বন্যার কারণে গাইবান্ধার চার উপজেলার ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে, এর মধ্যে ৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত দুইদিন ধরে গাইবান্ধার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার চার উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত চার উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারদিকেই থৈ থৈ পানি। এরমধ্যে কিছু স্কুলের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে এবং কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে যেতে পারছে না। যার কারণে বন্যা কবলিত চার উপজেলার ৬৩ টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম

তিনি আরও জানান, ভাঙন ও বিলিনের হাত থেকে রক্ষায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুটি স্কুল স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই দুটি বিদ্যালয় নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার যে বিদ্যালয়গুলোতে এখনো পানি উঠেনি সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার নদ-নদীতে গত কয়েকদিন যাবত অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলসহ চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পিএম