টানা ৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তীব্র তাপমাত্রা বইছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ বিভাগ থেকে জেলায় হিট এলাট জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত তীব্র তাপদাহ তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ লোডসেডিং।
গত ১৬ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গা ও সর্বশেষ আজ ১৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্র বেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তা বেড়ে দাড়ায় ৪০ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে বেলা ৩ টায় দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা জুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।
পিএম