এইমাত্র
  • আতশবা‌জি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
  • সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
  • সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
  • ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
  • চীনের বিনিয়োগে দেশে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল
  • আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
  • শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
  • ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
  • আজ সোমবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    ধর্ম ও জীবন

    বাংলাদেশে ঈদ কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়
    দেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জানতে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।শনিবার (২৯ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদ কবে হবে, তা নির্ধারণ করতে রোববার সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।ওই দিন (৩০ মার্চ) দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে টেলিফোনে (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১) জানাতে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়েছে ২ মার্চ। সে হিসাবে রোববার (৩০ মার্চ) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রোজা হবে ২৯টি আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার (৩১ মার্চ)।যদি এর ব্যতিক্রম ঘটে ও ৩০ রোজা পূর্ণ হয়, তবে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদ উদযাপিত হবে।এমআর-২
    আগামীকাল ভোলার ১৪ গ্রামে ঈদ
    প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগামীকাল ঈদ পালন করবেন ভোলার ৫ হাজার মানুষ। শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকা‌নিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা জানান, জেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৫ হাজার অনুসারী রয়েছে তাদের। তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রেখেছেন এবং সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগামীকাল ঈদ পালন করবেন। তবে জেলায় ৫ অনুসারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। এই উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রামেই রয়েছে তাদের প্রায় ৩ হাজার অনুসারী।বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামের বাসিন্দা  সুরেশ্বরী দরবার শরীফের অনুসারী মো সুমন মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগামীকাল তারা ঈদ পালন করবেন। সকাল ৯টায় ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়ির দরজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকা‌নিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছরের মত এবছরও তারা সৌ‌দি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রেখেছেন এবং আগামীকাল সকালে তাদের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।তিনি আরও জানান, ভোলা সদর উপজেলা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুম‌দ্দিন, লালমোহন, চরফ‌্যাশন ও মনপুরা উপজেলার  ১৪টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকা‌নিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারীরা ঈদ পালন করবেন।এদিকে আগামীকাল ঈদ পালন করা অনুসারীরা বলছেন, সারা বিশ্বের মুসলমানরা একই সময় রোজা ও ঈদ পালন করা উচিত। তাদের মতে তারাই সঠিক সময়ে রোজা ও ঈদ পালন করছেন। এনআই
    সৌদিতে মক্কার মসজিদে হারামে প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত নারী ফটোগ্রাফার
    মক্কার মসজিদে হারামের বিভিন্ন কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বে গণমাধ্যমে জায়গা করে নিচ্ছে একদল পেশাদার ফটোগ্রাফারের বদৌলতে। সেই ফটোগ্রাফারদের দলের অন্যতম সদস্য হলেন- নাদি আল ঘামদি। তিনি মসজিদে হারামের প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত নারী আলোকচিত্রী।এ প্রসঙ্গে আল ঘামদি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ক্যামেরা দিয়ে গ্র্যান্ড মসজিদের ছবি তোলার স্বপ্ন ছিল। আজ, আমি তা বাস্তবায়িত করেছি।’সৌদি গণমাধ্যম আল-আখবারিয়া টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে নিয়মিত ছবি তোলা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি এবং আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’‘ছোটবেলা থেকেই আমি ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহী। আমি এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলাম এবং ডিপ্লোমা শেষ করার পর, আমি ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সে আবেদন করি। অনেক প্রচেষ্টার পর, আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’নাদি আল-ঘামদি আরও বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে ছবি তোলার অনুমতি পাওয়া প্রথম সৌদি মহিলা আলোকচিত্রী হতে পেরে আমি গর্বিত।’