এইমাত্র
  • ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্র মাহাদীর
  • একজন আদর্শ স্বামীর গুণাবলী
  • চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ
  • নতুন রেকর্ড গড়লেন ফারহান
  • বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে
  • পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
  • নরসিংদীতে পুকুরে মিলল নারীর মরদেহ
  • আর ভিডিও বানাবে না পাকিস্তানি খুদে ভ্লগার সিরাজ
  • কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশা চালকরা
  • গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    ভোটার ও প্রার্থীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনা

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৭:১০ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৭:১০ এএম

    ভোটার ও প্রার্থীদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনা

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৭:১০ এএম

    ভোট শরিয়তে গুরুত্বপূর্ণ এক আমানত। এ আমানত রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের উপর কর্তব্য। জাওয়াহিরুল ফিকহ কিতাবে মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ. এর ভোট বিষয়ে ফতোয়া পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক এ ফতোয়ায় তিনি ভোট বিষয়ক ইসলামের নির্দেশনা তুলে ধরেছেন। ভোট শরিয়তে গুরুত্বপূর্ণ এক আমানত। এ আমানত রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের উপর কর্তব্য।

    তিনি বলেন, যে প্রার্থীকে আপনি ভোট দিচ্ছেন শরিয়তের দৃষ্টিতে আপনি তার পক্ষে এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, এ ব্যক্তি ইলেম, আমল ও সততায় কাজটির যোগ্য এবং অন্যান্য প্রার্থীদের থেকে ভালো। শরিয়তের এ দৃষ্টিভঙ্গিটির প্রতি লক্ষ্য করলে নিচের ফলাফলগুলো উঠে আসে,

    ১। আপনার ভোট এবং সাক্ষ্যর মাধ্যমে যে নেতা সংসদে যাবেন তিনি তার এ দায়িত্বপ্রাপ্ত অবস্থায় যত ভালো বা মন্দ কাজ করবে তার দায়ভার আপনার ওপরও বর্তাবে।

    রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন করেন, আমি কি তোমাদেরকে উত্তম সাক্ষী দানকারীদের সম্পর্কে বলব না? যে তার সাক্ষ্য তার কাছে তলব করার পূর্বেই আদায় করে। (মুসলিম)

    ২। এ বিষয়টিও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, তার ব্যক্তিগত কাজকর্মেও যদি কোনো ভুল করে তাহলে তার প্রভাবও সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সওয়াব ও শাস্তিও সীমাবদ্ধ হয়ে যায়; কিন্তু তার জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় কাজের ক্ষেত্রে পুরো জাতি ও রাষ্ট্র প্রভাবিত হয়, তার সামান্য ত্রুটিও মাঝেমধ্যে পুরো জাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য এর সওয়াব ও শাস্তিও অনেক বড় হয়ে থাকে।

    ৩। সত্য সাক্ষ্য গোপন করা কুরআনের বক্তব্যমতে হারাম। তাই আপনার এলাকায় যদি কোনো সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সৎ প্রার্থী দাঁড়ায় তাহলে তাকে ভোট না দেয়া কবিরা গুনাহের কারণ হবে।

    ৪। যে প্রার্থী ইসলামি আদর্শ বিরোধী কোনো দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে তাকে ভোট দেয়া মিথ্যা সাক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে; যা কবিরা গুনাহ।

    ৫। টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করা খুবই জঘন্যরকমের সুদ এবং এটি টাকার বিনিময়ে ইসলাম ও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর।

    আরেকজনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে দিতে নিজের দীনকে কুরবানি করা; সেটা যত টাকার বিনিময়েই হোক বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যে অন্যের জীবন সাজিয়ে দিতে নিজের দীনকে বিক্রি করে দেয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩০০: ২)

    জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আল্লাহ ও রসুল সা. এ নির্দেশ

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আমানতসমূহ এর যোগ্য ব্যক্তিদের ওপর ন্যস্ত করার আদেশ দিচ্ছেন আর তোমরা যখন শাসনকাজ পরিচালনা কর, তোমরা মানুষের মাঝে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসন করবে। নিশ্চয় আল্লাহর উপদেশ কতই চমৎকার। (সুরা আন নিসা ৫৮)

    হযরত আবু ইয়ালা মাকিল ইবনে ইয়াসার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মহানবীকে সা. বলতে শুনেছি, আল্লাহ তার কোনো বান্দাকে প্রজাসাধারণের তত্ত্বাবধায়ক বানাবার পর সে যদি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে, তবে সে যেদিনই মরুক, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন। (বুখারি ও মুসলিম)

    জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক করে রাসুলপাক সা. বলেছেন, তোমরা সাবধান হও! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (বুখারি)

    ন্যায় নীতি নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে তার ব্যাপারে সুসংবাদও রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী সা. বলেছেন, নিশ্চয় সেসব ন্যায়বিচারক আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরে আসন গ্রহণ করবে, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে তাদের পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে এবং যে-সব দায়দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত করা হয় সে সব বিষয়ে সুবিচার করে। (মুসলিম)

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…