এইমাত্র
  • বাংলাদেশ ও উগান্ডার ভিসা ছাড় চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
  • লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে ১৭ বছর পর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
  • সবজির বাজারে অস্বস্তি, ডিমের ডজন কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
  • সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম মারা গেছে, শেষ শ্রদ্ধা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে
  • ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আইন উপদেষ্টা
  • হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের গুঞ্জন
  • মিয়ানমারে বিস্ফোরণে বসতঘরে ফাটল, আতঙ্কে টেকনাফের বাসিন্দারা
  • আমার সঙ্গে খেলার চেষ্টা করবেন না: সাকিব
  • ভিসা কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে যা জানাল ভারত
  • চার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের অনুমতি
  • আজ শুক্রবার, ৩ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    গ্যাস সংকটে ৬ মাস ধরে বন্ধ দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম

    গ্যাস সংকটে ৬ মাস ধরে বন্ধ দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৬ পিএম

    দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা যমুনায় গ্যাস সংকটে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ইউরিয়া উৎপাদন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে। আর কারখানার সঙ্গে জড়িত সহস্রাধিক শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এভাবে কারখানা বন্ধ থাকলে সামনে আমন মৌসুমে যমুনার সার নির্ভর এলাকাগুলোতে সারের সংকটের শঙ্কায় আছে কৃষকরা।

    কারখানার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সারকারখানা। বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল। কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়। সম্প্রতি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিআইসি। এজন্য সেখানে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে যমুনা সারকারখানায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশর কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানাটি সচল রাখতে না পারলে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে কারখানার কর্তৃপক্ষ।

    যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাংগাইল, রাজবাড়ি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘদিন সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটে হওয়ায় শঙ্কায় আছে সার ব্যবসায়ীরা।

    স্থানীয় কৃষকরা জানান, যমুনার সার জমিতে ব্যবহারে ফসল বৃদ্ধি পায়। গাছো সতেজ হয়। বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসল ভালো হয় না। জমির উর্বরতা কমে যায়। এভাবে দীর্ঘদিন যমুনা সার কারখানা বন্ধ থাকলে পূর্ব পুরুষের ব্যবহার করা এই সার সংকট হওয়ার আশংকায় স্থানীয় কৃষকরা।

    কারখানার শ্রমিকরা জানান, জীবনযাপন অনেক নিম্নমানে চলে গেছে। সেই সঙ্গে কারখানা বন্ধ থাকায় কারখানার যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারখানা বন্ধ থাকলে একসময় চিনি, পাট শিল্পের মতো এ শিল্পও বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা করছে কারখানার শ্রমিকরা।

    তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাংকলড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, ‘কারখানার সাথে জড়িত প্রায় ৩-৪ শতাধিক পরিবহন। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় এ পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবনযাপন থেকে উদ্ধার করবে এমনটাই দাবি পরিবহন মালিক এ নেতার।

    যমুনা সারকারখানার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন, ‘যমুনা সারকারখানা এক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে খরচ লাগে ১৮-২০ হাজার টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে এক টন সারের খরচ লাগে প্রায় এক লাখ টাকা। আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে দাড়িয়ে দেশীয় শিল্পকে সচল রাখা হলে দেশের রাজস্ব বাড়বে। এতে বাইরে থেকে সার আনতে সরকারের ভর্তুকি ভার বহন করতে হবে না। কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে বলে জানান এ শ্রমিক নেতা।

    যমুনা সার কারখানার উপ প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) ফজলুল হক জানান, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কারখানা বন্ধ,কারখানায় বড় ধরনের কোন ত্রুটি নেই,ছোট ছোট যা ছিল তা মেইনটেন্স করা হয়েছে আগেই। গ্যাস পেলে কারখানা চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…