এছাড়া আমাকে আকাশপথে ছবি তোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে আমি আমার ক্যামেরা ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা হেলিকপ্টার থেকে গ্র্যান্ড মসজিদ এবং পবিত্র মসজিদের আকাশপথের দৃশ্য ধারণ করি।উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং দেশটিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে তাদেরকে নেতৃস্থানীয় পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ছয়জন মহিলা রাষ্ট্রদূত রয়েছেন।২০১৮ সালে সৌদি আরব প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়।নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে, সৌদি আরব নারীদের পুরুষদের অনুমোদন ছাড়া ভ্রমণ এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদনের অনুমতি দেয়, যার ফলে তাদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়।এইচএ
    সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল ঈদ
    সৌদি আরবে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে কাল রোববার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।শনিবার (২৯ মার্চ) সৌদি আরবের বড় দুই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুদাইর ও তুমাইরে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকেআনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয়। এর আগে সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সৌদির প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল-খুদাইরি বলেন, “সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আজ ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যাস্ত যাবে। এবং অর্ধচন্দ্র সূর্যাস্তের ৮ মিনিট পর অস্ত যাবে।দৃশ্যমানতার সময় দীর্ঘ অথবা ছোট হোক, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে চাঁদ দেখা সম্ভব।পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ আল-আমার নামে অপর এক জ্যোতির্বিদ বলেন, “আমি প্রত্যাশা করছি সুদাইরে আজ আমরা চাঁদ দেখতে পাব।”শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ঠিক হয়।চাঁদ দেখা যাওয়ায় এবার দেশটির মানুষ ২৯টি রোজা রাখলেন।উল্লেখ্য এরআগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২৯ মার্চ আরব ও ইসলামিক বিশ্বে শাওয়ালমাসের চাঁদ দেখতে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ ওইদিন সূর্যাস্তের আগে চাঁদ অস্ত যাবে এবং চাঁদ সূর্যের সংযোগ ঘটবে সূর্যাস্তেরপর।এফএস
    রোববার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা
    পবিত্র রমজান মাস শেষ হয়ে আসছে। হিজরি ১৪৪৬ সনের পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা শুরু এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে রোববার (৩০ মার্চ) সভা করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।শনিবার (২৯ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।এতে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।ওই দিন দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে টেলিফোনে (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১) জানাতে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।এমআর-২
    এবার বাংলাদেশ ও সৌদি আরবে একই দিনে ঈদ হতে পারে
    আসন্ন ঈদুল ফিতর বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম দেশে একই দিনে তথা আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি অবিশ্বাস্যভাবে সৌদি আরব ও বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) বুধবার জানিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাওয়ার এবং পরদিন ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।চাঁদের অবস্থান, সূর্যের সঙ্গে এর কোণিক বিভাজন, সূর্যাস্তের সময় উচ্চতা এবং বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। ফলে এসব দেশে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সৌদি আরবে আগামী ২৯ মার্চ চাঁদ দেখা প্রায় অসম্ভব। কারণ, মক্কায় চাঁদের বয়স সেদিন সূর্যাস্তের সময় প্রায় ৫ ঘণ্টা হবে। এর ফলে, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। সেই হিসেবে সেসব দেশের মুসলমানরা ৩১ মার্চ ঈদ উদযাপন করবেন। বাংলাদেশেও ওইদিন তথা ৩১ মার্চ ঈদ হতে পারে।কারণ, বাংলাদেশের আকাশে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নবচন্দ্রের বয়স হবে ২৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট। যা কিছুটা ছোট হলেও খালি চোখেও দেখা যাবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান এহসানুল হক জুবায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, ২৯ মার্চ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় নবচন্দ্রের বয়স হবে মাত্র ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। এ চাঁদ খালি চোখে তো নয়ই, টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা যাবে না। পরদিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার আকাশে যখন চাঁদ উঠবে তখন সেটির বয়স ২৫ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। আকারে কিছুটা ছোট হবে, তবে খালি চোখে দেখা যাবে। তাই বাংলাদেশে ২৯ রোজা এবং ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একই দিনে ঈদ উদযাপনের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।তবে, সৌদি আরব যেহেতু চাঁদ দেখতে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, তাই দেশটির চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে ৩০ মার্চ ঈদের ঘোষণা আসাটাও অস্বাভাবিক নয়। এরকম হলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ঈদুল ফিতর উদযাপনে একদিনের ব্যবধান থেকে যাবে। অর্থাৎ সৌদি আরব তখন ৩০ মার্চ ঈদ উদযাপন করবে আর অন্যান্য দেশগুলোতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে।
    পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ: রমজানের শেষ জুমার তাৎপর্য
    ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আজ (২৮ মার্চ)। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি জুমাতুল বিদা নামেও পরিচিত। এটি রমজান মাসকে এক বছরের জন্য বিদায়ের ইঙ্গিত দেয়।মুসলমানদের কাছে এমনিতেই সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা বেশি। আর রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও বেশি।  রমজানকে বিদায়ের ইঙ্গিত দেওয়া শেষ জুমার দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবায় রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যাসহ বিশেষ দোয়া হয়ে থাকে।রমজান মাসের শেষ জুমাবার বিশ্ব আল-কুদস দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিবছর মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিনের মুক্তি এবং বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়।প্রতিবারের মতো এবারও রমজানের শেষ জুমায় অংশ নিতে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের মসজিদগুলোতে যাবেন মুসল্লিরা। দিনটিতে নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির ছাড়াও বিভিন্ন আমলে নিমগ্ন থাকবেন তাঁরা। জুমার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত চেয়ে দোয়া করবেন।
    লাইলাতুল কদরের সন্ধানে আল-আকসায় ১ লাখ ৮০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়
    রমজানের শেষ দশকে বিশেষ এ সময়ের কোনো এক বেজোড় রাত্রিতেই রয়েছে মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর। এরই সন্ধানে পবিত্র আল আকসা মসজিদে ইবাদত-বন্দেগির জন্য উপস্থিত হন লাখো মানুষ। ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করেন মুসল্লিরা।আল আকসা মসজিদ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাতে সেখানে নামাজ আদায় করেছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকাসহ দূর-দুরান্ত থেকে আসেন মুসল্লিরা। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর হেনস্তা থেকে রেহাই মেলেনি এবারও। মসজিদে প্রবেশের আগে একের পর এক চেক পয়েন্ট। মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। তল্লাশির কবলে সাধারণ মুসল্লিরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে গেট পার হতে হয়ে যায় বিকেল।পশ্চিম তীরের বাসিন্দা জাকিয়েহ আওয়াদ বলছেন, চেক পয়েন্টে ভীষণ ভোগান্তি হয়েছে। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ঢোকার সুযোগ পেয়েছি। অনেক গেট বন্ধ করে রেখেছে। যখন আল আকসায় প্রবেশের অনুমতি পেলাম, কি যে আনন্দ হয়েছে! কেঁদে ফেলেছিলাম।অবশেষে প্রিয় মসজিদে প্রবেশ। তারাবিহ’সহ সারারাত ইবাদত বন্দেগি। মহান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন। গাজাবাসীর মুক্তি চেয়ে ইবাদাতকারীরা বিশেষ দোয়া করেন।প্রতিবারের মতো চলতি রমজানের আগেও পবিত্র আল আকসায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে ইসরায়েলিরা। বিশাল এ মসজিদে প্রায় ৩ লাখ মানুষের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।এফএস
    শবে কদরের রাতে ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা
    শাহবাহ্ মসজিদে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ, শেখ সালাহ বুখাতিরের তেলাওয়াতে মুখরিত রাত।সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শাহবাহ্ মসজিদে গতকাল রাত ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী। দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা প্রবাসী  মুসল্লিরা এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ মিস করেছেন বলে অনুভব করেছেন।লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে গগনবিদারী শুদ্ধ ও মধুর তেলাওয়াত পরিবেশিত হয়, যা সমগ্র এলাকা আলোকিত করে তোলে। বিশেষ করে, পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্বারি, জনাব শেখ সালাহ্ বুখাতিরের সুরেলা কণ্ঠে কুরআনের তেলাওয়াত কাসেমী হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাজুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়, যা উপস্থিত সবার হৃদয় স্পর্শ করে।এই স্মরণীয় রাতে উপস্থিত মুসল্লিরা এক অনন্য আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। আল্লাহ যেন সকলের ইবাদত কবুল করেন—এমন দোয়া করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।এনআই
    না জানিয়ে ফিতরা দিলে আদায় হবে কি?
