এইমাত্র
  • আতশবা‌জি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
  • সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
  • সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
  • ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
  • চীনের বিনিয়োগে দেশে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল
  • আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
  • শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
  • ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
  • আজ সোমবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    আইন-আদালত

    ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা
    ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।ইশরাক হোসেন অবিভক্ত ঢাকার সিটির মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।এর আগে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২ সিটিতেই মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে মেয়র হন নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে মেয়র হন নৌকার আরেক প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির দুই প্রার্থী। দলটির পরাজিত দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সিটি ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোটের নানা ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ তথ্যপ্রমাণ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের কাছে তুলে ধরেন তারা। ওই বছরের ৩ মার্চ ভোটে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।এমআর-২
    চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে: চিফ প্রসিকিউটর
    গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৫ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।এর আগে, গত ২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গণহত্যা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়।চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন নিহতের নানা। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে চাঁনখারপুলে আন্দোলনে যোগ দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। আমরা কিছু ভিডিও পেয়েছি, কীভাবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সেখানে অলিতে গলিতে ঢুকে গুলি করেছে।তাজুল ইসলাম বলেন, আনাস বাসা থেকে গোপনে বের হওয়ার সময় তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে আসে। চিঠিতে সে বলে, ‘আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’এ ঘটনায় তার বাবা পলাশ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।পুলিশের কনস্টেবল সুজন এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।এমআর-২
    শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ নয়
    সাঈদ হোসেন চৌধুরীর দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে প্রদত্ত ঘোষণাপত্র বাতিল আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক মুদ্রাকর হিসেবে শফিক রেহমানকে দেওয়া ঘোষণাপত্র কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সাঈদ হোসেন চৌধুরীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।গত সোমবার (২৪ মার্চ) আদালত এ রুল জারি করেন, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মার্চ জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে সরকার।অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে, সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লেয়ারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে 'দৈনিক যায়যায়দিন' পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল, তা বাতিল করা হয়। এর এক সপ্তাহ পর ১৮ মার্চ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পান শফিক রেহমান।এবি 
    জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস
    অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের পাঁচ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার মা আয়েশা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।রায়ে জব্দকৃত তার ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শামীমেরর মা আয়েশা আক্তারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ২৭ মার্চ ঠিক করেন আদালত।জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।পরে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।এবি 
    ওয়াসিম হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
    জুলাই আন্দোলনের দ্বিতীয় শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নিহত ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিল। তখন ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী শক্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন চলছিল। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।এতে আরও বলা হয়, ওইদিন বিকেল ৩-৪টায় ওয়াসিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং ওইসময়ে তার ওপর আসামিদের নির্দেশে এবং তাদের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ও লাঠিসোঁঠা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন ওয়াসিম আকরাম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও একই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।   ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। গত ১৮ আগস্ট নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন।এবি 
    দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়ার ভাই ও তার স্ত্রী
    সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক এ আদেশ দেন।সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন। এদিন শুনানি চলাকালে শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী আদালতে হাজির ছিলেন।জানা যায়, সম্পদের তথ্য চেয়ে ২০০৭ সালে শামীম ইস্কান্দারকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু সেই নোটিশের পর সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ঘটনায় ২০০৮ সালে রমনা থানায় মামলা করে সংস্থাটি।এইচএ
    শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতি
    সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।এর আগে সোমবার (২৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগদান করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।বিচারপতি ফারাহ মাহবুববিচারপতি ফারাহ মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম পাসের পর ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার আরও একটি পরিচয় তিনি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের মেয়ে।আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের দ্রুত মামলা নেওয়ার বিষয়ে নীতিমালা করে রায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রথাগত অধিকার রক্ষার রায়, অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা বাধ্যতামূলকের রায়সহ অসংখ্য আলোচিত রায় দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।এবি 
    আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ২ বিচারপতি
    সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন হাইকোর্ট বিভাগের দু’জন বিচারপতি। তারা হলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।সোমবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আগামীকালই শপথ নেবেন তারা।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের  বিচারক পদে নিয়োগ দান করেছেন।’এর আগে, বিচারপতি আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক ও ২০০৫ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।অপরদিকে, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালে জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। তিনি ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট একই বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।এইচএ
    আমি বাদীকে চিনি না, বাদীও আমাকে চেনে না: সাবেক মেয়র আতিকুল
    আজ সোমবার (২৪ মার্চ) আদালত হাজির করা হয় ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে। এসময় তিনি প্রশ্ন করেন, আজকে কোন মামলা? কয়টা মামলা হয়েছে? ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক আতিকুল ইসলামের এমন প্রশ্নের জবাবে তার এক আইনজীবী বলেন, স্যার, ৬০ টার মতো মামলা হয়েছে। পাশে থাকা আরেক আইনজীবী বলেন, না স্যার। ৫৬ টার মতো মামলা হয়েছে। তখন আতিকুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বাদীকে চিনি না, বাদীও আমাকে চেনে না।সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।এদিন আতিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন৷ পরে পুলিশের পাহারায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।এর আগে গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আতিকুল ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি মেয়র হন।এবি 
    কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক বললেন, ‘ঈদ মোবারক’
    জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় পলককে ঢাকার সিএমএম আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ৷ অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ৷ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।রিমান্ড শুনানি শেষে পলক সবার উদ্দেশে ঈদ মোবারক জানান। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম জানান, পলক ভাই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল হত্যা মামলায় পলকের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ভুক্তভোগী ওবায়দুল ইসলাম। এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়।এমআর-২
    সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
    চেক প্রতারণার মামলায় ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।এদিন মামলাটিতে সাকিবকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। আসামি পলাতক থাকায় বাদীপক্ষ তার সম্পদ ক্রোক করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিপন মিয়া এ তথ্য জানান।গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। এর মধ্যে আসামি ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাকিবের মালিকানাধীন এগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি পনের লাখ টাকা।এমআর-২
    ফের চার দিনের রিমান্ডে জুনাইদ আহমেদ পলক
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় পলককে ঢাকার সিএমএম আদালতে উপস্থিত করা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের স্বজন মো. আলী।প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।এবি 
    আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ: চিফ প্রসিকিউটর
    জুলাই গণহত্যায় ঢাকার আশুলিয়ায় আলোচিত ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনার মামলার সার্বিক তদন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ হয়েছে। এটিই প্রথম কোনো মামলা যেটির তদন্ত সম্পন্ন হলো। আরও ৩-৪টি মামলার তদন্তও শেষের পথে। ঈদের পরপরই শেষ হবে সেগুলো। এই রিপোর্টগুলো আসার পরপরই আনুষ্ঠানিক যে অভিযোগ তা আমরা দাখিল করবো। এরপরই শুরু হবে বিচার।প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই মামলায় ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৫ আগস্ট ৬ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, শুনানি শেষে এমনটাই বলেছিলেন চিফ প্রসিকিউটর।এমআর-২
    সাবেক প্রতিমন্ত্রী চুমকির ফ্ল্যাট জব্দ ও ২ কোটি টাকা ফ্রিজ
    মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ ওরফে মেহের আফরোজ চুমকির বনানীতে ৩ হাজার ১১৫ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট জব্দ ও পাঁচটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক আদেশ হওয়া ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এছাড়া ফ্রিজ করা ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ টাকা রয়েছে। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।  আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।আবেদনে বলা হয়েছে, মেহের আফরোজ ওরফে মেহের আফরোজ চুমকীর স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোন পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করার সম্ভবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার এর নামে অর্জিত বর্ণিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ ও ক্রোক করা আবশ্যক।এবি 
    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
    জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত এ রায় দেন।জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে মর্মে আদালত আদেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানান দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা।রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের আরেক মামলায় রায় প্রস্তুত না হওয়া পিছিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।  মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবদুল মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।  উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, জালটাকাসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মালেক। তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।পরে দুটি ধারায় তাকে ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
    Loading…