এইমাত্র
  • আতশবা‌জি ফোটাতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
  • সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
  • সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • লন্ডনের কিংসমেডাও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
  • ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রায় ১৬ বছর পর ঈদযাত্রায় স্বস্তি
  • চীনের বিনিয়োগে দেশে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল
  • আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
  • শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন
  • ২ হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিল তালেবান সরকার
  • আজ সোমবার, ১৬ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩১ মার্চ, ২০২৫

    গণমাধ্যম

    সাংবাদিকদের নবম গ্রেডে বেতন ও যোগ্যতা নির্ধারণের প্রস্তাব
    সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ও যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ জানান, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে বিসিএস ক্যাডারদের নবম গ্রেডের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের প্রারম্ভিক বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এটি না দেওয়ার ফলে অনেকে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে। তবে বেতন-ভাতার ওয়েজবোর্ডে আমাদের এখতিয়ার না থাকলেও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। ন্যূনতম নবম গ্রেড অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের বেতন হতে হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ঢাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, বিসিএস ক্যাডারদের এন্ট্রি ৯ম গ্রেডের যে বেতন, সাংবাদিকতা শুরুর বেতন তার সঙ্গে মিল রেখে যেন করা হয় প্রতিবেদনে সেই সুপারিশ করা হয়েছে।কামাল আহমেদ বলেন, এটা সারা দেশেই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকায় এর পাশাপাশি ‘ঢাকা ভাতা’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সাংবাদিকতা করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক পাসের যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমে ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিক’ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশ হিসেবে এক বছর কাজ করতে হবে। এরপর প্রমোশন পাবে। সাংবাদিকতার যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশের জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন সাংবাদিকদের ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিক’ হিসেবে এক বছর কাজ করার পর নিয়মিত পদে উন্নীত হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।এছাড়াও কমিশন প্রধান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন তৈরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেই আইনের খসড়াও তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সরকারের হিসাবে ৬০০ পত্রিকা রয়েছে যারা সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, কিন্তু বাস্তবে প্রকাশিত বিক্রিত পত্রিকার সংখ্যা মাত্র ৫২টি। প্রতারণা করে সরকারি বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে। রাজনৈতিক পরিচয় ও অন্ধকারে রেখেই গণমাধ্যমের মালিকানা দেওয়া হয়েছে। সব কয়টি টেলিভিশনের আবেদনে দেখা গেছে জনস্বার্থ কোনোটিতেই ছিল না। সবগুলোই রাজনৈতিক পরিচয়ে দেওয়া হয়েছে।এর বাইরে একটি প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবেন এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান।এছাড়া ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা তৈরি করতে হবে। এই সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। এর বাইরে অনলাইন পোর্টালের জন্য ৭ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন।এবি 
    ঈদুল ফিতরে সংবাদপত্রে ৩ দিন ছুটি
    আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সংবাদপত্র ৩ দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।বুধবার (৩ মার্চ) নোয়াব সভাপতি একে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৩১ মার্চ থেকে ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো পত্রিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে এই ছুটি ২ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হবে। সে ক্ষেত্রে ৩ এপ্রিল কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না।এমআর-২
    ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
    দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরে পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (প্রকাশনা ও ছাপাখানা শাখা) নুসরাত নওশীন এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে সরকার।অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না। কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লেয়ারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।এবি 
    সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজারের নিচে নামলে পত্রিকা বন্ধ: প্রেস সচিব
