এইমাত্র
  • যশোরে শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারে ঈদ আনন্দ কেটেছে বেদনায়
  • ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার
  • লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের জামাতে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
  • যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব
  • জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের নামাজ আদায়
  • লোহাগাড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের দিনেও গাজায় ই’রায়েলি হামলা, নিহত ৬৪
  • আজ সোমবার, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    শিল্প ও সাহিত্য

    বইমেলায় পাঠকের মন কেড়েছে 'ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে'
    অমর একুশের এবারের বইমেলায় পাঠকের নজর কেড়েছে ড. সৈয়দ হুমায়ুন কবীরের রচিত গ্রন্থ 'ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে'।বইটি প্রকাশ করেছে অমর প্রকাশনী। এর মূল্য রাখা হয়েছে ২১০ টাকা। রকমারিসহ যেকোনো অনলাইনবুক শপ থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলাদেশের সকল ক্যান্সার রোগীদের প্রতি, যারা এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে জীবনযুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন।২০২৫ সালের একুশে বইমেলায় বইটি সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বাংলা একাডেমির মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বইটির বিপুল জনপ্রিয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ লেখককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় সম্মাননা স্মারক হাতে তুলে দেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।এবারের বই মেলায় এই লেখকের আরও দুটি বই প্রকাশ করেছে অমর প্রকাশনী। নিরাপদ মাতৃত্ব শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ এবং বাস্তব জীবনে AI-এর প্রভাব ও টুলসের ব্যবহার এই শিরোনামের বই দুটো পাঠকদের কাছে বেশ সমাদৃত হয়েছে। উল্লেখ্য, লেখক ড. সৈয়দ হুমায়ুন কবীর একজন সমাজসেবক, জনস্বাস্থ্য ক্যান্সার প্রতিরোধ গবেষক ও ব্যাংকার। যিনি তার কর্মজীবনের সমস্ত আয় মানবসেবায় দান করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসহায় ও অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছেন।
    হারিয়ে যাচ্ছে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর স্মৃতিচিহ্ন, উদ্যোগ নেই সংরক্ষণের
    উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর স্মৃতিচিহ্ন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছেন ইতিহাসের পাতা থেকেও। নতুন প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে জানতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে গুণী এই ব্যক্তির স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই প্রশাসন ও দায়িত্বশীলদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইবরাহীম খাঁর অনুরাগীরা।জানাযায়, কিংবদন্তি এই শিক্ষাবিদ তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের  টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অন্তর্গত বিরামদী গ্রামে ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শাবাজ খাঁ ও মায়ের নাম রতন খানম। ইবরাহীম খাঁ ১৯০৬ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ির পিংনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯১২ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যয়ন করেন। সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ প্রথম মুসলমান ছাত্র যিনি পিংনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস (বর্তমান এস.এস.সি) পাশ করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.পাস করেন। পরে ১৯২৪ সালে আইনে স্নাতক পাস করেন।ইবরাহীম খাঁ, শিক্ষা-সাহিত্য-ধর্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণ কাহিনী, রসরচনা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস ও জীবনচরিত, শিশু সাহিত্য, পাঠ্য বই ও অনুবাদ মিলিয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনেক দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মব্যস্ত থেকেও নিরলসভাবে তিনি বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রচনা করেছেন। সাহিত্যের সকল শাখায়ই তিনি স্বচ্ছন্দে সফলতার সঙ্গে পদচারণা করেছেন। মুসলমান সমাজের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের পুনর্জাগরণের প্রয়াস তার লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে।ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে মহাপ্রাণ মনীষী ইবরাহীম খাঁ কর্মজীবনের শুরুতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং খেলাফত আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এই আন্দোলন তার গভীরভাবে জনজীবনের সাথে প্রত্যক্ষ পরিচয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। সেই সময় মুসলিম মনে আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত করার জন্য তিনি ইতিহাস, সমকালীন জীবন নিয়ে, ইসলামের গৌরবময় অধ্যায় নিয়ে লিখেছেন- এটাকেই তিনি তপস্যা বলেছেন। ব্রিটিশ ভারতে নিগৃহীত পণ্ডিতদেরকে তিনি তার কলেজে সুযোগ দিতেন- এমনকি অন্যত্র বহিষ্কৃত ছাত্ররাও তার আশ্রয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। তিনি তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় ছিলেন, কিন্তু অন্যের মতবাদকে বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা করতেন না। উদার মানবতাবাদী ইবরাহীম খাঁর সাহিত্যচর্চার প্রধান উৎসই শিক্ষা এবং সংস্কার- তিনি মূলত সংস্কারকই। অসংখ্য শৈবালদামে আচ্ছন্ন স্রোতধারার সংস্কারকেও কিছুটা বিপ্লবী ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়- তিনি তা করেছেন।ইবরাহীম খাঁ ১৯১৯ সালে করটিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খাঁ পন্নীর অর্থসাহায্যে করটিয়া সা’দত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এর প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন। মাঝে কিছুকাল তিনি ময়মনসিংহে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে (১৯২০-১৯২২) সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইবরাহীম খাঁ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৪৬ সালে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য এবং ১৯৫৩ সালে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া ১৯৪৭-১৯৭১ মেয়াদে তিনি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৮ সালে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ এলাকার বিদ্যোসাহী ব্যক্তিগণের অনুরোধে ভূঞাপুরের প্রাণকেন্দ্রে ‘ভূঞাপুর কলেজ’ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৮ সালে তাঁর মৃত্যুর পর কলেজটির ‘ইবরাহীম খাঁ কলেজ’ নামকরণ করা হয়। একজন কৃতবিদ্য লেখক হিসেবেও ইবরাহীম খাঁর খ্যাতি ছিল। তিনি বিভিন্ন লেখায় মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের কথা বলেছেন। নাটক, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনী ও স্মৃতিকথা মিলে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। সেগুলির মধ্যে কামাল পাশা (১৯২৭), আনোয়ার পাশা (১৯৩৯), ঋণ পরিশোধ (১৯৫৫), আলু বোখরা (১৯৬০), ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র (১৯৫৪), বাতায়ন (১৯৬৭), ব্যাঘ্র মামা (১৯৫১) এবং বেদুঈনদের দেশে (১৯৫৬) প্রধান। তাঁর স্মৃতিকথা বাতায়ন সমকালের মুসলিম সমাজের একটি বিশ্বস্ত দলিল হিসেবে বিবেচিত। তিনি ব্রিটিশ আমলে ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ এবং পাকিস্তান আমলে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ উপাধি লাভ করেন। নাটকে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং সাহিত্যে ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৭৮ সালের ২৯শে মার্চ খ্যাতনামা এই শিক্ষাবিদ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।পাঠ্যবইয়ে এর আগে তাঁর লেখা গল্প স্থান পেলেও গত ১ দশকের অধিক সময় ধরে কোথাও কোনো পাঠ্যবইয়ে তার লেখা কোনো উপন্যাস, গল্প, স্থান পায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী, কবি লেখকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং লেখক গোলাম রব্বানী রতন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ ভূঞাপুরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, ক্লাবসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এজন্য তাঁকে ভূঞাপুরের রুপকার বলাহয়। একটা সময় তার লেখা গল্প পাঠ্যবইয়ে ছাপা হত কিন্তু এখন  আর হয়না। তাঁর অবমূল্যায় মেনে নেয়ার মত না। আমাদের দেশটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দেশ। মানুষের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। রাজনীতির বিরুদ্ধে গেলেই তাঁকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সরকারের কাছে আবেদন, তাঁর লেখা গল্প যেন আবার পাঠ্যবইয়ে ছাপা হয়।ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা যায়, খোদ সেই কলেজের শিক্ষার্থীরাই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তার জীবনী সম্পর্কে নেই কোন ধারণাও। ঐ কলেজের একাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা একজন স্বনামধন্য লোক ছিলেন সেটা জানি, কিন্তু বিশদ আকারে জানিনা। আর আমাদের এ ব্যাপারে কলেজেও কোন ধারণা দেয়া হয়নি। আমরা পাঠ্যবইয়েও তার কথা পড়িনি। মাঝে মাঝে তাঁর জন্মদিন বা মৃত্যুদিনে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দায় সারে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, জ্ঞান তাপস প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর লেখা বাতায়ন, ইস্তাম্বুল পাঠ্যবইয়ে পড়েছি। পাঠ্যবইয়ে গল্প ছাপানোর কাজটা শিক্ষা বোর্ডের পলিসির উপর নির্ভর করে। পাঠ্যবইয়ে আবারও তাঁর লেখা ছাপা হলে