সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পাচারের সময় বেলতৈল ইউনিয়নের জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত নসিমন বোঝাই ২৪ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে জনতা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি বাজার থেকে চাল বোঝাই নসিমনটি পাবনার বেড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শ্রীফলতলা এলাকায় পৌঁছালে এলাকাবাসী নসিমনটি আটক করে।
এসময় নসিমন চালক জানায়, চালের বস্তা গুলো বেতকান্দি বাজার থেকে আনন্দ ঘোষ পাবনার বেড়ায় একটি চালের মিলে তার মাধ্যমে পাঠাচ্ছিলেন। তিনি আরও জানান এর আগেও বেশ কয়েক দফা আনন্দ ঘোষের চাল পরিবহন করে উক্ত চালের মিলে পৌঁছে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি এই চাউল বেলতৈল ইউনিয়নের জনগণের মাঝে বরাদ্দের কথা থাকলেও বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের জন্য চালগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে এই চাউল পাচারের সময় আমরা জানতে পেরে রাস্তা থেকে ২৪ বস্তা চাউল সহ নসিমন আটক করি।
এসময় সরকারি চাউল ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিজিএফ ও ন্যায্য মূল্যের চাউল তিনি ক্রয় করেছেন। যে সকল মানুষ এই চাউল নেন তারাই আবার বিক্রি করেন।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাল সরেজমিনে দেখে তিনি বলেন, এগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনগণের জন্য দেয়া ঈদ উপহারের ভিজিএফ'র চাল। বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক এগুলো জনগণের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শাহজাদপুর থানায় খবর দেয়া হলে অফিসার ইনচার্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করতে বলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদকে জানানো হয়। দীর্ঘ সময়েও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে চাউল ব্যাবসায়ীরা ২৪ বস্তা চাউল সহ নসিমনটি নিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে বেলতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে জানান, আমার ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। আনন্দ ঘোষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাল কিনে ব্যবসা করে আসছিল জানতে পেরে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তাকে আমার ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছি।
পিএম