দালালরাই যেন গাজীপুর রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ( বিআরটিএ) অফিসের হর্তাকর্তা। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখানো থেকে শুরু করে অনান্য সকল কার্যক্রমই পরিচালিত গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে দালালের মাধ্যমে। অফিসের কর্মকর্তারা নিজেদের আখের ঘোচাতে এসব দালালদের ব্যবহার করে থাকে।

তবে চোখ কপালে উঠার মতো তথ্য হলো ভ্রাম্যমান আদালতের মত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনায় বিআরটিএর নির্ধারিত পোশাকেও দালালের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যৌথ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও হাইওয়ে থানা পুলিশ। অবাক করার মতো বিষয় এই অভিযানে রুহুল নামের এই দালাল বিআরটিএ এর পোশাক পরে ভ্রাম্যমান আদালতের সকল কাজে সহযোগিতা করছেন। ছবিতে দেখা যায়, মহাসড়কে চলমান ফিটনেসবিহীন গাড়ি লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায় করছেন সালনা হাইওয়ে পুলিশ এবং বিআরটিএ এর মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আদিয়াত রহমান। সে সময় কাগজ হাতে এই কর্মচারীর সাথে সেসব তথ্যের হিসাব রাখছেন দালাল রুহুল।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়. এসব দালালরা বিআরটিএ সেবা প্রত্যাশীদের কাছে নিজেদেরকে অফিসের লোকজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। অফিসকর্তাদের সাথে সখ্যতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কাজ করে দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরে সেই টাকার একটি মোটা অংশ চলে যায় অফিস প্রধানের পকেটে। এভাবে দালালের মাধ্যমে গাজীপুর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক এবং মোটরযান পরিদর্শক দালালদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, এর আগেও গাজীপুর বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক সুমনের সাথে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালতে অংশগ্রহণ করেন এই দালাল। সেখানেও রুহুল বিআরটিএ এর জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় সকল কাজে সহযোগিতা করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর বিআরটির সহকারী পরিচালক আবু নাঈম বলেন, রুহুল নামে আমাদের কোন কর্মচারী নেই। জনবল সংকট তাই মাঝেমধ্যে অনেককে কাজে লাগাতে হয়। তবে সে ভুল করে বিআরটিএ এর পোশাক পরে ফেলেছে। এমন ভুল আর হবে না।

পিএম