এইমাত্র
  • অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল শিক্ষকের বাড়িতে
  • চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম শুরু
  • চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং লিডারসহ গ্রেফতার ৮
  • তিন জেলায় বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু
  • আচরণবিধি লঙ্ঘনে ১১ জনকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা
  • করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  • নাটোরে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা
  • রাতেই ৬০ কিমি বেগে বজ্রসহ ঝড়ের শঙ্কা, যেসব অঞ্চলে সতর্কসংকেত
  • প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হাসপাতালে নিলেন মা-বাবা
  • ভালুকায় গাড়িচাপায় মিল শ্রমিক নিহত
  • আজ শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার পর জানা গেল তিনি ভুয়া ডাক্তার!

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

    ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার পর জানা গেল তিনি ভুয়া ডাক্তার!

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

    নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চল মদনে শংকর চন্দ্র দাস নামের এক ভুয়া চিকিৎসক আটক। আটককৃ চিকিৎসক গত ২ মাসে চিকিৎসা করেছেন ৩৩৫ জন রোগীর।

    শনিবার(৪ মে) বিকেলে তাকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন আটকে ইউএনওর হাতে সোপর্দ করে।

    ভুয়া চিকিৎসক শংকর দাস টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার শমসের চন্দ্র দাস এর ছেলে।

    জানা গেছে, মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় শংকর চন্দ্র দাস তার ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে কাছেই স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন।

    ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সূত্রে জানা গেছে, শংকর চন্দ্র দাস গত মার্চ মাসের ৭ তারিখ নিজেকে সাধন কুমার মন্ডল পরিচয় মদন পৌরসভার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৩৫ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন।

    তিনি নিজেকে মা ,শিশু, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন। এছাড়াও তিনি আলট্রা সনোগ্রামও করতেন। এই ঘটনাটি ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল টের পেয়ে ইউএনওর সহযোগিতা চান।

    পরে সকল তথ্য উপাত্ত পেয়ে শুক্রবার বিকেলে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বদেশ হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাননি। কিন্তু স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ শনিবার তাকে এনে উনার কাছে সোপর্দ করেন।

    এর আগে খবর পেয়ে প্রতারণার শিকার ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন।

    তার সহযোগিতায় গতকাল শুক্রবার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ইউএনও। কিন্তু না পাওয়ায় তিনি সেন্টার মালিকের সহযোগিতা চাইলে আজ শনিবার তাকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

    চিকিৎসক সাধন মন্ডল খুলনা থেকে এসে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া।

    স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক মোঃ কাইয়ুম মিয়া জানান, আমরা সাধন কুমার মন্ডল নামে একজন ডাক্তারের সমস্থ কাগজপত্র দেখে রোগী দেখার জন্য আমাদের এখানে চেম্বার করে দেই।

    গতকাল শুক্রবার ইউএনও মহোদয় আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে সাধন কুমার মন্ডল নামের ডাক্তারের খোঁজ করেন। না পেয়ে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আমাদের সহযোগিতা করতে বলেন।

    শনিবার তাকে ফোন করে তার বাসা থেকে এনে তাকে ধরে নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের কাছে সোপর্দ করি।

    মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ভুয়া ডাক্তার শঙ্কর চন্দ্র দাস নামে একজনকে আটক করে রেখেছি। অভিযোগকারী পথে রয়েছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, আমার কাছে খুলনার চিকিৎসক সকল প্রকার তথ্য দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। পরে এগুলো যাচাই বাছাই করে তাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে তিনটি এন আইডি পাওয়া গেছে। এছাড়াও চার থেকে পাঁচটি সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে। চিকিৎসক সাধন কুমার মন্ডল আসছেন। তিনি এসে বাদী হয়ে মামলা দিবেন। আইন অনুযায়ী যা আছে সেই ব্যবস্থাই নেয়া হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে তাকে পেশাদার প্রতারক মনে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…