কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার মংডু শহরে দু'পক্ষের চলমান সংঘাতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। মিয়ানমার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যদের গোলাগুলির রোষানল থেকে নিজেদের জীবন বাঁচাতে আবারও মিয়ানমার নাফনদীর জলসীমা অতিক্রম করে এপারে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় অর্ধশতাধিক বিজিপি সদস্য।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৪ মে) ভোর রাত থেকে টেকনাফের নাফনদ সীমান্তবর্তী পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্যরা নিজের প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ এপারে অনুপ্রবেশ করার পর বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, সে দেশের চলমান সহিংসতা থেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে টেকনাফ সীমান্তে কিছু বিজিবি সদস্য প্রবেশ করেছে। তবে মোট সংখ্যা কত তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, টেকনাফে কর্মরত গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমারে দূ'পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের জের ধরে তার শনিবার ভোর রাত থেকে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পালিয়ে ৪০/৪৫ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি এপারে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে নিরস্ত্র করার পর বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এবিষয়ে টেকনাফ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির কোন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে, টেকনাফ পৌরসভা ও সাবরাং ইউপির নাফনদীর সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী কয়েকজন বাসিন্দা সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উক্ত এলাকার কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ জনের অধিক মিয়ানমার বিজিপি প্রকাশ (নাসাকা) এপার সীমান্তে অনুপ্রবেশে করেছে। তাদেরকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তারা।
তারা আরও জানান,টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে ১২ জন, সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন,নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২০ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৪ জনকে প্রবেশ করতে দেখেছে।
উল্লেখ্য-এর আগে দু-দফায় প্রান বাঁচাতে ওপার সীমান্ত থেকে এপার সীমান্তে পালিয়ে আসা মিয়ানমার বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
এমআর