এইমাত্র
  • আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস
  • আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে হেক্সা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল
  • ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আটক
  • মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব
  • ১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ
  • ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪, আক্রান্ত ১২২৫
  • বিরামপুরে বেড়েছে ছিনতাই, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
  • জালিয়াতির অভিযোগ, নায়িকাকে সমন পাঠালো পুলিশ
  • নানান অনিয়মেই চলছে মানিকগঞ্জ শিশু হাসপাতাল!
  • 'পাপমুক্ত' ছবির নায়ক ও হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
  • আজ রবিবার, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৬ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বারবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ভাঙ্গুড়ার নুরুজ্জামান সবুজ

    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম

    বারবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ভাঙ্গুড়ার নুরুজ্জামান সবুজ

    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম

    শিক্ষা জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির ধারক ও বাহক। শিক্ষা কথাটি এলেই প্রথমে যে কথাটি আসে তা হলো শিক্ষক। শিক্ষক হলো শিক্ষার মূল, উৎস কিংবা প্রাণ।

    কেননা, শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত উৎকর্ষ নির্ভর করে শিক্ষকের মানবিক দিক, পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ওপর। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকগণই মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

    তেমনি এক মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মো. নুরুজ্জামান সবুজ। যিনি ১৯৭১ সালে ১৫ জানুয়ারি ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তোফাজ্জল হোসেন, মাতা নূরজাহান বেগম।

    শিক্ষাজীবনে মো. নুরুজ্জামান সবুজ ভাঙ্গুড়া উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। ১৯৮৭ সালে উপজেলার ময়দানদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    এরপর ১৯৮৯ সালে উপজেলার হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯১ সালে বিএ এবং পরবর্তীতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

    মানুষ গড়ার কারিগর নরম হৃদয়ের এ মানুষটিকে হয়তো আমরা অনেকেই চিনি শুধুই একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে। কিন্তু তার ভিতরে রয়েছে অন্য আরেক মানুষ! যা আমাদের অনেকের অজানা। মুক্ত চিন্তার অধিকারী এ মানুষটি একাধারে একজন কবি, গীতিকার, সংগঠক, সাংবাদিক ও আদর্শ শিক্ষক।

    বর্তমানে তিনি উপজেলার পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ৩১ বছর শিক্ষকতা জীবনে তিনি পাবনা জেলা পর্যায়ে একবার ও উপজেলা পর্যায়ে চারবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ গত মাসের ৪ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গুড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন।

    সাহিত্য জগতে নুরুজ্জামান সবুজের আনাগোনা সেই ছাত্রজীবন থেকেই। তার লেখা চলনবিল থেকে বলছি, পথের দিশা দেখালো যারা, মেঘে ঢাকা চাঁদ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া নিঃস্বর্গে নির্ঝর, শতকলি, মায়ের অহংকার, একমুঠো রোদ, চলনবিলের কবি ও কবিতা তার যৌথ কাব্য গ্রন্থ। তার সম্পাদিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৭টি।

    তার অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ আপোষহীন লড়াই, শুধু দুঃখ শুধু কান্না, এখনো উঠেনি সূর্য ও প্রেমকাব্য। তিনি বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কাজ করছেন। ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘দিগন্ত’ ও ষান্মাসিক ‘ঝর্ণা’ তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার, চলনবিল সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভাঙ্গুড়া কবি সংসদের সদস্য সচিব।

    আলোকিত এ মানুষটি উত্তর বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, বাংলাদেশ কবিতা ক্লাব, ঝর্ণা সাহিত্য পরিষদ, মুক্তি জনকল্যাণ সংঘ, নতুন সূর্য একাডেমী, পাবনা জেলা সাহিত্য পরিষদ ও চলনবিল সাহিত্য কুঠিরসহ নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।

    সাহিত্য জগতে তার বিশেষ অবদানের জন্য তিনি লাভ করেছেন বহু সম্মাননা ও পদক। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি ২০০৫ সালে উত্তর বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ও ২০১১ সালে সাপ্তাহিক ‘চলনবিলের আলো’ কর্তৃক সম্মাননা ও পদক লাভ করেন।

    চলনবিল সাহিত্য কুঠির থেকে ২০০৬ সালে, সাহিত্য সংস্কৃতি আড্ডা কেন্দ্র, বগুড়া ও কাব্য প্রকাশ শেরপুর বগুড়া থেকে ২০১৩ সালে গীতিকার হিসেবে তাক সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া দৈনিক ‘কলম সৈনিক’ সিরাজগঞ্জ তাকে আলোকিত মানুষ সম্মাননা প্রদান করেন।

    বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সময়ের কণ্ঠস্বরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মো. নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষককে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষিত ও উন্নত জাতি গঠনের অবিরাম প্রচেষ্টাটি অব্যাহত রাখতে হলে সব বৈষম্য রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…