এইমাত্র
  • আতশবা‌জি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
  • সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
  • সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
  • ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
  • চীনের বিনিয়োগে দেশে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল
  • আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
  • শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
  • ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
  • আজ সোমবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    অর্থ-বাণিজ্য

    আজ যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা
    এবার ঈদের ছুটিতে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল টানা ৯ দিন ব্যাংক বন্ধ। তবে পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে শিল্প এলাকায় আজ (২৯ মার্চ) ব্যাংক খোলা থাকবে।এর আগে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।শনিবার (২৯ মার্চ) শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে সেসব শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।২৪ মার্চ কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপন বলা হয়, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার।এমআর-২
    ঈদের আগে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
    ঈদুল ফিতরের আগে আবারও এক দফায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এই দর শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।এর আগে, সবশেষ গত ২৫ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এটি ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের বাজারে এ নিয়ে মোট ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। যারমধ্যে ১৩ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম কমানো হয়েছে মাত্র ৪ বার। এর আগে ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৫ বার বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছাড়া গত বছর ২৭ বার কমানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম।এনআই
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ২ কার্গো এলএনজি
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির করছে সরকার। এতে ব্যয় হবে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।মোট ১১টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।জানা গেছে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে দুই কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির সম্প্রতি অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে কয়েক টন চাল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।এবি 
    শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে ৩ কারখানাকে সোয়া ১২ কোটি টাকা দিলো সরকার
    ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে তিনটি পোশাক কারখানাকে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে অসন্তোষ থাকা টিএনজেডের এক কারখানা গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেছে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানান। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন, বোনাসসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।উপদেষ্টা বলেন, ‘রোয়ার ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তাদের শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাওনাদি পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের আপদকালীন হিসাব থেকে এক কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রসারিত করা যাবে না।’তিনি বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম অসন্তোষ নিরসন বিষয়ে গত ২৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিএনজেড গ্রুপের অ্যাপারেলস ইকো লিমিটেড গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। এটা এর আগে বাংলাদেশে হয়েছে কি না আমার জানা নেই। মালিক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।’এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাহমুদ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ সহায়তা বাবদ ১১ কোটি টাকা ছাড় করেছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা।সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘স্টাইলক্রাফট অ্যান্ড ইয়াংওয়ান বিডি লিমিটেড বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আজ এক সভা হয়েছে। সভায় শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।’পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যার যা পাওনা পেয়ে যাবেন। বাকিরা যারা না পান আজ বা কাল সকালে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবো। প্রায় সব সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে।’‘এই ঈদ অন্যান্য ঈদ থেকে অনেক ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় শ্রমিক অসন্তোষ কম। পোশাক খাতের অনেকেই ভালো করছে। এই শিল্পটা বসে যায়নি, পোশাক শিল্পে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে’, বলেন উপদেষ্টা।জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট। রাস্তার দুই পাশে দোকান বসেছে। সদরঘাট যেতে এই সড়কটি সচল রাখার কথা জানিয়েছিলেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি পুলিশের ডিসি সাউথকে অনুরোধ করছি, এটি আপনারা দেখেন। আমি যদি বের হই, এরকম দেখি, আপনাদের বিরুদ্ধেই আমাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করতে হবে।এবি 
    দেশের গ্যাস সংকট নিরসনে স্বস্তির খবর
    বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে স্বস্তির খবর নিয়ে আসছে নতুন ১১ কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসে দুটি এবং আগামী মাসে আরও নয়টি কার্গো এলএনজি দেশে পৌঁছাবে, যা জাতীয় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে মহেশখালী থেকে প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে এসেছে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এলএনজি সরবরাহের ফলে আগামী দুই মাসের বেশি সময় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের এলএনজি সরবরাহের ইতিহাসে এর আগে কখনো একসঙ্গে এত বড় পরিমাণে এলএনজি আসেনি। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়। তবে প্রায় সাত বছর পর এই প্রথম একসঙ্গে ১১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ হতে যাচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ফারাক থাকার ফলে প্রায়শই গ্যাস সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে আশুগঞ্জ–বাখরাবাদ পাইপলাইনকে ওয়ানওয়ে করে দিয়ে চট্টগ্রামকে পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর করে ফেলার কারণে এই সংকট আরও প্রকট হয়। তবে সাম্প্রতিক এলএনজি আমদানির গতি বাড়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রবাহ ও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী অন্তত দুই মাস এই সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।একটি এলএনজি কার্গোর ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ঘনমিটার লিকুইড গ্যাস। গ্যাসিফিকেশনের পর এটি প্রায় ৬০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ৯৮০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে সরবরাহ করা হলে ১১ কার্গো এলএনজি অন্তত ৪০ দিনের গ্যাস চাহিদা পূরণ করতে পারবে। ফলে দেশের অন্তত দুই মাসের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, যা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩,২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২,২০০–২,৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি পূরণ করতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। নতুন ১১ কার্গো এলএনজি এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংকট লাঘব করবে।শীতকাল শেষে গ্যাসের প্রবাহে আর কোনো বাধা থাকবে না, ফলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। এটি শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পখাত, বিশেষ করে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে না।বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে, যা শিল্প উৎপাদন ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বস্তি আনবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানিতে গতি আসবে।বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ক্রমশ কমছে। ফলে চাহিদা পূরণে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির জন্য বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে চুক্তি করছে এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্পট কার্গো সংগ্রহ করছে। তবে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কেমন থাকবে, তা নির্ভর করছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক, পাইপলাইন ও পুরনির্মাণ ডিপার্টমেন্ট প্রকৌ. মো. আহসান হাবীব সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বর্তমানে গ্যাসের যোগান ঠিকমতো রয়েছে এবং প্রেসারও স্বাভাবিক। এটি ধরে রাখা গেলে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পখাতের জন্য একটি সুসংবাদ হয়ে থাকবে।
    বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে
    মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য এমএফএস প্ল্যাটফর্মে বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন গ্রাহক আগের চেয়ে বেশি টাকা ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট ও স্থানান্তর করতে পারবেন।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে, যা আগে ছিল ৩০ হাজার টাকা। মাসিক ক্যাশ ইন সীমাও ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।একইভাবে ক্যাশ আউটের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তিগত হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যেতো, যা এখন ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। মাসিক ক্যাশ আউট সীমা দেড়লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে।এছাড়া, এসব হিসাবে এখন সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতি রাখা যাবে, যেখানে আগে সীমা ছিল ৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি, লেনদেন সংখ্যার সীমাও প্রত্যাহার করা হয়েছে, অর্থাৎ গ্রাহকরা ইচ্ছেমতো লেনদেন করতে পারবেন।তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব সীমার কম নির্ধারণ করতে পারবে। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।এ সিদ্ধান্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিসর আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি সুবিধাজনক হবে, কারণ লেনদেনের সীমা বাড়লে আর্থিক লেনদেনের গতিও ত্বরান্বিত হবে।এইচএ
    ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
    ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চাল ছাড়াও এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১০ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে।জানা যায়, ক্রয় প্রস্তাবে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।এর আগে, গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েক দফায় ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের পাশাপাশি চাল মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকেও আমদানি হচ্ছে।এমআর-২
    ঈদের টানা ছুটিতেও অর্থনীতি স্থবির হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
    এবার ঈদুল ফিতরে দীর্ঘ ছুটি হলেও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কোন স্থবিরতা আসবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সব উপদেষ্টা ও বেশিরভাগ সচিব ঢাকাতেই থাকবেন। তাই যে কোনো প্রয়োজনে অনলাইনে আলোচনা সম্ভব বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।এসময় স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছুটিতে নেই। তারা অ্যালার্ট থাকবে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। বিভিন্ন টার্মিনালসহ ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।পুলিশসহ সব বাহিনী সতর্কতার পাশাপাশি সব থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র সচিব।এমআর-২
    ভারত থেকে এলো সাড়ে ৯ হাজার টন চাল
    ভারত থেকে আমদানি করা আরও সাড়ে ৯ হাজার টন সিদ্ধ চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।  এমআর-২
    রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড, ২৪ দিনে এলো ২৭৫ কোটি ডলার
    সাত দিন বাকি থাকতেই একক মাসের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। চলতি মাসের ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ডলারের দর এখন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন সমপরিমাণ অর্থ এলে চলতি মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে রেকর্ড হতে যাচ্ছে। গত বছর মার্চের ২৪ দিনে এসেছিল ১৫৫ কোটি ডলার। আর পুরো মাসে এসেছিল ২০০ কোটি ডলারের কম।গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে।এর আগে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দায় বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গত ৯ মার্চ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নামে। পরিশোধের আগে রিজার্ভ উঠেছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে।এদিকে, দেশের বাজারে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে এসেছে ডলারের দাম।এবি 
    ঈদের আগে ছুটির ২ দিনেও খোলা থাকবে ব্যাংক
    ঈদের আগে সরকারি ছুটির মধ্যেও তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ ও রফতানি বিল বিক্রির সুবিধার্থে দুই দিন সীমিত প‌রিস‌রে তফসিলি ব্যাংকের শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা থাকবে।সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর সকল শাখ ও উপশাখা বন্ধ থাকবে।তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রফতানি বিল বিক্রি এবং উক্ত শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা থাকবে। সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খোলা রাখার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।এর মধ্যে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। যার মধ্যে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জুম্মাতুল বিদার বিরতি থাকবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।আর ২৯ মার্চ (শনিবার) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। যার মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক ভাতাদি পাবেন।এছাড়া সমুদ্র/স্থল/বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপশাখা/বুথগুলো সপ্তাহে ৭দিন ২৪ ঘন্টা চালু রাখার বিষয়ে ৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-২৪ মোতাবেক আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এইচএ
    আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও ঈদের ছুটি টানা ৯ দিন
    ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীও একই সুবিধা পাবেন।সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশনা দিয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ০৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো ফাইন্যান্স কোম্পানিও বন্ধ থাকবে।তথ্য মতে, আগামী রবিবার (৩০ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি, যা শেষ হবে আগামী ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তবে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পূর্বে এবং পরে দুদিন করে মোট চার দিন সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। ফলে টানা ৯ দিনের বিরাট ছুটির কবলে পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। টানা এ ছুটি শেষে আগামী ৬ এপ্রিল রবিবার থেকে পুনরায় চালু হবে ব্যাংকিং সেবা।  
    ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
    ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে আরও ১১ হাজার ৫০০ টন চাল। উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।সোমবার (২৪ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল  খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এমআর-২
    রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে
    চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও দেশের ৭টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকও।রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়, মার্চের প্রথম ২২ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৭টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ২টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।মার্চের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।এছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংকেও।এদিকে, মার্চের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ২ থেকে ৮ মার্চ দেশে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। আর ১ মার্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার।এদিকে, গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।  এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।এইচএ 
    মার্চের ২২ দিনে এল ২৪৩ কোটি ডলার
    ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবাহ বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মার্চের ২২ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কো‌টি ডলার বা এক হাজার ৩৬২ কো‌টি টাকা।রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্যমতে, মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।এইচএ
    Loading…