গতকাল ছিল অভিনেতা যাহের আলভীর ১৪তম বিবাহবার্ষিকী। ২০১০ সালে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের দুই যুগেরও পরে এসে জানা গেল আলভীর বিয়ের ঘটনা। আর এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোহ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেতার সহধর্মিনী ইকরা।
নিজেদের বিয়ের গল্পটা বললেন এভাবেই, ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর। ভবিষ্যৎ কি হবে না জেনে দুইজন মিলে একটা পাগলামিই করলাম বলা চলে! চল বিয়ে করে ফেলি! করেই ফেললাম! যেদিন আমরা বিয়ে করি ওর(যাহের আলভী) পকেটে মনে হয় ২ হাজার টাকা ছিল,বন্ধুর থেকে ধার করে মিষ্টি কিনেছিলো!যাই হোক,এরপর তো শুরু হলো ঝড় ঝাপটা! এদিকে আমি বাবা মা এর একমাত্র মেয়ে আর ওদিকে সে অনেক কষ্টে বড় করা মায়ের বড় ছেলে! শুরু হলো আমাদের যুদ্ধ!লাল নীল সংসার সাজানোর যুদ্ধ। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো সেক্টর ছেড়ে সে শুরু করলো অভিনেতা হওয়ার স্ট্রাগল। আর আমি তখন পুরান ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৫ ঘন্টা জার্নি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাই!
ইকরা আরও লিখেন, কষ্ট হতো অনেক কিন্তু মাথায় চিন্তা গ্রাজুয়েশন শেষ তো করতেই হবে! ভালো চাকরি করতেই হবে! এর মধ্যে দুই পরিবারের মান অভিমান ভাঙা শুরু হলে আমরা ২০১৫ সাল থেকে লাল নীল সংসার একসাথে শুরু করি!আমি পার্ট টাইম জব তো করতামই আর সে কাজের পিছনে ছুটতো!এভাবেই দৌড়াতে দৌড়াতে একদিন রাস্তা খোলা শুরু হলো! আর আমাদের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো আস্তে আস্তে পুরণ হওয়া শুরু হলো ! পছন্দের দেশে বছরে ৫ বার যাওয়া থেকে শুরু করে,সন্তানের আগমন উপলক্ষে নিজেদের প্রথম গাড়ি,যেখানেই যেতে চেয়েছি কখনো না শুনি নাই ,দুইজনই আমরা পাগল! তাই আমাদের একসাথে পাগলামিটা জমে!
বিয়ের ১৪ বছরে উপলক্ষে ইকরা বললেন, ১৪ বছরের এই বৈবাহিক জীবনে সময়ের সাথে সাথে দুজন দুজনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু,সবচেয়ে প্রিয় ট্রাভেল পার্টনার,বাবা-মা কতগুলো বিশেষণ পেয়েছি! দূর থেকে দেখলে যাদের মনে হয় চাহিবা মাত্রই জীবন আমাদের দিয়েছে!না ভাই! চাহিবা মাত্রই যে জিনিস পেয়ে যাবেন তার মূল্য অনুধাবন করা সহজ না!
জাহের আলভী এখন ব্যস্ত অভিনেতা। তার সেই সংগ্রামী জীবনের সঙ্গে বর্তমানের জীবন এখনো মেলানো ভার।