উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নদ-নদী যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ০ সেন্টিমিটার পানি স্থীর হয়ে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়ন, পাররামরামপুর ইউনিয়ন ও চর আমখাওয়া ইউনিয়ন, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন, চিকাজানি ইউনিয়ন, চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নিম্ন অঞ্চল, চর অঞ্চল, উঁচু অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে এতে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। তবে দুশ্চিন্তায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা তাদের পরিক্ষার কেন্দ্রে পানি উঠেছে ফলে বিপাকে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড গেজ রিডার আঃ মান্নান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ০ সেন্টিমিটার পানি স্থির হয়ে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পানি স্থীর হতে পারে এবং পুনরায় পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম জানান, জীবনে কখনো দেখি নাই যে এত দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায় তা এ বছরে দেখলাম, চোখের পলকে পানি বৃদ্ধি
চিকাজানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আক্কাস সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি আমার ইউনিয়ন হুমকির মুখে কেন না আমার ইউনিয়নে একদিকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন, অন্যদিকে দেওয়ানগঞ্জ টু খোলাবাড়ি মেইন রাস্তা ভেঙ্গে ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষের জন্য প্রাণ সহায়তা অব্যাহত।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, এ বছরে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং আমাদের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে।
আজ (৬ জুলাই) দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় জামালপুর-১ আসনের সাংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ এমপি বন্যা কবলিত এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও সড়ক ভাঙ্গনগুলো পরিদর্শন করে বন্য কবলিতে ইউনিয়নগুলো বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন।
এইচএ