গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তিব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
এরই মাঝে আজ শনিবার জেলার দামুড়হুদায় হিটস্টোকে জাকির হোসেন নামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরি মারাগেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এসময় কাজ করা অন্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সে মারাযায়।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার দর্শনা থানার সীমন্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। এবং বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা চিল ১৮ শতাংশ।
নিহত জাকির হোসেনের পিতা আমির হোসেন জানান, রোদ গরমে মাঠের ধান মরার অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ (পানি) দেওয়ার জন্য জাতির সকাল ৭টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাওয়ার ঘন্টা খানের পর খবর পাই ছেলে মাঠে স্টোক করেছে। মাঠেক অন্য কৃষকরা ছেলেকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সে মারাযায়।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার মোবাইরে কল দিলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি এ বিষযে আমি কিছু জানিনা।