মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শাহাদাত নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে গুয়াগাছিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী পিয়াস বাহিনীর বিরুদ্ধে।
আহত শাহাদাত হোসেন সৈয়াল (৩৮) উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ সৈয়ালের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে দশটায় তার স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।
আহত শাহাদাত হোসেন জানান, সন্ধায় আমি বাড়িতে বসা ছিলাম। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফিল্ম স্টাইলে মাহমুদ আলীর ছেলে পিয়াস, ওদুদ, তোফায়েল হোসেনের ছেলে শ্রাবণ, খালেক মিয়ার ছেলে জামানসহ ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ দল আমাকে তুলে নিয়ে টলার দিয়ে পার্শ্ববর্তী মতলব উপজেলার বেলতলী এলাকায় নিয়ে যায়, সেখানে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ওদুদ পিস্তল ঠেকিয়ে আমার ছোট ভাই উজ্জ্বলকে তাদের হাতে তুলে দিতে এবং তাদেরকে চল্লিশ লক্ষ টাকা দিতে হবে নতুবা তোকে মেরে ফেলবো বলে। রিপন দুটি পিস্তল ঠেকিয়ে বলে আমি ডাকাতি করতে এসেছি আমার সাথে লিটন, গোলজার, উজ্জ্বল তিন জনের নাম বলতে বলে এবং এগুলো ভিডিও করে রিপন সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর রাখে ।
এবিষয়ে থানায় মামলা করলে তোকেসহ তোর ছেলে মেয়েকে মেরে ফেলবো। পরে হারুনের কাছে আমাকে তুলে দেয়। খবর পেয়ে মনির, তাজুল, রেনু মিয়া আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শাহাদাতের মা ও ছোট মেয়ে বলেন, শাহাদাতকে জোর করে তুলে নেয়ার সময় তাদেরে পায়ে ধরে বহুত কান্নাকাটি করেছি। তারা আমার ছেলের হাত পা ভেঙ্গে ফেলেছে।
গজারিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক জানান, রাত সাড়ে দশটায় একজন রুগী আসে ডান পায়ের গোড়ালিতে এবং বাম হাতে মারাত্মক ফ্যাকছার হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।
আরইউ