বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং দেশ থেকে অভিবাসনের ব্যয় কমাতে সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১০ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো এর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা এ সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত লো ঢাকার প্রতি সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
এ সময় ডেরেক লো নিয়োগ প্রস্তাব দেন যে, বাংলাদেশ বৈদেশিক নিয়োগ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে পারে, যা শ্রমিকদের মানব পাচার এবং শোষণের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে।
তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈদেশিক নীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং উভয় দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়েও আলোচনা করেন।
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং জানান, বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) প্রস্তাব দিয়েছিল। এফটিএর একটি সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশ এখন আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্র নির্ধারণ করবে।
লো উল্লেখ করেন যে, সিঙ্গাপুর পানির পরিশোধন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে আগ্রহী। দুই দেশের খাদ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন তিনি।
বৈদেশিক নীতির বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, এ সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও বিস্তৃতভাবে যুক্ত হতে চায়। বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থন চাই।
এসএফ