    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। মিনিমাম যাতে একটা ফ্লোর থাকে। দেশের সব সাংবাদিকের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ হাজার অথবা ৪০ হাজার-ই হোক। এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার আমলে কোনো মিডিয়া ফ্রিডম ছিল না। আপনাদের (উপস্থিত সাংবাদিক) হাত দিয়েই এই হাসিনাকে আমরা পুশ ব্যাক করেছি। বাংলাদেশে অকুতোভয় সাংবাদিক থাকলে সেটা হলো মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক এবং ফটো সাংবাদিক। এই আন্দোলনে তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, আমাদের খারাপ জার্নালিজম করার দরকার নেই। যারা খেটে সাংবাদিকতা করবেন তাদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির রাইট দিতে হবে। এবং তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের একটা বেসিক অনুযায়ী বেতন দিতে হবে।তিনি বলেন, জার্নালিজম বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা ব্লাড স্যাকিং ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের রক্ত কীভাবে চুষে খাওয়া যায় সেটা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাকরি করলে বেতন দেয় না। সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য নতুন করে একটা মুভমেন্ট করা উচিত।এসময় আলোচনা সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, ঢাকা ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমসহ আরও অনেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    আমাকে ফাঁসানোর জন্য এক হত্যা মামলাই তো যথেষ্ট: আদালতে রুপা
    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এ সময় ফারজানা রুপা বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য এক হত্যা মামলাই তো যথেষ্ট।’যাত্রাবাড়ী থানার দুটি হত্যা মামলায় শুনানির জন্য সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।শুনানির এক পর্যায়ে ফারজানা রুপা আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান। আদালতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার পক্ষে কথা বলার জন্য আইনজীবী নেই। আমি কি আমার জামিনের পক্ষে কথা বলতে পারব?এ সময় বিচারক বলেন, ‘এখানে শ্যোন অ্যারেস্টের গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হচ্ছে, জামিনের শুনানি হচ্ছে না।’এরপর ফারজানা রুপা বলেন, ‘মামলা তো ডজনখানেক গড়াচ্ছে। আমি একজন সাংবাদিক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটা হত্যা মামলাই যথেষ্ট।’পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। এ সময় কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় শাকিল ও ফারজানা একে অপরের সঙ্গে আলাপ করেন।গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাদের আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পর্যায়ক্রমে তাদের গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দফায় দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়।এবি 
    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে জুলকারনাইন সায়েরের ১০ পরামর্শ
    রাজধানীতে সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই ও ডাকাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাতেও রাজধানীর একাধিক স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার কাছ থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্খায় প্রায় ভঙ্গুর।রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে আরো কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। পরামর্শগুলো মূলত দিয়েছিলেন গত ৩১ জানুয়ারি। তবে সেগুলোর কোনটাই অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমলে নেননি বলে আভিযোগ সায়েরের।গত রাতে সেই পরামর্শগুলো আবারো শেয়ার করেছেন তিনি।পোস্টে তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কিছু পরামর্শ :১. রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় এবং দেশের সব বিভাগীয় সদরে আনসার/পুলিশ/RAB/বিজিবি/সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠন করুন। প্রতি সপ্তাহে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আপডেট জানান।২. নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন।থানার ওসিসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে কর্মকর্তার যোগ্যতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সততাকে প্রাধান্য দিন, প্রয়োজনে এনএসআইয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করুন। কোনো দল বা গোষ্ঠীর সুপারিশ নয়।৩. আওয়ামী লীগ সমর্থক বা সংশ্লিষ্ট হলেই কাউকে গ্রেপ্তার, হয়রানি বা মিথ্যা মামলায় জড়ানো থেকে বিরত থাকুন। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসস্থান এবং পরিবারের সদস্যের যদি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকে, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।৪. গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং স্থাপনায় টহলের মাত্রা বৃদ্ধি করুন।রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।৫. অতিউৎসাহী ব্যক্তি-গোষ্ঠীর তৎপরতা বন্ধ করুন।৬. নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত সকল সদস্য যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে পারে তা নিশ্চিত করুন। তাদের খাবারের মানোন্নয়ন করুন, ব্যারাক/লাইনে যেন একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেন সেটার ব্যবস্থা করুন।৭. দেশের সকল ট্র্যাফিক পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি করুন। তাদের রেইনকোট, ছাতাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করুন। থানায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সঠিকভাবে প্রশাসনিক কাজের পরিবেশ ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করুন।