আমরা খুশি হব। আমরা নিয়মিত তাঁর জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি এবং আমাদের কলেজের বাৎসরিক পাঠ পরিকল্পনা আছে, সেখানে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর একটা অধ্যায় আছে শিক্ষার্থীদের জানার জন্য। জানা যায়, পৌরসভার অর্থায়নে ২০১৩ সালে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ স্মরণে তাঁর বাড়ির প্রবেশদারে ইবরাহীম খাঁর ছবি সম্বলিত দুটি ম্যূরাল নির্মাণ করেন। পরে তার নামকরণ করা হয় ইবরাহীম খাঁ তোরণ। পরিচর্যার অভাবে সেটিও বিলীন হবার পথে। এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেই। আশেপাশে থাকা চায়ের দোকানসহ বাসা বাড়ির বর্জ্য এনে সেখানে ফেলা হয়। ম্যূরালের নিচের অংশের টাইলস ফাটলধরে খসে পড়ে গেছে অনেকাংশে। পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপে পুনরুদ্ধার করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রাসহ তার পরিবারের লোকজন।তৎকালীন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নামে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সাহায্যে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে তার সমাধির পাশেই ইবরাহীম খাঁ স্মৃতি পাঠাগারটি রক্ষণাবেক্ষণ করে ভূঞাপুর পৌরসভা। অব্যবস্থাপনায় ধীরে ধীরে সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে তার পরিবারের উল্লেখযোগ্য সদস্য কিংশুক খান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমার একদিন সৌভাগ্য হয়েছিল পাঠাগারে যাওয়ার। পাঠাগারেও যে তার বই খুব একটা আছে তা নয়। এটা আমার মনে হয় পাঠাগার কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। আমাদের সাথেও তেমন যোগাযোগ করে নাই, তাহলে আমরাও চেষ্টা করতাম। কলেজ প্রতিষ্ঠা করা তাঁর জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল, কলেজেও যে খুব একটা বই আছে সেটাও না। এটাও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। কলেজ কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে বই সংরক্ষণ করেছে তা নয়। আমরা চেষ্টা করতেছি তার যে পৈতৃক বাড়ি আছে সেটা তার স্মৃতিস্বরূপ একটা জাদুঘর তৈরি করার। সেখানে তার বই, এবং তার ব্যবহারের আসবাবপত্র থাকবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর একটা সংগঠন আছে ইবরাহীম খাঁ একাডেমি সেন্টার সেটার উদ্যোগে প্রতিবছর আমরা বড় আয়োজন করে অনুষ্ঠান করি। সেখানে ভূঞাপুরের লোকজনের সাড়া তেমন পাইনা তবে করটিয়া এবং ঢাকার লোকজনের সাড়া পাই।
    ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য শিউলি রোজার ‘পর্বত রমনী নেপাল’
    নেপালের মনোরম প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং পর্যটনের গল্প নিয়ে লেখা শিউলী রোজার প্রথম বই ‘পর্বত রমনী নেপাল’ প্রকাশ হয়েছে। ভ্রমণ কাহিনীভিত্তিক বইটি প্রকাশ করেছে সংযোগ প্রকাশনী। এবারের অমর একুশে বই মেলা-২০২৫ এর সংযোগ প্রকাশনীর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে (স্টল নম্বর ৭৮৯)।  ভ্রমণকাহিনী নির্ভর ৫৬ পৃষ্ঠার এই বইয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, পর্যটন নগরী পোখরা ও নাগরকোটসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থানের চিত্র ফুটে উঠেছে। এছাড়া, নেপাল ভ্রমণে আগ্রহীদের জন্য বইটি হতে পারে একটি আদর্শ ‘ট্রাভেল গাইড’।   লেখিকা শিউলী রোজা বলেন, এটি আমার প্রথম বই। বইটিতে আমি তুলে ধরেছি নেপালে কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কীভাবে ঘুরবেন এবং পাহাড়ি পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের ভ্রমণ নিয়ে বই লেখার পরিকল্পনা রয়েছে।  যারা ভ্রমণ পিপাসু এবং প্রকৃতিপ্রেমী তাদের জন্য বইটি হতে পারে অনুপ্রেরণার এক অনন্য উৎস। ‌‘পর্বত রমনী নেপাল’ আপনার ভ্রমণের সঙ্গী হতে প্রস্তুত।আরইউ
    শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে সরব অমর একুশে বইমেলা-২০২৫
    দরজায় কড়া নাড়ছে বইপ্রেমী বাঙালির প্রাণের মিলন মেলা বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা।  আর মাত্র একদিন পরই শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। এটি বাংলা ভাষার বইপ্রেমীদের মাসব্যাপী মিলনমেলাও। বরাবরের মতো এবারের মেলার স্থান সেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এই মেলাকে ঘিরে এখন কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা যায়, স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ নিয়ে চারদিকে অসম্ভব ব্যস্ততা। তবে আনন্দের বিষয় অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বাঙালি, শোভা প্রকাশ, অন্বয় প্রকাশ, খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, পড়ুয়া, তৃপ্তি প্রকাশ কুঠি, রোদেলা, বাঙ্গালা গবেষণা, আলেয়া বুক ডিপো, ইন্তামিন প্রকাশ, এপিপিএল, অক্ষর প্রকাশনী, শৈলী প্রকাশনী, তৃণলতা প্রকাশ, কাকলী, সেবা প্রকাশনী, চন্দ্রবতী একাডেমি, বাঁধন পাবলিবেশন্স, ছায়াবীথি, ইমন প্রকাশনী, প্রতিভা প্রকাশ, হাওলাদার প্রকাশনী স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।