এইমাত্র
  • মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
  • দুই সপ্তাহে ২৩ প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু
  • নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে নতুন অতিথি
  • নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে: ডা. তাহের
  • ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ লক্ষ্মীপুরের শিশু তামিম
  • আজ থেকে সারা দেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
  • মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না: মাহফুজ আলম
  • দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে চান ইবি শিক্ষার্থীরা
  • কটিয়াদীতে নিহতদের স্মরণে জামাতে ইসলামীর দোয়া মাহফিল
  • আজ রবিবার, ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    জুনিয়র শিক্ষকের নামে বরাদ্দ নেওয়া কোয়াটারে থাকছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

    জুনিয়র শিক্ষকের নামে বরাদ্দ নেওয়া কোয়াটারে থাকছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জুনিয়র সহকারী শিক্ষকের নামে সরকারি কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে তাতে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বেআইনিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের নাম মোঃ নূরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভিতরে চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সাতটি সরকারি কোয়াটার রয়েছে। এর মধ্য পাঁচটি ফ্যামেলি কোয়াটার এবং দুইটি ব্যাচেলর কোয়াটার। এরমধ্যে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বসুন্ধরা ব্যাচেলর কোয়াটারে আট জন কর্মকর্তার নামে কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে সরকারি বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ হারে মাসিক কক্ষ ভাড়া দিতে হয়।

    অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মোত্তালেব হোসাইনের নামে একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয় যা সেই মাস থেকেই কার্যকর হয়। মাসিক কক্ষ ভাড়া হিসেবে তার সরকারি বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ তথা ৭২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে। বরাদ্দকৃত কক্ষ গত ১৫ মাস ধরে সহকারী শিক্ষক মোঃ মোত্তালেব হোসেনের পরিবর্তে বসবাস করে আসছেন নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম। বরাদ্দ নেয়ার সময় তিনি বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম সপ্তম গ্ৰেডে প্রতি মাসে ৫৪ হাজার ৭৭০ টাকা মূল বেতন এবং মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ তথা ১৯ হাজার ১৬৯ টাকা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পান। সেই হিসেবে তিনি যদি সরকারি কোয়াটারে থাকতে চান তাহলে প্রতিমাসে বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ তথা ১হাজার ৯১৬ টাকা প্রদান করতে হবে। অথচ তিনি ১৫ মাস ধরে সহকারী শিক্ষক মোঃ মোত্তালেব হোসাইনের জন্য নির্ধারিত বাড়ি ভাড়া ৭২০ টাকা করেই প্রদান করছেন। এতে করে গত ১৫ মাসে সরকারি কোষাগারে ১৭ হাজার ৯৪০ টাকা কম ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি কোয়াটার একজনের নামে বরাদ্দ নিয়ে আরেকজনের বসবাস করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

    এবিষয়ে সিট বরাদ্দ নেয়া সহকারী শিক্ষক মোঃ মোত্তালেব হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক আমার কাগজ নিয়ে কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিছেন। উনি আমাকে বলেন, উনার নামে নিলে টাকা পয়সা বেশি লাগবে আর আমার কাগজ দিয়ে নিলে টাকা কম লাগবে। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান যদি আমাকে বলেন তাহলে কী আমার না করার উপায় আছে? তাই আমি আমার কাগজ দিয়েছি।

    এদিকে জুনিয়র শিক্ষকের নামে সরকারি কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বেআইনিভাবে কেন থাকছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, এটা তো একজনের নামে বরাদ্দ থাকলেই থাকা যায়। পঞ্চগড়, সৈয়দপুর অনেক জায়গায় থাকে। আমি যখন উঠি ইউএনও স্যার এবং বিআরডিবি কর্মকর্তার কনসার্ণ নিয়েই উঠেছি।

    অভিযোগ রয়েছে, একজনের নামে কোয়াটার বরাদ্দ নিয়ে অন্যজন দীর্ঘদিন ধরে কম ভাড়া দিয়ে বসবাস করে আসলেও নেওয়া হয়নি কোনো ধরনের ব্যবস্থা।

    উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী মোঃ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, "একজনের নামে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে আরেকজন থাকছে এমন কোন তথ্য আমার জানা ছিলো না। যদি কেউ এভাবে থেকে থাকে তাহলে তাকে তার নামে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে থাকতে বলবো।

    এতদিন কম ভাড়া দেওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

    দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম বলেন, এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…