সব আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহরে এসব হামলা চালানো হয়।
গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব।
ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।
ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই শহরে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সম্প্রতি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে বলেছেন, আমাদের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।