সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কারণে বেশ আলোচিত মুখ গায়িকা বর্ষা চৌধুরী। তবে তার আরও পরিচয় আছে, তিনি একাধারে উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার। কিন্তু সে আরও এক কারণে গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত আর তা হল তার জীবনের নানা চড়াই-উতরাই। যে কারণে অনেক দর্শক এমনও মন্তব্য করেন, বর্ষা চৌধুরীর জীবনের নানা চড়াই-উতরাই হার মানায় যে কোন সিনেমার গল্পকেও।
বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন বর্ষা চৌধুরী। তাঁদের দুই সন্তান জারা ও জায়ান। এর মধ্যে এক সন্তানের বয়স তখন সবে মাত্র দেড় মাস। অন্যদিকে বর্ষার সঙ্গে রুমিরও দ্বিতীয় সংসার এটি। ২০২০ সালের ৩ মার্চ সংগীতশিল্পী বর্ষা চৌধুরীকে বিয়ে করেন রুমি রহমান। এর আগে অভিনয়শিল্পী তাজিন আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রুমির। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছিল রুমির। অর্থহীন, লেজেন্ড, দলছুট, সময়, দ্য ট্র্যাপ, আর্কসহ আরও অনেক ব্যান্ডে ড্রাম বাজিয়েছেন।
দ্বিতীয় স্বামীকে হারানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন বর্ষা। কিন্তু হঠাৎই কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেন বিয়ের ইঙ্গিত। আমি প্রেমে বিশ্বাসী নই, বিয়েতে বিশ্বাসী’, সম্প্রতি একথা জানিয়েছিলেন বর্ষা চৌধুরী। তারপরই সবাইকে চমকে দিয়ে শুক্রবার বিয়েটা সেরে নিলেন গায়িকা-অভিনেত্রী তথা উদ্যোক্তা বর্ষা। গায়িকার এটা তিন নম্বর বিয়ে যদিও অনেকের দাবি, এটা বর্ষার চার নম্বর বিয়ে। পাত্র ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ ‘ভাইয়ারে’ সিনেমা খ্যাত নায়ক রাসেল মিয়া। ১০ লক্ষ ১ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়েছে বর্ষার।
জানা গেছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অভিনেত্রী রত্না কবিরের পক্ষে কাজ করেন বর্ষার বর্তমান স্বামী চিত্রনায়ক রাসেল মিয়া। ‘ভাইয়ারে’ নামের একটি সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসেন, এমনকি সিনেমার বিতর্কিত প্রচার চালিয়ে ভাইরালও হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের দিন এফডিসিতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বর্ষাও। তখনই তাঁদের আলাপ। অবশেষে সেই আলাপ থেকে প্রেম এবং শুক্রবার বিয়ে। তাঁদের বিয়ে হয়েছে অভিনেত্রী রত্না কবিরের বাসায়। বিয়ের লাইভ ভিডিয়ো সোশ্যালে পোস্ট করেন বর্ষা, যা রীতিমতো ভাইরাল। এছাড়াও বিয়েতে হাজির ছিলেন অভিনেতা ডি এ তায়েব ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
এবি