এইমাত্র
  • ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম
  • শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ার আহ্বান খামেনির
  • সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • কুমিল্লায় সমন্বয়কের করা মামলায় আসামি মৃত ২ আ.লীগ নেতা!
  • ভালুকায় মায়ের হাতে মেয়ে খুন, মা গ্রেপ্তার
  • শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘ মহাসচিব
  • প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • মুসলিম বিশ্বের সবার শত্রু একই: জুমার খুতবায় খামেনেয়ি
  • সাধন চন্দ্র মজুমদার ৭ দিনের রিমান্ডে
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক
  • আজ শনিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    পানির তোড়ে সর্বশান্ত আব্দুর রশিদ

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫ এএম
    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫ এএম

    পানির তোড়ে সর্বশান্ত আব্দুর রশিদ

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫ এএম
    আব্দুর রশিদ

    কুড়িগ্রামের উলিপুরে কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহারি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দূর্গম চরাঞ্চলে পানির তোড়ে বাড়ীঘর দেবে গেছে আব্দুর রশিদের। নষ্ট হয়েছে খাদ্য শস্য। সব হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন সর্বশান্ত আব্দুর রশিদ। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সহায় সম্বলহারা দিন মজুর আব্দুর রশিদ (৪৪)।

    আব্দুর রশিদের বাড়ী ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের চর এলাকায়। গত তিন চার দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানির তোড়ে ০৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্যোগ ঝূঁকি হ্রাসকরণ প্রকল্পের বসতভিটা উচুকরণের সংযোগ সড়ক ভেঙে আব্দুর রশিদের দুইটি টিনের ঘর, গোয়াল ঘর ও একটি ছনের রান্না ঘরসহ বসতবাড়ীটি সম্পূর্ণ দেবে যায়।

    সরেজমিনে ফকিরের চরে গিয়ে দেখা গেছে, পানির তীব্র স্রোতে আব্দুর রশিদের ঘরবাড়ী দেবে গেছে। স্থানীয় ও স্বজনদেন সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে কয়েকটি টিন, বাঁশ, কাঠ ও একটি কাঠের খাট ছাড়া কিছুই উদ্ধার সম্ভব হয়নি। সব সময় চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে রশিদের। শক্তি হারিয়ে নৌকার উপর দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে এসব দৃশ্য।

    আব্দুর রশিদ জানান, এ পর্যন্ত চার বার নদীতে বাড়ী ভাঙছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে নিঃশ্ব হয়া গেছি। সকালে দেহি (দেখি) পানি বাড়তি (বাড়ছে) ভাই ব্রাদারেক কইলাম (বললাম) ফোন করো নৌকা আইসুক এরি মধ্যে আমার ঘর দুইডা হেইল্যা (হেলে) গেল, হেইল্যা যাওয়াও শ্যাষ (শেষ) ধারের (স্রোতে) মধ্যে পইরা (পড়ে) ভাইঙ্গা- চুইরা গেলো। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দুইডা ঘরি চইলা গেছে, থালি- বাসন, নওড়া (কড়াই) আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধনসহ সমস্ত কিছু চইলা গেছে মেলা টেহা (টাকা) গেছে এহন (এখন) আমার পক্ষে হেননা (এগুলো) ঠিক করা সম্ভব না। এমনি ১ বস্তা চাইল, ১৫ সের আটা, কাউন, নুন মরিচ কিছুই নাই ব্যাহি শ্যাষ (সব শেষ)। রাইতে পোলাপান (ছেলেমেয়ে) নিয়া কি খামু (খাবো) কোন উপায় নাই। কোন মতে মাইনসের (মানুষের) জাগায় থাকতাইছি (আশ্রয় নিয়েছি)।

    বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার এলাকায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি। আব্দুর রশিদের মত আরো অনেক পরিবারের বাড়ীঘর পানির তোড়ে দেবে যাচ্ছে। তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা বলেন, যাদের বসতঘর এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তালিকা প্রণয়ন করে তাদের সহায়তা প্রদান হবে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রশিদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…