এইমাত্র
  • ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার
  • লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের জামাতে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উদযাপন করব: উপদেষ্টা আসিফ
  • যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ব
  • জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের নামাজ আদায়
  • লোহাগাড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
  • জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
  • ঈদের দিনেও গাজায় ই’রায়েলি হামলা, নিহত ৬৪
  • ঈদে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানাল পুতিন
  • আজ সোমবার, ১৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    শিক্ষাঙ্গন

    আবু সাঈদের পরিবারকে বেরোবি উপাচার্যের ঈদ সামগ্রী প্রদান
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী প্রদান করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। রবিবার (৩০ মার্চ ) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী শহীদ আবু সাঈদের বাবা জনাব মকবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। উপাচার্য শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।এসময় বেরোবি উপাচার্য বলেন, শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য। শহীদ আবু সাঈদকে ছাড়া তার পরিবার প্রথমবারের মতো ঈদ পালন করবে। উপাচার্য বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। কিন্তু আবু সাঈদের পরিবারের মাঝে ঈদের কোন আনন্দ নেই। তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো রমজান মাসে নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায় রয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মতো যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। উপাচার্য বলেন, আবু সাঈদসহ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচার এখনো দেখতে পারিনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পরিবার ও দেশবাসী ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দ অনুভব করবে। এনআই
    বাকৃবিতে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায়
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।রবিবার (৩০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাকৃবির কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবছর শুধু একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও কিছু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষ কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে। সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজের সময় সকাল ৯টায় নির্ধারণ করা হয়েছে।এআই
    বেরোবিতে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম কাম-খতিব হাফেজ মাওলানা রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ।তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও হল ও ডরমিটরিগুলোতে কিছু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা অবস্থান করছেন। তাদের সুবিধার্থে আমরা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামায়াত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজের সময় সকাল ৮টায় নির্ধারণ করা হয়েছে।এইচএ
    শেকৃবিতে ঈদের জামাত সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে
    শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।ঈদগাহ মাঠটি সবুজে ঘেরা এবং অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। রমজানের শেষ মুহূর্তে মাঠটি ঈদের জামাতের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেখানেই জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে এবং শেকৃবি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদে সকাল  ৭ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।শেকৃবির সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রাক্তন ছাত্র, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের ঈদের জামাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও চিফ ফার্ম সুপারিনটেনডেন্ট কৃষিবিদ মো. লুৎফুর রহমান (মৃদুল) সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং জামাতে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।পিএম
    ঢাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু ২ জুলাই
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্লাস আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হবে। এর আগে ভর্তির জন্য সকল আসন পূর্ণ করে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত বিষয় বরাদ্দ আগামী জুনে তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ক্লাশ শুরুর পর মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বিষয় পরিবর্তন বা নতুনভাবে কোন বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থী বিভাগ/ইনস্টিটিউটে সশরীরে হাজির হওয়ার পূর্বেই কয়েকটি ধাপে তার বিষয় বরাদ্দ/মাইগ্রেশন সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে বিষয় বরাদ্দ করা হবে।সেই সঙ্গে আগামী ২২ থেকে ২৬ জুন ২০২৫ তারিখের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত বিষয়সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটে সশরীরে হাজির হয়ে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তবে, নিজ অথবা পরিবারের কারও অসুস্থতাজনিত কারনে, দেশের বাইরে অবস্থানজনিত কারনে বা এরূপ কোনও যৌক্তিক কারনে (প্রমাণাদি জমা দিতে হবে) বিলম্বে ভর্তির ক্ষেত্রে ৩১ জুলাই তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীকে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের বিস্তারিত তথ্যের ফরম পূরণ ও ভর্তিতে ইচ্ছুক বিষয়ের পছন্দক্রম ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে প্রদান করতে হবে।
    ঈদ র‍্যালি করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবার 'ঈদ র‍্যালি' বের করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের দিন সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‍্যালি শুরু হবে। র‍্যালিটি টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।
    বাজারের মুরগির মাংসে সালমোনেলা ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া!