৮. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধান মাসে অন্তত ৭ দিন যেন দেশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন সেটা নিশ্চিত করুন। তাদের পরিদর্শন যেন কেবল দরবার বা মিটিংয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গে ইন্টারেকশনমূলক হয় সেটার ব্যবস্থা করুন।৯. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ যারা নিয়োজিত তাদেরও পরিবার রয়েছে। তারা যেন পরিবারের সময় ন্যূনতম সময় কাটাতে পারেন সে ব্যবস্থা করুন।১০. দেশের সকল জেলে কারারক্ষীদের কাজে সহায়তায় এপিবিএন মোতায়েন করুন। কারাগারে মাদকসহ নিষিদ্ধসামগ্রীর ব্যবসা বন্ধ করুন। বিনাবিচারে আটকদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে চিহ্নিত অপরাধীরা যেন ফায়েদা লুটতে না পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন। কারা-বন্দিদের খাবারের মানোন্নয়ন করুন।’এমআর-২
    সাংবাদিক দম্পতি শাকিল ও ফারজানা ৫ দিনের রিমান্ডে
    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিরপুরের গোল চত্বর এলাকায় আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন সাংবাদিক দম্পতিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নাসির উদ্দিন সরকার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। পরে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ মঞ্জুর করেন।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট মিরপুর গোল চত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।এবি 
    সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
    সাভারের আশুলিয়ায় সময়ের কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধিসহ দুজনের ওপর হামলার ঘটনায় সোহেল রানাকে (৪২) প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আজ শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা (নম্বর- ১৮) করেন ভুক্তভোগী।সোহেল রানা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সিদ্দিক (৪৫), আল মামুন খান (৪৮), মো. ফয়জুল ইসলাম (৪০), মো. ইমদাদুল হক (৪০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সাগর (৪২)। তারা সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার এলাকার বাসিন্দা। এরমধ্যে সোহেল রানা দৈনিক বণিক বার্তার প্রতিবেদক। তিনি একাধিক মামলার আসামি।হামলায় আহতরা হলেন- শামীম হাসান সীমান্ত (৩০) ও আমিনুল ইসলাম (৪০)। এরমধ্যে শামীম হাসান সীমান্ত বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভি ও সময়ের কন্ঠস্বরের আশুলিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। আর আমিনুল ইসলাম সাভারের আশুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে আহত সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাবিতে যান। জাবির ভেতরে প্রবেশ করার সময় সেখানে উপস্থিত থাকা সোহেল রানা তাকে কথা আছে বলে ডাকেন। তিনি কাজ শেষে দেখা করার কথা জানালে তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীকে রেখে যেতে বলেন অভিযুক্ত সোহেল রানা। বিষয়টি না মানলে প্রথমে সঙ্গী ওই ব্যক্তিকে ও পরে শামীমকেও বেধড়ক মারধর করতে থাকেন অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা। এতে তাদের শরীরে নিলাফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়। অভিযুক্ত সোহেল রানার হাতের লাঠির আঘাতে আমিনুল ইসলামের মাথা রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে আহত দুজনকে টানতে টানতে পাশেই তাদের টর্চারসেলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেও তাদের মারধর করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।আহত সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত বলেন, 'পেশাগত কারণে আমি জাবিতে যাই। আমার সঙ্গে একজন অতিথি ছিলেন। ওই সময় সোহেল রানা আমাকে ডাকেন। আমি তাকে বলি কাজ শেষ করে এসে দেখা করছি। তখন সে বলে তোর গেস্টকে রেখে যা। তখনই বলে, তুই নাম। ওরে রেখে যা। তখন আমার গেস্ট সোহেল রানাকে বলে, আমাদের যেতে দেন, আর আমাকে রাখবে কেনো? আমাদের ছেড়ে দেন। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দুইটা থাপ্পড় দেয় ও একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। এ সময় আমাকেও সোহেল রানা, সিদ্দিক, ফয়জুল, আল মামুন খান, সিদ্দিক, ইমদাদসহ কয়েকজন আমাকেও মারধর করে। এরপর আমাদের জাবি মার্কেটে তাদের অফিসে নিয়ে সেখানেও প্রায় ২ ঘণ্টা মারধর করে। এসময় সোহেল রানা বিভিন্ন জিনিস দিয়েও আমার শরীরে আঘাত করে। একদম বিনা কারণে তারা আমার ওপর এই হামলা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘দুইজনকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী শামীম হাসান সীমান্ত বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এফএস
    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙচুরের খবর
    রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাস্তায় বেরিয়ে আসেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তারা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর এবং ধানমণ্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেন। বিবিসিযুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়িতে প্রতিবাদকারীদের আগুন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবাদকারীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়ি এবং তার দলের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ভারত থেকে হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছর ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিতাড়িত হন। ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ২০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন। তাকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি সরকারে থাকাকালে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতা হরণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।রয়টার্সব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়িতে আগুন দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। কারণ তার মেয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে তার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী লাঠি, হাতুড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ঐতিহাসিক ওই বাড়ি ও স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে জড়ো হন। ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য খননযন্ত্র ও এসকেভেটর নিয়ে আসা হয়।এএফপি‘বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের হাসিনার বাবার বাড়ি ভাঙার চেষ্টা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশি আন্দোলনকারীরা এসকেভেটর নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বাবার বাড়ির সামনে অবস্থান করছে। তারা ভবনটি ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে। হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করল বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তার পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করল হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। বাড়িটি একসময় দেশটির স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু এখন আন্দোলনকারীরা মনে করছে, বাড়িটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের প্রতিচ্ছবি। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার সূত্রপাত ঘটে।সিএনএনমার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের ওয়েবসাইটে ‘নির্বাসিত সাবেক নেতা শেখ হাসিনার পরিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে বাংলাদেশের প্রতিবাদকারীরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেও। তারা বার্তা সংস্থা এপি থেকে হুবহু প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আনাদুলু এজেন্সি (এএ)তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো ‘বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত থেকে সরাসরি ভাষণের বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ’। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ভাষণ দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়, যা জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ এ জাদুঘরটি শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক স্থাপনা ছিল।দ্য গার্ডিয়ানব্রিটিশ প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানও এ ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের খবরের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের বাড়ি ও একসময়ের স্বাধীনতার প্রতীক ধ্বংস করল আন্দোলনকারীরা’। এপির বরাতে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
    হামলায় আহত সাংবাদিক জাভেদের সঙ্গে কথা বললেন তারেক রহমান
    সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে আহত এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাভেদ আক্তারের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বুধবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জাভেদকে দেখতে আসেন।তারেক রহমান এ সময় মুঠোফোনে আহত জাভেদ আক্তারের সঙ্গে কথা বলে তার শারীরিক অবস্থা এবং পরিবারের খোঁজ নেন। তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ শোনেন। ওই হামলায় বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তারেক রহমান। একই সঙ্গে আহত জাভেদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ছিল অমানবিক ও পক্ষপাতদুষ্টডা. রফিকুল ইসলাম আহত সাংবাদিকের সুষ্ঠু চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।সাংবাদিক জাভেদ আক্তারকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
    শেখ রেহানার লন্ডনের ছবি প্রকাশ করলেন জুলকারনাইন সায়ের
    সাংবাদিক ও গবেষক জুলকারনাইন সায়ের আজ (৩ জানুয়ারি) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ রেহানার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। শেখ রেহানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন।ছবিতে দেখা যায়, শেখ রেহানা লন্ডনে একটি সোফায় বসে হাতে কাপ ধরে হাসিমুখে রয়েছেন। পোস্টের ক্যাপশনে জুলকারনাইন সায়ের লেখেন, "এ যেন পিশাচের হাসি।"ছবির বিবরণে তিনি উল্লেখ করেন:ছবি: শেখ রেহানাস্থান: লন্ডনসময়: ডিসেম্বর ২০২৪এফএস
    ৩৩ বছরের পুরোনো ভোরের কাগজ পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা
