ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পতাকার আদলে বানানো ঘুড়ি আকাশে উড়িয়েছেন কয়েকজন যুবক। এসময় ঘুড়ির মাথার অংশের দুই পাশে লাগানো ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল বিনোদন পার্কের বাঁধে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
জানা গেছে, ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্তের ঘুড়িটি বানাতে সময় লেগেছে এক মাস। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক এই ঘুড়ি তৈরির উদ্যোগ নেন। ঘুড়িটি তৈরি করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছত্রপুর এলাকার শিক্ষার্থী লালন শাহ। তাকে সহায়তা করেন ফজলে রাব্বীসহ আরও ১৫ জন।
আয়োজকরা বলেন, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে। তারা নির্বিচারে হাজারো শিশু ও নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে জানতে পেরে এই ঘুড়ি বানিয়েছেন তারা। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন এই যুবকরা।
কুড়িগ্রামে ধরলার পাড়ে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল বিনোদন পার্কের পাশের বাঁধে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে আসা ফাহাদ আলম বলেন, ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ চলছে। এরই প্রতিবাদে কয়েকজন যুবক ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছেন। আমাদের এটা ভালো লেগেছে। প্রতিবাদের ভাষা তীব্র হলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
ঘুড়ির কারিগর লালন শাহ বলেন, আমরা প্রতিদিন গণমাধ্যমে শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি বানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় উড়ানো হচ্ছে।
ঘুড়ি বানানোর কাজে সহায়তাকারী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন, আমরা ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বেসামরিক মানুষের ওপর বর্বরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
এফএস