কিশোরগঞ্জে আজো বৃষ্টি হয়েছে। সাথে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। প্রায় পাঁচ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টির সাথে তীব্র বাতাস বইছে। রবিবার ৫ মে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত বতাশের সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে স্বস্তি এলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কেনোনা শিলাবৃষ্টিতে শেষ মুহূর্তে ধানের ক্ষতি হলে বড় বিপর্যয় ঘটবে কৃষকের তাই এতো চিন্তা।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে রবিবার বিকেল থেকেই আবহাওয়া ছিলো মেঘলা। এছাড়াও সকাল থেকে মেঘলা ছিলো। দুপুরের দিকে আবারো উত্তপ্ত হয় তাপমাত্রা। আকাশে রোদের তাপ ছিলো৷
রাত ৭ টার পর থেকে আকাশ মেঘের আনাগোনা৷ সাথে মাঝে মধ্যে আকাশে গর্জন। এর পর মুশলধারায় বৃষ্টি নেমে আসে৷ তীব্র বাতাশে অনেক স্থানে গাছ উপরে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধা থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সচল হয়নি৷
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি পড়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে প্রশান্তি নেমে এসেছে। জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলায় শুরু হয় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। পরে শুরু হয় মাঝারি ও জোরেশোরে। থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টি প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তি।
সরজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে চলাচল করছে যানবাহন, অনেকেই স্বেচ্ছায় ভিজছেন বৃষ্টিতে। চোখে মুখে তাদের আনন্দের ছাপ। অপরদিকে বৃষ্টিরপর থেকে সামজিক মাধ্যমে স্বস্তির কথা জানিয়ে পোস্ট করেন নেটিজেনরা।
কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আর একসপ্তাহ দিনটা ভালো থাকলে ফসল নিয়ে আসতে পারতাম। একদিন ধান কাটছি আরেকদিকে মাড়াই করছি৷ শুকিয়ে ঘরে তোলার চেষ্টা করছি৷ আজকের শিলাবৃষ্টি ভয় তৈরি করেছে। জানিনা সামনে কি হয়৷
এফএস