখন থেকে এভারকেয়ার হসপিটালের বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেবামূলক কার্যক্রম প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন। তার নেতৃত্বে হাসপাতালের ব্র্যান্ডের উন্নতি এবং জনসম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।সালাহউদ্দিন মামুন তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে জানান, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সাথে নতুন করে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এবং উদ্যোগগুলোর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আশা করছি, আমি আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এভারকেয়ারের সেবা কার্যক্রম এবং ব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে সক্ষম হব।প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুণগত মানের স্বাস্থ্যসেবা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।  এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    চোখে স্ট্রোক: সাবধান না হলে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি
    মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। দু চোখের আলো ছাড়া আমরা অচল। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি। জানলে অবাক হবেন, চোখেও স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক কথাটি শুনলেই প্রথমে মস্তিষ্কের কথা মনে হয়। আবার হিটস্ট্রোক শব্দও এখন সবার পরিচিত। প্রচণ্ড গরম, আর্দ্রতার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এমনকি মারাও যান। গরমের দাপটে কিংবা শরীর ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) হয়ে পড়লে স্ট্রোক যে চোখেও হতে পারে, সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ও অক্সিজেন বহনকারী নালীগুলি যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই ঘটে এই বিপদ। কেড়ে নিতে পারে সারা জীবনের জন্য চোখের দৃষ্টি। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে আপনার চোখেও স্ট্রোক হতে পারে। কেন জানেন? চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রেটিনা। আমরা যা দেখি সব এই রেটিনার মাধ্যমেই। যখন এই রেটিনার শিরাগুলো ব্লক হয়ে যায় তখনই চোখে স্ট্রোক হয়। অনেকে ভাবেন, স্ট্রোক শুধু ব্রেন বা হার্টে হয়। এই ধারণা ভুল।  চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রেন বা হার্ট স্ট্রোকের মতোই চোখের স্ট্রোকও সমানভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এটি বড় ধরনের স্ট্রোকের ইঙ্গিত দেয়। আসলে চোখের রেটিনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই রেটিনার মধ্যে হঠাৎ করে যদি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। এই অবস্থায়, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে চোখের শিরার ক্ষতি ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো বিপদের ঝুঁকি কমতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখের স্ট্রোক একটি মাত্র চোখে হয়ে থাকে। তবে, সময়মতো রোগ নির্ণয় করতে না পারলে দুচোখের দৃষ্টিই হারাতে হতে পারে। কেন হয় চোখে স্ট্রোক? বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের চোখে অসংখ্য রক্তবাহী নালী রয়েছে। এসব রক্তনালীতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ না হলে সেগুলোতে দেখা দেয় ব্লকেজ। আর তখনই ঘটে স্ট্রোকের মতো ঘটনা। ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে একেবারেই চলে যেতে পারে দেখার ক্ষমতা।কাদের এই সমস্যা হতে পারে? যাদের বয়স ৫০-এর বেশি তাদের চোখে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশি। উচ্চরক্তচাপে ভোগা ব্যক্তি এবং ডায়াবেটিস আছে এমন মানুষদের মধ্যে চোখের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।কীভাবে বুঝবেন চোখে স্ট্রোক হয়েছে?  চোখে স্ট্রোক হলে মনে হবে চোখের সামনে কিছু একটা ভাসছে। এগুলোই হলো ফ্লোটার কণা। যখন চোখে রক্ত বা অন্য কোনো তরল বের হয়, তখনই এমন হয়ে থাকে। চোখে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা, ব্যথা অনুভব করবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখে স্ট্রোক হলে যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।চোখে স্ট্রোক হলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। চোখে ঠিকমতো কিছু দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের স্ট্রোকের চিকিৎসা অনেকটাই নির্ভর করে স্ট্রোকে চোখের কতটা ক্ষতি হয়েছে তার ওপর। থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা সম্ভব। তাই চোখে দৃষ্টিশক্তিজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবি 
    Loading…