এইমাত্র
  • মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
  • দুই সপ্তাহে ২৩ প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু
  • নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে নতুন অতিথি
  • নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে: ডা. তাহের
  • ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ লক্ষ্মীপুরের শিশু তামিম
  • আজ থেকে সারা দেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
  • মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না: মাহফুজ আলম
  • দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে চান ইবি শিক্ষার্থীরা
  • কটিয়াদীতে নিহতদের স্মরণে জামাতে ইসলামীর দোয়া মাহফিল
  • আজ রবিবার, ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    রাজনীতি

    মধ্যরাতে রহস্যজনক ঘটনার শিকার সোহেল তাজ, প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম

    মধ্যরাতে রহস্যজনক ঘটনার শিকার সোহেল তাজ, প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম

    সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম শীর্ষ নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজকে রহস্যময় ব্যক্তিরা গোপনে অনুসরণ করছেন। বুধবার রাতে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

    জানা যায়, ওই ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে আসে। এখানে এসে সোহেল তাজকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করে। পরে রহস্যজনকভাবে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে চলেও যায়।

    সোহেল তাজের ধারণা, ওই ব্যক্তি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের মতো বর্তমান সরকারের মেয়াদেও একই কায়দায় হয়রানি করা তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

    এ ঘটনায় সোহেল তাজ বেশ আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ। তিনি এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    তিনি রহস্যজনক ওই ঘটনাকে তুলে ধরে বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন। পোস্টের সঙ্গে তিনি গাড়ির ড্যাশক্যাম থেকে নেওয়া একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। ছবিতে গাড়ির জানালা দিয়ে একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে দেখা যাচ্ছে, যিনি গাড়িটির ঠিক পাশে বাইকটির উপর বসে আছেন।

    ফেসবুকে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোন উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।

    তার কথা বলার ধরণ এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এই ভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছি ছি।’

    সোহেল তাজকে এভাবে অনুসরণের বিষয়টি আসলেই রহস্যময় ও উদ্বেগজনক। স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্থপতি তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ পারিবারিকভাবেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মা জোহরা তাজউদ্দিন ছিলেন আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। সোহেল তাজ আওয়ামীলীগ থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে কিছুদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। রহস্যজনক কারণে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ তার মূল আদর্শের বাইরে পরিচালিত হওয়ায় তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেছেন বলে আভাস দিয়েছেন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। এমন কি সাবেক ডিবি প্রধান হারুন যখন আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে আটকে রেখেছিল, তখন তিনি হারুনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন।

    ঘটনা প্রবাহ থেকে স্পষ্ট সোহেল তাজ মোটেও কট্টর ও সুবিধাভোগী আওয়ামীলীগার ছিলেন না। তাই এই সরকারের মেয়াদে নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে গোয়েন্দারা যদি আওয়ামীলীগ নেতাদের অনুসরণ করেও থাকেন, তাতেও সোহেল তাজকে অনুসরণ করার কথা নয়।

    তবে কী গোয়েন্দাদের মধ্যে এখনো পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের কট্টর সদস্য আছেন, ছাত্রদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানানোয় সোহেল তাজের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সোহেল তাজকে অনুসরণ করতে চান।

    শুধু অনুসরণ নয়, ওই ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য যে অন্য কিছু ছিল, তা সোহেল তাজের পোস্ট থেকেই স্পষ্ট। কারণ অনুসরণকারী ব্যক্তি সোহেল তাজের গাড়ি থামিয়ে ফোনে অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই তথ্য জানিয়েছেন। সোহেল তাজের অবস্থান জানিয়ে তাদেরকে সেখানে আসতে বলেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আবার চলেও গেছেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কী তারা সোহেল তাজকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন? কিন্তু পরিবেশ অনুকূল না হওয়ায় পরিকল্পনা আজকের মতো বাদ দিয়েছেন। নাকি সোহেল তাজের গাড়িতে ড্যাশ ক্যাম থাকার বিষয়টি অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর সব কিছু রেকর্ড থেকে যাবার ভয়ে তারা বেশিদূর এগুনো নিরাপদ মনে করেননি?

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…