    টিউশনের বেতন পেয়ে বেশ খুশি সাকিব। একটু ভালো খাবারের আশায় ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী বাজার থেকে দুই কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে আনেন। রাতে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তীব্র ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথা। শিক্ষার্থীদের এমন অভিজ্ঞতার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন। গবেষণার অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ সদরের ১২টি স্থানীয় বাজার—চরপাড়া, মিন্টু কলেজ বাজার, মেছুয়া বাজার, নতুন বাজার, সানকিপাড়া, কেওয়াটখালী, শেষমোড়, সুতিয়াখালী, ভাবখালী, কে.আর. মার্কেট, শম্ভুগঞ্জ ও গাছতলা বাজার থেকে মোট ২৬টি মুরগির মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি ১২টি বাজারের ২৪টি পোল্ট্রি দোকানের কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং ২‌টি পা‌নির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।পরীক্ষায় দেখা গে‌ছে, সংগ্রহ করা মাংসে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০২ থেকে ৫.৫৯ সিএফইউ/গ্রাম এবং ইকোলাই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০১ থেকে ৫.৯৪ সিএফইউ/গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। যা স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় বেশি। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার মতো মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী। গ‌বেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বি‌শ্লেষণ ক‌রে অধ্যাপক ড মো ই‌লিয়াস হো‌সেন আরও জানান, ৮৪.৬২ শতাংশ দোকানে মুরগি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ৯২ শতাংশ দোকানে ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং ৪৬.১৫ শতাংশ দোকানে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। এছাড়াও, ৩০.৭৭ শতাংশ দোকানে মাংস কাটার জায়গা অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং পরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না। এরকম পরিস্থিতি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং দূষণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। যা দূষিত মাংসের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। স্বাস্থ্যকর মাংস প্রাপ্তির বিষয়ে  অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপন কর‌তে হ‌বে। যার মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস পৌছে দেওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানীদের ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি বন্ধ করতে হবে। ক্রেতা ও বি‌ক্রেতা‌দের স্বাস্থ্যকর মাংস প্রক্রিয়াকরণ সর্ম্পকে স‌চেতন কর‌তে হ‌বে।এই গবেষণা প্রতিবেদনটি ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা কর্তৃক আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো-২০২৫-এ উপস্থাপিত হয়।
    বুয়েটে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাআত সকাল সোয়া ৭টায়
    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাআত সকাল সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও জানানো হয়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে নিম্নবর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী উক্ত নামাজের জামাআত অনুষ্ঠিত হবে।সেক্ষেত্রে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮টায় ও আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায়।এছাড়া সকলকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাআতে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে।এনআই
    ঢাবিতে ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত, প্রথম জামাত সকাল ৮টায়
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতীব হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন এম এ জলিল।এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৮টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।এনআই
    যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
    দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)  মামলার চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ ও আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার এ আদেশ দিয়েছেন  সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।অপর আসামিরা হলেন যবিপ্রবি’র উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ড. কামাল উদ্দিন।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট আব্দুর রউফসহ ৩ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছে। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি সরকারি বেতন-ভাতাবাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট ওই তিনজনকে আসামি করে দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এজাহারনামীয় ওই তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে বিচারক চার্জশিট গ্রহন ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এ আদেশ দিয়েছেন।এনআই
    বন্ধ ক্যাম্পাসে ক্ষুধার্ত প্রাণীদের খাবার ও চিকিৎসা দিচ্ছে বাকৃবি ছাত্রদল
