বরগুনার তালতলীতে জামাল নামের এক ইউপি সদস্যর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার প্রায় ৬ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নিয়ে এ হামলার কঠিন বিচার দাবি করেন।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লক্ষি পরিবহন নামের একটি স্টিলবডি (ট্রলার) স্থানীয় সোহাগ আকন, বেলাল ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন চুরি করে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে রেখে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে ইউপি সদস্য জামাল খান প্রশাসনকে জানালে স্টিলবডি ট্রলাটি তার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন।

পরে এই খবর পেয়ে তালতলী শহর থেকে স্বাস্থ্য সহকারী আবু কালাম, বিএনপি সর্মথক আল আমিন, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক বশির উদ্দিন, কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক নাঈম ইসলাম ও মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আনুমানিক শনিবার রাত ১১ টার দিকে ইউপি সদস্য জামাল খানকে ঘুম থেকে উঠায়। পরে ঐ ইউপি সদস্যকে চোরাই ট্রলারটি নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এসময় ইউপি সদস্য বাধা দিল আবু কালাম, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ তারা মারধর করে মাথা ফাটিয়ে ও বিবস্ত্র করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া,ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন,শাকিল খান ও জয়নালসহ সকল ইউপি সদস্যরা।

মানববন্ধনে ইউপি সদস্য শাকিল খান ও জসিম উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে সাংবাদিকরা যে এভাবে রাতের আধারে হামলার সাথে জড়িত হবে এটা আমরা আশা করি নাই। এই হামলাকারীদের কঠিন বিচারের দাবি করছি সরকারের কাছে। তারা আরও বলেন হামলাকারীদের কঠিন বিচার না হলে আমরা জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে পরবর্তীতে আরও আন্দোলন করবো।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি। তা না হলে জনপ্রতিনিধিদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত এই বিষয় নিয়ে সকল চেয়ারম্যানরা ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনায় বসব।

এআই