    নব্বই দশকের শুরুর দিকে চালু হওয়া সংবাদ মাধ্যম দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়।নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।গত কয়েকদিন ধরেই ভোরের কাগজে কিছু সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোরের কাগজের মালিকপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে।ভোরের কাগজের একাধিক সংবাদকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে আগে থেকে আমাদের কিছু জানানো হয় নি। হুট করেই জানলাম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে মালিক। প্রধান কার্যালয় বন্ধ হওয়া মানেই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়া।তারা আরও জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কারও বেতন বকেয়া নেই। তবে সংবাদকর্মীদের একটি অংশ অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে বেতন পান। কিন্তু যাদের কনস্যুলেটেড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওয়েজবোর্ড দাবি করছেন। এটি নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরের কাগজের কয়েকজন সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। গতকাল রোববার সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মালিকপক্ষ নোটিশটি জারি করে।এবি 
    আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব
    নতুন করে আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এই সাংবাদিকদের পাশাপাশি তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।তলব করা সাংবাদিকরা হলেন- এপির ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ঢাকা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক (সাবেক প্রেস মিনিস্টার) নাদিম কাদির, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ, ডেইলি পিপলস লাইফের (সাবেক বাসস) সম্পাদক মো. আজিজুল হক ভুঁইয়া, বাসসের স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডি‌বিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিদা সাদেক জেসি, চ্যানেল আই’র সিনিয়র রিপোর্টার নিলাদ্রি শেখর কুন্ডু, বাংলা টিভির (দেশ টিভি) নজরুল কবীর, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, গ্রিন টিভির সাজু রহমান,  বাংলাভিশনের (সাবেক) আমিনুর রশীদ। ‌বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।এমআর
    গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে: প্রেস সচিব
    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য প্রথমেই আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেনি। আমরা গণমাধ্যমের সেই ধরনের নিখুঁত পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, যেখানে ভয় ছাড়াই যে কোন ব্যক্তি স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারেন।রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অক্সফাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আশিষ দে এবং কি নোট প্রেজেন্ট করেন মুস্তাকিম বিল্লাহ। এছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- চ্যানেল ২৪ এর সিইও তালাত মামুন, পিআইবির পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ ও শামীম আরা শিউলি প্রমুখ।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই সময়টিই প্রশ্ন তোলার উপযুক্ত সময়। এখন আপনারা বলতে পারেন, প্রশ্ন করার জন্য কি আমাদের সঠিক পরিবেশ আছে? গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে? আমি আপনাদের সরকারের পক্ষ থেকে বলতে পারি, সবার অধিকার রয়েছে। আমরা গত পাঁচ মাস ধরে বারবার বলছি যে, প্রশ্ন করার এটিই সর্বোত্তম সময়। শক্তিশালী ব্যক্তি ও লবিদের জবাবদিহিতার এটিই সর্বোত্তম সময়।গত পাঁচ মাসে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকার কোনো নিরাপত্তা সংস্থা ব্যবহার করেনি বা কোনো দমনমূলক আইন ব্যবহার করেনি উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, আপনাদের যদি কোনো কঠিন অভিযোগ থাকে, তাহলে আমাদের জানান। আমরা সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব।গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব স্বাধীনতা রয়েছে মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, আপনারা যে কোনো সমালোচনা করতে পারেন। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকেও সমালোচনা করতে পারেন, উপদেষ্টাদের প্যানেলেরও সমালোচনা করতে পারেন। আপনারা সবার সমালোচনা করতে পারেন। সুতরাং আপনাদের স্বাধীনতা রয়েছে।এবি 
    মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক
    সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। বৃহস্পতিবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর' নামে একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক। আর কবির হোসেন তাপস এমএস প্রমোশনাল নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্বত্ত্বাধিকারী। দুদক সূত্র জানায়, মুন্নী সাহার নিজ নামের ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। টাকা উত্তোলনের পর বর্তমানে স্থিতি রয়েছে ১৪ কোটি টাকা। এছাড়া তার নামে-বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। মুন্নী সাহার স্বামীর নামেও অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ভাস্কর্য-ম্যুরালে সরকারি অর্থ অপচয় ও তছরুপ করার অভিযোগটি বৃহস্পতিবার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। শিগগির অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হবে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপ, অতিরিক্ত বিল দেওয়া, গভীর নলকূপের দুই-তৃতীয়াংশ বিকল ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এফএস
    Loading…