দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। গত কয়েক দিন ধরে শেরপুরের তাপমাত্রা ৩৮-৩৯ ডিগ্রীতে উঠানামা করলেও মঙ্গলবার শেরপুরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে (সূত্র আবহাওয়া অফিস)। গতকাল সোমবার ছিল ৩৯ ডিগ্রীর উপরে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লার ইস্রাফিলের দেড় বছরের কন্যা ইসরা নামে এক শিশু মারা গেছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ঘরে বসবাস করা ইস্রাফিলের পরিবারের ওই শিশু গরমে অসুস্থ হলে হাসপাতাল পর্যন্ত আনা যায়নি। অপর দিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেরপুর আফসর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবনা আক্তার নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজের ডিগ্রীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ২৯ এপ্রিল নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি পাগার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গরমে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল গুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বেড়েছে। শেরপুর জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। শিশু ওয়ার্ড ৪০ শয্যার হলেও এখন এই ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়েছে। এদিকে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার প্রধান বাজার গুলোতে তীব্র গরমে করণীয় সম্পর্কিত ১০ দফা করণীয় নিয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহরে উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেছেন, পারতে পক্ষে রোদে না যাওয়াই ভালো। বেশি বেশি পানি ও তরল খেতে হবে, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। শরীর খারাপ লাগলেই হাসপাতালে আসতে হবে।
এআই