    ফিতরা আদায় হওয়ার জন্য ফিতরাদাতার নিয়ত জরুরি, ফিতরা গ্রহণকারীর জানা জরুরি নয় যে তাকে ফিতরা দেওয়া হচ্ছে। তাই হাদিয়া, ঈদ উপহার, সালামি বা বখশিশ ইত্যাদি যে কোনো কিছু বলে ফিতরা গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে ফিতরা পৌঁছে দিলে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে।রমজান ও ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ঈদুল ফিতরের দিন ফিতরা আদায় আবশ্যক করেছেন।আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোজাদারের অনৰ্থক কথাবার্তা ও অশালীন আচরণের কাফফারাস্বরূপ এবং গরিব-মিসকিনদের আহারের সংস্থান করার জন্য ফিতরা ফরজ করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে তা পরিশোধ করে আল্লাহর কাছে তা গ্ৰহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পর তা পরিশোধ করে, তাও দানসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি দান। (সুনানে আবু দাউদ: ৬৩০)ঈদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, ব্যবসাপণ্য, বসবাস ও খোরাকির জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জমি, বসবাসের অতিরিক্ত বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র) মালিক থাকে, তার ওপর ওয়াজিব হয় তার নিজের পক্ষ থেকে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা।অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে সম্পদশালী হলে তার ফিতরা তার সম্পদ থেকে আদায় করাই নিয়ম। তবে বাবা চাইলে নিজের সম্পদ থেকেও তা আদায় করে দিতে পারেন।হাদিসে নবিজি (সা.) উন্নত মানের খেজুর, মধ্যম মানের খেজুর, কিসমিস, পনির ও গম -এই পাঁচটি খাদ্যদ্রব্যের যে কোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলোর মূল্য অনুযায়ী ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত হয়। এ বছর (রমজান ১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২০২৫ খৃষ্টাব্দ) বাংলাদেশ সরকারের ফিতরা নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এইচএ
    পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ
    আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। পবিত্র শবেকদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করবেন।পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন।পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে।এমআর
    নতুন আকৃতিতে পবিত্র কাবা শরিফের মসজিদ
    যুগের পর যুগ ধরে পবিত্র কাবা শরিফ এবং একে বেষ্টন করে চারপাশের মসজিদ মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রশান্তির ঠিকানা হয়ে আছে। এবার রমজানের পবিত্র সময়ে এটি পাচ্ছে নতুন এক রূপ-আরও বিশাল, আরও আধুনিক, আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়।সোমবার (২৪ মার্চ) দুবাইভিত্তিক ভিডিও সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম ভায়োরি মসজিদ আল হারামের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।ড্রোন থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়- গ্র্যান্ড মসজিদের তৃতীয় সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে, যেখানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ২০ লাখ মানুষ। একসময় যেখানে সীমিত জায়গায় দাঁড়ানোর সুযোগ পাওয়া ছিল ভাগ্যের ব্যাপার, সেখানে এখন মুসল্লিদের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রশস্ত আঙিনা ও আরামদায়ক চলাচলের পথ।২০১১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের প্রবেশ ও বাহির পথগুলো আরও প্রশস্ত করা হয়েছে, যাতে বিশাল জনসমাগমেও যেন মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন। দুই দশকের মধ্যে এবারই প্রথম পবিত্র মসজিদের চত্বরে কোনো নির্মাণ কপিকল দেখা যাচ্ছে না—যেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এটি পেয়েছে এক পরিপূর্ণ সৌন্দর্য।রমজানের শেষ দশকের জন্য প্রস্তুত মসজিদ। ৪২৮টি এস্কেলেটর ও ২৮টি লিফট স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মুসল্লিরা সহজেই চলাচল করতে পারেন। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা নামাজের স্থান, আর শিশুদের দেখাশোনার জন্য চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ সেবা।মক্কায় আসা প্রতিটি মানুষ একটাই স্বপ্ন দেখে—একবার হলেও পবিত্র কাবাকে সামনে থেকে দেখা, সেখানে নামাজ আদায় করা। নতুন সম্প্রসারণের ফলে এখন আরও বেশি মানুষ এই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন।গ্র্যান্ড মসজিদ বা মসজিদ আল হারাম কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি মুসলমানদের আবেগ, বিশ্বাস আর আত্মিক শান্তির প্রতীক। হাজার বছর ধরে এটি দাঁড়িয়ে আছে, যুগে যুগে এর আকৃতি ও রূপ বদলেছে কিন্তু এর মাহাত্ম্য, এর পবিত্রতা ও এর অন্তরের আহ্বান চিরকাল একই থাকবে।এফএস
    যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে ফিতরা দিতে হয়
    রমজান ও ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হলো সদকাতুল ফিতর। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা ঈদের নামাজের আগে প্রদান করতে হয়। এই দানকে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়।ঈদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ, ব্যবসাপণ্য, বসবাস ও খোরাকির জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জমি, বসবাসের অতিরিক্ত বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র) মালিক থাকে, তার ওপর ওয়াজিব হয় তার নিজের পক্ষ থেকে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা।যে ব্যক্তির ওপর জাকাত ওয়াজিব তার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করাও ওয়াজিব। জাকাত ওয়াজিব নয় এমন অনেকের ওপরও সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। যেহেতু জাকাতের নেসাব হিসাব করার ক্ষেত্রে ঘরের আসবাবপত্র ও স্থবর সম্পত্তি অর্থাৎ জমিজমা, ঘরবাড়ি ইত্যাদি হিসাবে ধরা হয় না, কিন্তু সদকাতুল ফিতরের নেসাব হিসাব করার ক্ষেত্রে ঘরের অত্যাবশ্যকীয় আসবাব ছাড়া অন্যান্য সৌখিন আসবাব-পত্র, খালি পড়ে থাকা বা ভাড়া দেওয়া জমিজমা ও ঘরবাড়িও হিসাবে ধরা হয়।হাদিসে নবিজি (সা.) উন্নত মানের খেজুর, মধ্যম মানের খেজুর, কিসমিস, পনির ও গম -এই পাঁচটি খাদ্যদ্রব্যের যে কোনো একটির মাধ্যমে সদকাতুল ফিতর আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলোর মূল্য অনুযায়ী সদকাতুল ফিতরের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত হয়। এ বছর (রমজান ১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২০২৫ খৃষ্টাব্দ) বাংলাদেশ সরকারের সদকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।ফিতরা দেবার সঠিক সময়: রমজান ও ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা। সম্পদশালী মুসলমানদের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলামানরাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা ফিতরা আদায় আবশ্যক করেছেন।ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ১৫০৯)সাহাবায়ে কেরাম ঈদের আগে ফিতরা আদায় করেছেন এ রকম দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদের এক দুদিন আগেই ফিতরা আদায় করে দিতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬০৬)ইসলামি আইনবিশারদগণের নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী ঈদের আগে রমজানের শুরু থেকে বা রমজানের আগেও ফিতরা আদায় করা জায়েজ। তাই রমজানের আগেও কেউ যদি ফিতরার নিয়তে কিছু দান করলে তা ফিতরা গণ্য হবে। তবে ফিতরা ঈদের দিন বা রমজানের শেষ দিকে আদায় করাই উত্তম।এইচএ
    জাকাত দেওয়া যাবে যাদের
    জাকাত ইসলামের মূল স্তম্ভের অন্যতম। এটি আর্থিক ইবাদত। এটি আদায় করা ফরজ। পবিত্র মাহে রমজান আসে আমাদের জন্য অবারিত ইবাদত বন্দেগি আর দানখয়রাতের বাড়তি সুযোগ নিয়ে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নেক বান্দারা অন্বেষণ করে কীভাবে বেশি বেশি পুণ্যকর্ম করে আল্লাহপাকের নৈকট্য অর্জন করা যায়।পবিত্র কোরআনে জাকাতের খাত নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। এখাত ছাড়া অন্য কোথাও যাকাত প্রদান করা জায়েজ নয়।মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْعٰمِلِیْنَ عَلَیْهَا وَ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُهُمْ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الْغٰرِمِیْنَ وَ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ ابْنِ السَّبِیْلِ ؕ فَرِیْضَةً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ حَكِیْمٌ۝۶۰অর্থ: জাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা: ৬০)১. যে দরিদ্র ব্যক্তির কাছে অতি সামান্য  মাল আছে, অথবা কিছুই নেই, এমনকি একদিনের খোরাকীও নেই এমন লোক শরিয়তের দৃষ্টিতে গরীব। তাকে জাকাত দেয়া যাবে। ২.  