মেলা প্রাঙ্গণে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্সের প্রকাশক জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘এবারের বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিন্যাস ভালো হয়েছে। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে এক ধরনের তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশা করছি খুব ভালো ও গোছানো একটি বইমেলা হবে এবার।’এদিকে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার বাংলা একাডেমির ফেসবুক পেইজে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নতুন তালিকায় তিনজনের নাম বাদ দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তারা হলেন- মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদ।মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের বরাত দিয়ে জানানো হয়, বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের পুনর্বিবেচনা-সভা ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখক তালিকা নিম্নোক্তভাবে চূড়ান্ত করা হয়: কবিতা: মাসুদ খানখ. নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহাগ. প্রবন্ধ/গদ্য: সলিমুল্লাহ খানঘ.অনুবাদ: জি এইচ হাবীবঙ. গবেষণা: মুহম্মদ শাহজাহান মিয়াচ. বিজ্ঞান: রেজাউর রহমানছ. ফোকলোর: সৈয়দ জামিল আহমেদএর আগে গত ২৩ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় ২৫ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি। এমআর
    বাংলা একাডেমি পুরস্কারের নামের তালিকা স্থগিত
    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার রাতে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ফারুকী লেখেন, বাংলা একাডেমী পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এই ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয় সেগুলা দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি কিভাবে পরিচালিত হবে, কোন সব নীতিতে চলবে- এই সব কিছুই দেখতে হবে। একাডেমির আমূল সংস্কারের দিকে আমরা যাবো এখন। দেশের সংস্কার হবে, বাংলা একাডেমীর সংস্কার কেনো নয়?’এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রাপ্তরা হলেন কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।পরে বাংলা একাডেমি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটির এক সভা আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উদ্ভূত সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং পুরস্কার-তালিকাভুক্ত কারও কারও সম্পর্কে কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ এর পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা হয়। উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। এই অবস্থায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারের পূর্ব ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হলো। অনধিক তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকা পুনঃ প্রকাশ করা হবে।এফএস
    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ ঘোষণা, যারা পাচ্ছেন
    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রস্তাবক কমিটির প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪’-এর সিদ্ধান্তক্রমে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ অনুমোদন করে।বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তরা হলেন কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেবেন।এফএস
    বই মেলায় আসছে ইমতিয়াজ আহমেদের গল্পগ্রন্থ 'অসমাপ্ত রাতের ছায়া'
    বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে ইমতিয়াজ আহমেদ এর তৃতীয় গল্পগ্রন্থ 'অসমাপ্ত রাতের ছায়া'। প্রকাশনা সংস্থা কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকে বইটি প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। বইয়ে ১৩টি গল্প থাকছে। গল্পগুলো দুইভাগে বিভক্ত। অতিপ্রাকৃত এবং জীবনের গল্প। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন প্রচ্ছদ শিল্পী পরাগ ওয়াহিদ।২০১৭ সালে 'কুয়াশায় মোড়ানো বিকেল' নামের গল্পগ্রন্থের মধ্য দিয়ে প্রথম বই প্রকাশ হয় ইমতিয়াজ আহমেদ এর। ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস 'শূন্যতা ছুঁয়ে যায়' পাঠক প্রিয়তা অর্জন করে। ২০২০ সালে কিংবদন্তী পাকলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয় ভৌতিক গল্পগ্রন্থ 'মৃত্যু'। গত বইমেলায় কিশোর উপন্যাস 'ভূতুড়ে জঙ্গল' প্রকাশিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে অতিপ্রাকৃত ও জীবনের গল্প নিয়ে লেখা 'অসমাপ্ত রাতের ছায়া'।বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা রয়েছে, 'অসমাপ্ত রাতের ছায়া। যে রাত শেষ হয় না। আমাদের মগজে-মননে ঝুলে থাকে। যে রাত বয়ে বেড়াতে হয় জীবনেও। এমনই কিছু গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে অসমাপ্ত রাতের ছায়া গল্পগ্রন্থটি। বইয়ের গল্পগুলোকে দুই ভাগে সাজানো হয়েছে। এখানে রয়েছে জীবনের গল্প, রয়েছে অতিপ্রাকৃত গল্প। তবে গল্পগুলো মানুষের কল্পনার জগতকে নাড়া দেয়। আশা-হতাশার মধ্যে ডুবে যেতে যেতে আশাকে আঁকড়ে ধরার প্রয়াস খুঁজে পায়। গল্পগুলো পাঠককে আনন্দ দেবে- এই প্রত্যাশা।'শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ইমতিয়াজ আহমেদ সাহিত্য চর্চা করছেন ছাত্রজীবন থেকেই। অন্যতম শখ বইপড়া থেকেই শিল্পসাহিত্যের সাথে জড়িয়ে আছেন। মফস্বলে দীর্ঘ ১৭ বছর প্রিন্ট এবং প্রতিষ্ঠিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। গল্প-উপন্যাস ছাড়া কবিতারও বইও রয়েছে তার।গল্পগ্রন্থ 'অসমাপ্ত রাতের ছায়া' সম্পর্কে জানতে চাইলে লেখক বলেন,'বইটিতে মোট ১৩ টি গল্প রয়েছে। অতিপ্রাকৃত এবং জীবনের গল্প মিলিয়ে বইটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। প্রতিটি গল্পই সুক্ষ্মবার্তা দেবে পাঠককে। চিন্তার জগতে খানিকটা নাড়া দেবে। দেবে আনন্দও।'প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন জানান,'বইটি বইমেলায় প্রকাশনীর ৭৫,৭৬ ও ৭৭ নং (টিএসসি গেইট সংলগ্ন) স্টলে পাওয়া যাবে। এছাড়া রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপ থেকে অর্ডার করা যাবে। আশা করি বইটি পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে।'পিএম
    ‘বুলবুল আজীবন সম্মাননা পদক' পেলেন ড. সোমা মুমতাজ
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোমা মুমতাজ এ বছর ‘বুলবুল আজীবন সম্মাননা পদকে’ ভূষিত হয়েছেন।বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।বাংলাদেশের নৃত্য জগতের পথিকৃৎ,খ্যাতিমান নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর ১০৬তম জন্মদিনে এই 'বুলবুল আজীবন সম্মাননা পদকে' অলঙ্কৃত করা হয় বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যব্যাক্তিত্ব ড.সোমা মোমতাজকে।এ বিষয়ে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ড. সোমা মুমতাজ-এর এই পদক লাভ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সম্মানের। নৃত্য চর্চায় ড. সোমা মুমতাজ দেশব্যাপী পরিচিত, তাঁর নৃত্যচর্চা ও শিল্পমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ঋদ্ধ হয়েছে। এ পদক লাভ তাঁর কাজের স্বীকৃতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনন্দিত।উল্লেখ্য বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা প্রতিবছর গুণী এই শিল্পস্রষ্টার জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছরই একজন বিশিষ্ট নৃত্যব্যক্তিত্বকে ‘বুলবুল আজীবন সম্মাননা পদকে’ সম্মানিত করে থাকে।পিএম
    মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত কবি হেলাল হাফিজ
    রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মূল দরজার বামপাশে বুদ্ধিজীবীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে, সকালে বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের প্রথম নামাজে জানাজা এবং দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়।প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কবি হেলাল হাফিজ গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়বেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি।এইচএ 
    বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা সম্পন্ন
    কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে এ জানাজা হয়।কবির দ্বিতীয় জানাজা আগামীকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।কবির মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায় নেওয়া হবে না বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কবির বড়ভাই দুলাল এ হাফিজ।এর আগে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপার হোম নামে শাহবাগের একটি হোস্টেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কবি হেলাল হাফিজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।শুক্রবার এক শোক বার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি।দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙ্‌ক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।এইচএ
    দেশবরেণ্য কবি হেলাল হাফিজ আর নেই
    দেশবরেণ্য কবি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রবীণ সদস্য হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি আইয়ুব ভূঁইয়া।জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর শাহবাগের সুপার হোস্টেলের বাথরুমে দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় কবিকে। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়।আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য কবি আবিদ আজম।হেলাল হাফিজ (৭ অক্টোবর ১৯৪৮) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি। তিনি বিংশ শতাব্দির শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর কবিতা সংকলন ‌‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর ৩৩টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’। এ কবিতার দুটি পঙ্‌ক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়।তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।আরইউ
    হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নেত্রকোনায় হিমু উৎসব আজ
    আজ ১৩ নভেম্বর। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর ৭৬তম জন্মদিন। আর এ দিনে প্রতিবারের মতো এবারও পালিত হচ্ছে হিমু উৎসব। লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোনায় তারুণ্য নির্ভর সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে দিনব্যাপী হিমু উৎসবের মেতে উঠবে জেলা শহর। তরুণ পাঠক ভক্তরা প্রতিবারের ন্যায় এবারো দিবসটিতে হিমু-রূপা সেজে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করবে দুই কিলোমিটার সড়ক। বিভিন্ন বয়সের কবি, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা হিমু উৎসবের প্রথমার্ধে শোভাযাত্রা বের করবে। সাতপাই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি মোক্তারপাড়া মাঠে গিয়ে শেষ হবে। পরে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হবে। সন্ধ্যায় রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।তারুণ্য নির্ভর সামাজিক সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে বুধবার(১৩ নভেম্বর) সকালে ১১ টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় সাতপাই থেকে হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু আর নীল শাড়িতে রূপা সেজে লেখকের নাটক সিনেমায় ব্যবহৃত গানের সাথে নেচে গেয়ে মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে অতিক্রম করবে। সেখানে হিমু-রূপাদের নিয়ে কেক কাটবেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। পরে সন্ধ্যা সাত টায় হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আড্ডায় আড্ডায় লেখকের তৈরি নাটক সিনেমায় ব্যবহৃত কালজয়ী গান ও নৃত্য পরিবেশিত হবে। শিল্পকলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে আড্ডায় আড্ডায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লেখক সম্পর্কে আলোচনা করবেন স্থানীয় কবি লেখক সাহিত্যিকরা। মূলত প্রতিবছর নতুন প্রজন্মের মাঝে হুমায়ুন আহমেদ এর সাহিত্য সংস্কৃতি আনন্দের ছলে এবং লেখকের আকর্ষণীয় কাল্পনিক চরিত্রের রূপায়নের মাধ্যমে তুলে ধরাই লক্ষ্য।বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই লেখকের এমন কাল্পনিক চরিত্রের কার্যক্রম ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা মাত্র জানালেন আয়োজক সদস্য সৈয়দা নাজনীন সুলতানা সুইটি। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে চলা এই উৎসব এখন সকলের উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর এই আয়োজনকে ঘিরে এক মাস ধরে প্রস্তুতি চলে। যে প্রস্তুতিতে হলুদ টি শার্ট করা হয়। এই টি শার্টে প্রতি বছর লেখকের এক একটি শিক্ষনীয় উক্তি লিখা থাকে। আমাদের নতুন প্রজন্ম তারা প্রতিযোগিতা করে এসকল উক্তি থেকে একটা উক্তি বাছাই করে। এতে তাদের মধ্যে একটা সহনীয় মনোভাব তৈরি হয়। সাহিত্যকে জানা হয়। একজন অন্যজনের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া শেখে। এসব কর্মকাণ্ড দিয়েই প্রায় মাসব্যাপী ছেলে মেয়েদেরকে আমরা ব্যস্ত রাখতে পারি। হিমু রিফাত আহম্মেদ রাসেল জানান, হলুদ টি শার্ট পড়া বড় ব্যাপার না। বড় ব্যপার হচ্ছে এই টি শার্টের গায়ের লিখাটা। এটি মানুষ দেখে জানে। এতে হুমায়ুন চর্চা যেমন হয় তেমন নতুনেরা জানতে পারে অন্য লেখকদের সম্পর্কেও।হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা আলপনা বেগম জানান, একটি আয়োজনকে ঘিরে মাসব্যাপী কার্যক্রমে এখন শহরবাসীও প্রস্তুত থাকে প্রতিবছর।  এর সাথে প্রশাসন থাকেন। অনেকে হুমায়ুন আহমেদকে শুধু পড়েছেন। কিন্তু এভাবে তাকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে জানা টাকেও নতুন করে গ্রহণ করছেন।বিশেষ করে এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা যেন এক বাক্যে হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে ইন্টারভিউ বা যে কোন স্থানে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এই প্র‍্যাকটিসটিও হচ্ছে আমাদের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে।এক বরেণ্য ব্যক্তির উৎসব প্রতি বছর অপর বরেণ্য বুদ্ধিজীবী সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক যতীন সরকার উদ্বোধন করেন। বর্তমানে প্রতি বছর দিনটি তরুণ প্রজন্মের সাথে বিভিন্ন প্রজন্মের একটি মেল বন্ধন ঘটার দিনে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও লেখকের জন্মস্থান নানার বাড়ি জেলার মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে ও লেখকের পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়ার কুতুবপুরে লেখক প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে দোয়া মাহফিল করা হবে। উল্লেখ্য, লেখক হুমায়ুন আহমেদ এই দিনে মায়ের প্রথম সন্তান হওয়ায় নানার বাড়ি মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নানার বাড়িতে থাকার আরও একটি কারণ ছিলো। হুমায়ুন আহমেদ এর পিতা সরকারি চাকুরী করার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতেই রেখে যেতেন। পরবর্তীতে ২০১২ সনের ১৯ জুলাই তিনি আমেরিকায় মারা যান।  এমআর