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদল বন্ধ ক্যাম্পাসে ক্ষুধার্ত ও অসহায় প্রাণীদের জন্য খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীগুলো সাধারণত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের থেকে খাবার পায়। তবে দীর্ঘ ছুটির কারণে খাবারের অভাবে তারা দুর্ভোগে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণীদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে বাকৃবি ছাত্রদল।বাকৃবি ছাত্রদলের সদস্যরা প্রতিদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য খাবার সরবরাহ করছে। তারা ভাত, খিচুড়ি, মাংস, বিস্কুটসহ পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছে, যাতে প্রাণীগুলো সুস্থ থাকতে পারে। পাশাপাশি, অসুস্থ ও আহত প্রাণীদের জন্য তারা ওষুধ ও চিকিৎসা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছে বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান। বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, "মানুষের পাশাপাশি অবলা প্রাণীরাও আমাদের সমাজের অংশ। তারা যেন খাবারের অভাবে কষ্ট না পায়, সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কাজ করছি। যতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে, ততদিন আমরা প্রাণীগুলোর জন্য খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখব।"এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, "আওয়ামী দুঃশাসন আমলে অমানবিকতার যে নজির দেখেছি আমরা, সেই অন্ধকার দূর করতে মানবতার আলো ছড়িয়ে দিতে চায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হোক প্রতিটি হৃদয়ে। নিরাপদ থাকুক সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ সহ প্রতিটি প্রাণী।"বাকৃবি ছাত্রদলের এই উদ্যোগ প্রাণীপ্রেমী ও সচেতন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড অন্য শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে বলে মনে করছেন। এইচএ
    কৃ‌ষি গু‌চ্ছর ভ‌র্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন
    ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় প‌রিবর্তন হ‌য়ে‌ছে। সং‌শো‌ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১২ এপ্রিল ওই পরীক্ষাটি সকাল ১১টা থেকে ১২টার পরিবর্তে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ভ‌র্তি ক‌মি‌টির সদস‌্য স‌চিব ও বাংলা‌দেশ কৃ‌ষি বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের (বাকৃ‌বি) রে‌জিস্ট্রার কৃ‌ষি‌বিদ ড মো হেলাল উ‌দ্দীন স্বাক্ষ‌রিত এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এই তথ‌্য জানা‌নো হয়।জানা গে‌ছে এই বছর ৯টি কৃ‌ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে ৯৪ হাজার ৩৬ শিক্ষার্থী আবেদন ক‌রে‌ছেন। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী। ওই বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানা‌নো হয়, গত সোমবার (১৭ মার্চ) কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ১২টার পরিবর্তে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনু‌ষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো-  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।এআই
    মাভাবিপ্রবি উপাচার্যের নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা দাবি
    মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণার চেষ্টা চালানো হয়েছে। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি উপাচার্যের ছবি ও নাম ব্যবহার করে বিভিন্নজনের কাছে অর্থ দাবি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত বুধবার (২৬ মার্চ) রাতে বিষয়টি উপাচার্যের সহকর্মীরা তাকে অবহিত করেন।তারপর তিনি গতকাল রাতে ফেসবুক স্টেটাসে একটি ফোন নাম্বার শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করে  জানান, আমার ছবি ব্যবহার করে কেউ একজন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা চাইছে।আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। সবাইকে অনুরোধ করছি, কেউ যেন এই ধরনের যোগাযোগে প্রতারিত না হন।ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ আরও জানান, “শুধু মাভাবিপ্রবি নয়, দেশের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গেও এমন প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আজই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব। মাভাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে তিনি।গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, এর আগে প্রতারক চক্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ বিভিন্ন উপাচার্যের নামেও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা চায়।এসআর
    প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও সমাবর্তন পায়নি পাবিপ্রবি
    ২০০৮ সালের ৫ জুন দেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। শুরু থেকেই উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিক বিজ্ঞানচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।তবে দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো সমাবর্তন আয়োজন করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ প্রদানের জন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পাবিপ্রবির গ্র্যাজুয়েটরা এখনো সেই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সমাবর্তনের আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছেন।শিক্ষার্থীদের মতে, সমাবর্তন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি তাদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি, আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাবিপ্রবি প্রশাসনের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করা।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা সবাই সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন।সমাবর্তন না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এই অনুষ্ঠান কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অর্জনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও সমাবর্তন না হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট মো. শামীম হাসান বলেন, “প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হওয়া জরুরি। আমাদের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি লাভের যে স্বীকৃতি বা সার্টিফিকেট প্রাপ্তি এবং এই মুহূর্তকে যে আমরা স্মৃতি হিসেবে রেখে দেব, সেইসাথে সমাপ্তিটা সুন্দর হবে-এই জন্যেই সমাবর্তন হওয়াটা জরুরি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও আমরা ১০ বছর আগে বের হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সমাবর্তনের মুখ দেখতে পাইনি। এটি সত্যিই দুঃখজনক। আমি এটাকে প্রশাসনিক ব্যর্থতাই বলব।”অন্যদিকে, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের গ্র্যাজুয়েট সুমাইয়া হক বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। সমাবর্তন সেই সুযোগ দেয়। কিন্তু বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, সমাবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রশাসন থেকে একটি সুনির্দিষ্ট তারিখও ঘোষণা করা হচ্ছে না। আমরা কি চিরকাল অপেক্ষায় থাকব?”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, চার বছরের স্নাতক শেষ করে একদিন গাউন ও টুপি পরে বন্ধুদের সঙ্গে স্মৃতিময় মুহূর্ত কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। আমাদের পরিচিত অনেকেই দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাবর্তনের মাধ্যমে সনদ পেয়েছে, আমরা এখনও সেই স্বপ্নই দেখে যাচ্ছি। শুধু পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের কেন এভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে? আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।শিক্ষকরাও মনে করেন, নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন না হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুর্বলতার পরিচায়ক। জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন, যা শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। আমি যতদূর জানি, এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত স্থাপনা, জায়গার সংকট ও নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকায় সমাবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করি, নবনির্মিত কনভেনশন হলসহ বিভিন্ন স্থাপনাগুলো চালু হয়ে গেলে খুব দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমাবর্তন আয়োজন করতে পারবে। সেইসাথে অনেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার এখন এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসছেন বলে জানি।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আবদুল আওয়াল নয়াদিগন্তকে বলেন, এর আগে বিভিন্ন কারণবশত হয়তো এতদিনেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়ে ওঠেনি। আমরা স্বল্প সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আসলেও এতটুকু বলতে পারি—আমরা অবশ্যই সমাবর্তনের উদ্যোগ নেব। যেহেতু সমাবর্তন একটি বড় আয়োজন, এ মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে সময় বলতে পারছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এই আয়োজন করতে পারব।শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও আশা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সমাবর্তনের আয়োজন করবে এবং এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে।এসআর
    ২ শিক্ষক ও এক টেকনিশিয়ানকে চাকরিচ্যুত করলো চবি প্রশাসন
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের দায়ে দুই শিক্ষক এবং নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার দায়ে এক টেকনিশিয়ানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬০ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ওয়ার্কশপের সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিকস) হাদী মো. রশিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের থেকে জানা যায়, হাদী মো. রশিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাবেক ভিসি শিরীণের আমল থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলে আসলেও অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।এছাড়া অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের দায়ে দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শান্তনু দেব্বর্মন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত দারিনা কামাল।শান্তনু দেব্বর্মন ২০১৭ সালে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডির জন্য পাড়ি জমান কানাডায়। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি তার ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বিভাগে যোগ দেননি তিনি। রিফাত দারিনা কামাল ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য কানাডায় যান। তার ছুটির মেয়াদ ২০২২ সালের ১৪ জুলাই শেষ হয়। তিনিও আর নিজ বিভাগে যোগদান করেননি।এবিষয়ে চবির উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এর মধ্যে দুই শিক্ষক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদান করবেন না বলেই মূলত কোনো রেসপন্স করেননি।ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম  বলেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। গত সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো ৩০ দিনের মধ্যে যোগদান করার বিষয়ে বলার জন্য, তারা তবুও ফেরেননি।এসআর
    Loading…