যে ব্যক্তির কাছে জাকাতযোগ্য সম্পদ অর্থাৎ সোনা-রূপা, টাকা-পয়সা, বাণিজ্যদ্রব্য ইত্যাদি নিসাব পরিমাণ আছে সে শরিয়তের দৃষ্টিতে ধনী। তাকে জাকাত দেয়া যাবে না।৩. অনুরূপভাবে যে ব্যক্তির কাছে জাকাতযোগ্য সম্পদ নিসাব পরিমাণ নেই, কিন্তু অন্য ধরনের সম্পদ যাতে জাকাত আসে না যেমন ঘরের আসবাবপত্র, পরিধেয় বস্ত্র, জুতা, গার্হস্থ্য সামগ্রী ইত্যাদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত এবং নিসাব পরিমাণ আছে তাকেও জাকাত দেয়া যাবে না।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদিস ৭১৫৬ এইচএ
    যে আলামত দেখে বুঝবেন আজ লাইলাতুল কদর
    লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। কোরআনে ওই রাতের ফজিলত আলোচিত হয়েছে দুটি জায়গায়। সুরা দুখানের শুরুতে আল্লাহ বলেছেন, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয় আমি এটি নাজিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয় আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী। তোমার রবের কাছ থেকে রহমত হিসেবে; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা দুখান: ২-৬)সুরা কাদরে আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে।’ তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল কদর’ কী? ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। (সুরা কাদর: ১-৫)এই মহিমান্বিত রাত রমজানেরই কোনো একটি রাত হওয়ার ব্যাপারটি সুনিশ্চিত। যেহেতু কোরআনের অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে কোরআনে রমজান মাসে নাজিল হয়েছে। আল্লাহ বলেন, রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। (সুরা বাকারা: ১৮৫)কিন্তু রমজানের কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়নি। একাধিক বর্ণনায় এসেছে, নবিজি (সা.) বলেছেন, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকেরই একটি রাত। যে কারণে তিনি রমজানের শেষ দশকটি ইতেকাফে কাটাতেন। আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন, আপনারা লাইলাতুল কদরকে রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান করুন। (সহিহ বুখারি: ২০২০, সহিহ মুসলিম: ১১৬৯)আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিল, তারপর আমার পরিবারের একজন আমাকে জাগিয়ে দিলেন, ফলে আমি তা ভুলে গেলাম। আপনারা লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ রাতে অনুসন্ধান করুন। (সহিহ মুসলিম: ১১৬৬)কিছু বর্ণনায় নবিজি (সা.) রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে আপনারা লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করুন। (সহিহ বুখারি)অর্থাৎ রমজানের শেষ দশকের যে কোনো একটি রাত অথবা ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানের দিবসপূর্ব রাতগুলোর কোনো একটি রাত লাইলাতুল কদর।কিছু হাদিসে এ রাতের কিছু আলামত বা চিহ্ন বলে দেওয়া হয়েছে যা দেখে বোঝা যেতে পারে ওই রাতই লাইলাতুল কদর। উবাদা ইবনুস সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরে’র নিদর্শন হলো এটি উজ্জ্বল, পরিষ্কার রাত হবে; যেন উজ্জ্বল চাঁদ ওঠা একটি রাত। রাতটি হবে শান্ত ও স্থির। ওই রাতে তীব্র শীত হবে না, তীব্র গরমও হবে না, এবং কোনো নক্ষত্রও তাতে খসে পড়বে না যতক্ষণ না সকাল হয়। (মুসনাদে আহমদ)আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সামনে কদরের রাত সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে ওই রাত মনে রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টুকরোর মতো বা অর্ধেক থালার মতো। (সহিহ মুসলিম: ২৬৬৯)অনেক আলেম মনে করেন, এ হাদিসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, লাইলাতুল কদর মাসের শেষ ভাগে হয়ে থাকে, কারণ চাঁদ থালার মতো উদিত হয় সাধারণত মাসের শেষের দিকে। লাইলাতুল কদরের আলমত প্রকাশ পায় পরবর্তী দিনেও। উবাই ইবনে কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেছেন, লাইলাতুল কদরের আলামত হল ওই রাতের পর দিনের সূর্য উদিত হয় সাদা আভাযুক্ত উজ্জল হয়ে তাতে তীব্র রশ্মি থাকে না। (সহিহ মুসলিম: ১৬৫৮)এইচএ
    Loading…