    বইমেলা শুধু বাংলা একাডেমিতে, বরাদ্দ মেলেনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
    বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। তবে এবার বইমেলার পরিধি শুধু বাংলা একাডেমিতেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।একাডেমিকে পাঠানো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গত ৬ নভেম্বরের ওই চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের ২১ নভেম্বরের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ আয়োজন করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলার অনুমতি দেয়নি গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বইমেলা জমবে না, এটার অনুমতি নিতে হবে। তার জন্য আবার বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই করতে চাই।’গত এক দশক ধরে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার আয়োজন হয়ে আসছে। চলতি বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে এ আয়োজন হয়।এসএফ
    'ছড়ার জাদুকর' খ্যাত সুকুমার রায়ের আজ জন্মদিন
    বাঙালির শৈশব মানেই কিন্তু সুকুমার রায়। তাঁর ছোঁয়ায় ছোটরা পেয়েছে অচেনা এক জগতের সন্ধান। যেখানে রয়েছে নির্মল আনন্দ, অফুরান মজার স্বাদ। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স ছড়া’র প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তার পুত্র খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।  তিনি বাংলা সাহিত্যের বিস্ময়। তিনি যতটা সাহিত্যমনস্ক, ততটাই সমাজ ও বিজ্ঞানমনস্ক। তিনি বিজ্ঞানের কৃতী ছাত্র ছিলেন। সাহিত্য জগতে বাবার পথ অনুসরণ করেছিলেন সুকুমার। তাঁর প্রতিটি বই আজও পাঠকমহলে সমাদৃত। তবে একটি বইও তিনি নিজে দেখে যেতে পারেননি। প্রথম বই 'আবোল তাবোল' প্রকাশের আগেই চলে যান না ফেরার দেশে। আজ ৩০ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন।     সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালের এই দিনে কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ী কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলা শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর পুত্র। তার মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে। তার আদিনিবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। মসূয়াতে বসবাসের আগে তার পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহে। সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় তার দুই ভাই। এ ছাড়াও তার তিন বোন ছিল, তারা হলেন সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা।সুকুমার রায় জন্মেছিলেন বাঙালি নবজাগরণের স্বর্ণযুগে। তার পারিবারিক পরিবেশ ছিল সাহিত্যানুরাগী, যা তার মধ্যকার সাহিত্যিক প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হয়। পিতা উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন শিশুতোষ গল্প ও জনপ্রিয়-বিজ্ঞান লেখক, চিত্রশিল্পী, সুরকার ও শৌখিন জ্যোতির্বিদ। উপেন্দ্রকিশোরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি সুকুমারকে সরাসরি প্রভাবিত করেছিলেন। এ ছাড়াও রায় পরিবারের সাথে জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখের সম্পর্ক ছিল। উপেন্দ্রকিশোর ছাপার ব্লক তৈরির কৌশল নিয়ে গবেষণা করেন, এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এবং মানসম্পন্ন ব্লক তৈরির একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মেসার্স ইউ. রয় অ্যান্ড সন্স নামে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুকুমার যুক্ত ছিলেন।তিনি গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর কলকাতার সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাস করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) করার পর সুকুমার মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে পৌঁছেছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা‘নদী’ প্রকাশিত হয়‘মুকুল’ পত্রিকার ১৩০২ জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়। তবে যেটুকু জানা যায়, ছাত্রাবস্থায় বিশেষ সাহিত্যচর্চা করেননি। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে সুকুমার কলকাতাতে ফিরে আসেন। সুকুমার ইংল্যান্ডে পড়াকালীন, উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোরের সম্পাদনায় ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ বেরোয়। তখন থেকেই মূলত সুকুমারের সাহিত্যের আঙিনায় প্রবেশ। ২৬ বছর বয়সে। মাত্র দুই বছর যেতে না যেতেই উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু। উপেন্দ্রকিশোর জীবিত থাকতে সুকুমার লেখার সংখ্যা কম থাকলেও উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর সন্দেশ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সুকুমার নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়। পিতার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি সন্দেশ ও পারিবারিক ছাপাখানা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট ভাই এই কাজে তার সহায়ক ছিলেন এবং পরিবারের অনেক সদস্য ‘সন্দেশ’-এর জন্য নানাবিধ রচনা করে তাদের পাশে দাঁড়ান।তবে খুব দীর্ঘ হয়নি সেই যাত্রা। তাঁর সাহিত্য চর্চা শেষ হয় মাত্র দশ বছরের পরিসরেই। রোগশয্যায় শেষ আড়াই বছর বিশেষভাবে সৃজনশীল ছিলেন। সুকুমার রায়ের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তার প্রতিভার শ্রেষ্ঠ বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। ‘সন্দেশ’র সম্পাদক থাকাকালীন তার লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে। তার বহুমুখী প্রতিভার অনন্য প্রকাশ তার অসাধারণ ননসেন্স ছড়াগুলোতে। তার প্রথম ও একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই ‘আবোল তাবোল’ শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার।প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তিনি ননসেন্স ক্লাব নামে একটি সংঘ গড়ে তুলেছিলেন। এর মুখপাত্র ছিল সাড়ে বত্রিশ ভাজা নামের একটি পত্রিকা। সেখানেই তার আবোল-তাবোল ছড়ার চর্চা শুরু। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর মানডে ক্লাব (ইংরেজি ভাষা: Monday Club) নামে একই ধরনের আরেকটি ক্লাব খুলেছিলেন তিনি। মানডে ক্লাবের সাপ্তাহিক সমাবেশে সদস্যরা ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’ পর্যন্ত সব বিষয়েই আলোচনা করতেন। সুকুমার রায় মজার ছড়ার আকারে এই সাপ্তাহিক সভার কয়েকটি আমন্ত্রণপত্র করেছিলেন সেগুলোর বিষয়বস্তু ছিল মুখ্যত উপস্থিতির অনুরোধ এবং বিশেষ সভার ঘোষণা ইত্যাদি।ইংলান্ডে থাকাকালীন তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বিষয়ে কয়েকটি বক্তৃতাও দিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তখনো নোবেল পুরস্কার পাননি। ইতোমধ্যে সুকুমার লেখচিত্রী/প্রচ্ছদশিল্পীরূপেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। তার প্রযুক্তিবিদের পরিচয় মেলে, নতুন পদ্ধতিতে হাফটোন ব্লক তৈরি আর ইংল্যান্ডের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত তার প্রযুক্তি বিষয়ক রচনাগুলো থেকে।সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কার্য ছাড়াও সুকুমার ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সংস্কারপন্থি গোষ্ঠীর এক তরুণ নেতা। ব্রাহ্ম সমাজ, রাজা রামমোহন রায় প্রবর্তিত একেশ্বরবাদী, অদ্বৈতে বিশ্বাসী হিন্দুধর্মের এক শাখা যারা ৭ম শতকের অদ্বৈতবাদী হিন্দু পুরান ঈশ-উপনিষদ মতাদর্শে বিশ্বাসী। সুকুমার রায় ‘অতীতের কথা’ নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় ব্যক্ত করে - ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শের উপস্থাপনা করার লক্ষ্যে এ কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ওই সময়ের সবথেকে প্রসিদ্ধ ব্রাহ্ম ছিলেন, তার ব্রাহ্মসমাজের সভাপতিত্বের প্রস্তাবের পৃষ্ঠপোষকতা সুকুমার করেছিলেন।১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। তার মৃত্যু হয় একমাত্র পুত্র সত্যজিত এবং স্ত্রীকে রেখে। সত্যজিত রায় ভবিষ্যতে একজন ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন ও নিজের মৃত্যুর ৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে সুকুমার রায়ের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেন।এবি 
    বৈপরীত্য
    বৈপরীত্যএস এম আবু নাছেরযে মানুষটা প্রেম বিলায়, তারও প্রেমের কমতি হয়ভালোবাসার প্রাপ্তিতে হরেক পদের ঘাটতি হয়,প্রাণোচ্ছ্বল মানুষটারও মন কখনও খারাপ হয়কষ্ট পুষে, অপ্রকাশিত আবেগের জোয়ার বয়।আপন করে ভাবে যারা, তারও পর হতে সাধ হয়।খুব দূরে চুপটি করে, আপনাতে বিলীন রয়। খুব মিশুক মানুষটাও মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়সবকিছু মানিয়ে নিতে দম বুঝি বন্ধ হয়,অসহনীয়, অস্থিরতায় কাটে যখন দিনঘড়িতবুও তাদের মানাতেই হয়, বিভেদ ভুলে তাড়াতাড়ি।যে মানুষটা স্বপ্ন দেখায়, সাহসের গল্প শোনায়তারও আবার দুঃস্বপ্নে, বিশ্বাসের অভাব ঘটায়।যে মানুষটা আবেগ দিয়ে আগলে রাখে সবকিছুতারও আবার উটকো ঝড়ে ভেঙে যায় বেশ কিছু,খুব শক্ত, কঠিন মনের, বাইরে যার এক অবয়বতারও দেখি হৃদ মাঝারে উঁকি দেয় প্রেম সরোবর।ভাবছো বুঝি, এত কেন লুকোচুরি, বৈপরীত্যের ফুলঝুড়ি?এরই মাঝে লুকিয়ে আছে, মানব মনের ফুলকুঁড়ি।অল্প, আলতো স্নেহের পরশ, একটু শ্রদ্ধা আস্থা পেলেসে মানুষটিই ভেংগেচুরে যায় সব অভিমান দূরে ফেলে,সে মানুষের বুকের মাঝে বয়ে চলে এক আস্ত নদীভালোবাসা আর বিশ্বাসের ঝর্ণা বয় নিরবধি। (কবি: এস এম আবু নাছের, ব্যাংকার, গবেষক ও লেখক)
    Loading…